ETV Bharat / state

পৌরভোট ব্যালটে হবে  বলে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, এক্তিয়ার নেই বলছে আইন - Mamata municipality

EVM হ্যাকিংয়ের অভিযোগ এনে আগামী পৌরভোট ব্যালটে করার কথা ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । অথচ পৌরআইন বলছে, ভোট EVM-এ না ব্যালটে হবে তা মুখ্যমন্ত্রী ঠিক করতে পারেন না । এই অধিকার ন্যস্ত রয়েছে নির্বাচন কমিশনের হাতে ।

মমতা (ফাইল ফোটো)
author img

By

Published : Jul 27, 2019, 3:16 AM IST

Updated : Jul 27, 2019, 12:22 PM IST

কলকাতা, 27 জুলাই : ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন নয় । আগামী পৌরভোট হবে ব্যালটে । 21 জুলাইয়ের মঞ্চে দাঁড়িয়ে একথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । EVM হ্যাকিংয়ের অভিযোগ করেছিলেন তিনি । সেই সূত্রেই নির্বাচনে ব্যালট ফিরিয়ে নিয়ে আনার জন্য রীতিমতো আন্দোলন শুরু করে দিয়েছেন মমতা । লোকসভা নির্বাচনে 'খারাপ' ফলের পরও, তাঁর মূল অভিযোগ ছিল EVM-এর বিরুদ্ধেই । সেই সূত্রেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঢঙে আগামী পৌরসভা নির্বাচনও ব্যালটে করতে চাইছেন মমতা । তাঁর এই ঘোষণা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক । আইন বলছে, কোন পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে তা ঠিক করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের । মুখ্যমন্ত্রী এবিষয়ে কোনও নির্দেশ দিতে পারেন না । নির্বাচন কমিশন কিংবা আইনজীবীদের মতও তাই ।

যুব কংগ্রেস সভানেত্রী থাকাকালীন মমতা দাবি তুলেছিলেন, “নো এপিক, নো ভোট ।" সেই দাবিতেই হয়েছিল একুশের জুলাইয়ের বিক্ষোভ কর্মসূচি । এবারের একুশে জুলাই তিনি দাবি তুলেছিলেন, গণতন্ত্র ফেরাতে ব্যালট ফেরত চাই । সেই সূত্রেই সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, আগামী পৌরসভা ভোট হবে ব্যালটে । এপ্রসঙ্গে আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ বলেন, “দলীয় সভায় দাঁড়িয়ে তিনি যা খুশি বলতে পারেন । শুধু উনি কেন? সোমেন মিত্র, সূর্যকান্ত মিশ্ররাও বলতে পারেন । কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বলতে পারেন না । সেই এক্তিয়ার ওঁর নেই । রাজ্যের পৌরআইন বলছে, এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকারী রাজ্য নির্বাচন কমিশন ।"

1994 সালের পৌর নির্বাচন আইন বলছে একই কথা । পৌরসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে পঞ্চায়েতের মতোই কমিশনকে ভোটের দিন ঘোষণার ক্ষেত্রে পরামর্শ দিতে পারে পৌরদপ্তর । কিন্তু কীভাবে ভোট হবে তা ঠিক করার এক্তিয়ার ন্যস্ত রয়েছে কমিশনের উপরেই । সদ্য নিযুক্ত রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস এবিষয়ে যা সিদ্ধান্ত নেবেন তাই চূড়ান্ত ।

সূত্রের খবর, ভারতের নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি নিজস্ব ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন রয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের । সেই মেশিনেই বিগত দিনে পৌরনির্বাচন হয়েছে । 2011 সালের পর আর ভোটিং মেশিন কেনেনি কমিশন । সেই মেশিনগুলি রাখা আছে সবকটি জেলায় । তত্ত্বাবধানে রয়েছেন সংশ্লিষ্ট জেলার জেলাশাসক । যদিও রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানে না এখন সেগুলি কী অবস্থায় আছে । প্রশ্ন উঠেছে, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন হ্যাক করা যাবে কীভাবে? এমনিতেই ভারতে নির্বাচন কমিশন প্রত্যয়ের সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছে, EVM হ্যাক সম্ভব নয় । তার উপর রাজ্যের নিজস্ব প্রশাসনের হাতে সুরক্ষিত থাকা EVM-গুলি কীভাবে হ্যাক করা যাবে বুঝে উঠতে পারছেন না কেউই ।

কলকাতা, 27 জুলাই : ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন নয় । আগামী পৌরভোট হবে ব্যালটে । 21 জুলাইয়ের মঞ্চে দাঁড়িয়ে একথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । EVM হ্যাকিংয়ের অভিযোগ করেছিলেন তিনি । সেই সূত্রেই নির্বাচনে ব্যালট ফিরিয়ে নিয়ে আনার জন্য রীতিমতো আন্দোলন শুরু করে দিয়েছেন মমতা । লোকসভা নির্বাচনে 'খারাপ' ফলের পরও, তাঁর মূল অভিযোগ ছিল EVM-এর বিরুদ্ধেই । সেই সূত্রেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঢঙে আগামী পৌরসভা নির্বাচনও ব্যালটে করতে চাইছেন মমতা । তাঁর এই ঘোষণা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক । আইন বলছে, কোন পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে তা ঠিক করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের । মুখ্যমন্ত্রী এবিষয়ে কোনও নির্দেশ দিতে পারেন না । নির্বাচন কমিশন কিংবা আইনজীবীদের মতও তাই ।

যুব কংগ্রেস সভানেত্রী থাকাকালীন মমতা দাবি তুলেছিলেন, “নো এপিক, নো ভোট ।" সেই দাবিতেই হয়েছিল একুশের জুলাইয়ের বিক্ষোভ কর্মসূচি । এবারের একুশে জুলাই তিনি দাবি তুলেছিলেন, গণতন্ত্র ফেরাতে ব্যালট ফেরত চাই । সেই সূত্রেই সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, আগামী পৌরসভা ভোট হবে ব্যালটে । এপ্রসঙ্গে আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ বলেন, “দলীয় সভায় দাঁড়িয়ে তিনি যা খুশি বলতে পারেন । শুধু উনি কেন? সোমেন মিত্র, সূর্যকান্ত মিশ্ররাও বলতে পারেন । কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বলতে পারেন না । সেই এক্তিয়ার ওঁর নেই । রাজ্যের পৌরআইন বলছে, এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকারী রাজ্য নির্বাচন কমিশন ।"

1994 সালের পৌর নির্বাচন আইন বলছে একই কথা । পৌরসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে পঞ্চায়েতের মতোই কমিশনকে ভোটের দিন ঘোষণার ক্ষেত্রে পরামর্শ দিতে পারে পৌরদপ্তর । কিন্তু কীভাবে ভোট হবে তা ঠিক করার এক্তিয়ার ন্যস্ত রয়েছে কমিশনের উপরেই । সদ্য নিযুক্ত রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস এবিষয়ে যা সিদ্ধান্ত নেবেন তাই চূড়ান্ত ।

সূত্রের খবর, ভারতের নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি নিজস্ব ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন রয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের । সেই মেশিনেই বিগত দিনে পৌরনির্বাচন হয়েছে । 2011 সালের পর আর ভোটিং মেশিন কেনেনি কমিশন । সেই মেশিনগুলি রাখা আছে সবকটি জেলায় । তত্ত্বাবধানে রয়েছেন সংশ্লিষ্ট জেলার জেলাশাসক । যদিও রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানে না এখন সেগুলি কী অবস্থায় আছে । প্রশ্ন উঠেছে, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন হ্যাক করা যাবে কীভাবে? এমনিতেই ভারতে নির্বাচন কমিশন প্রত্যয়ের সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছে, EVM হ্যাক সম্ভব নয় । তার উপর রাজ্যের নিজস্ব প্রশাসনের হাতে সুরক্ষিত থাকা EVM-গুলি কীভাবে হ্যাক করা যাবে বুঝে উঠতে পারছেন না কেউই ।

Intro:কলকাতা, ২৬ জুলাই: ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন নয়। আগামী পৌর ভোট হবে ব্যালটে। 21 জুলাইয়ের মঞ্চে দাঁড়িয়ে এমন কথাই বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগ, EVM হ‍্যাকিংয়ের! সেই সূত্রেই নির্বাচনে ব্যালট ফিরিয়ে নিয়ে আসার রীতিমত আন্দোলন শুরু করে দিয়েছেন মমতা। লোকসভা নির্বাচনে “খারাপ" ফলের পরেও, তাঁর মূল অভিযোগ ছিল EVM এর বিরুদ্ধেই। সেই সূত্রেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঢঙে আগামী পৌর নির্বাচনও ব‍্যালটে করতে চাইছেন মমতা। তাঁর এই ঘোষণা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। আইন বলছে, কোন পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে তা ঠিক করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। মুখ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে কোনো নির্দেশ দিতে পারেন না। নির্বাচন কমিশন কিংবা আইনজীবীদের মত তাই।



Body:যুব কংগ্রেস সভানেত্রী থাকাকালীন মমতা দাবি তুলেছিলেন, “ নো এপিক, নো ভোট।" সেই দাবিতেই হয়েছিল একুশের জুলাইয়ের বিক্ষোভ কর্মসূচি। এবারের একুশে জুলাই তিনি দাবি তুলেছিলেন, গণতন্ত্র ফেরাতে ব‍্যালট ফেরত চাই। সেই সূত্রেই সভা মঞ্চে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা করেন, আগামী পৌর ভোট হবে ব্যালটে। এ প্রসঙ্গে আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ বলেন, “ দলীয় সভায় দাঁড়িয়ে তিনি যা খুশি বলতে পারেন। শুধু উনি কেন? সোমেন মিত্র, সূর্যকান্ত মিশ্ররাও বলতে পারেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বলতে পারেন না। সেই এক্তিয়ার ওনার নেই। রাজ্যের পৌর আইন বলছে, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকারী রাজ্য নির্বাচন কমিশন।"

১৯৯৪ এর পৌর নির্বাচন আইন বলছে একই কথা। পৌর নির্বাচনের ক্ষেত্রে পঞ্চায়েতের মতোই কমিশনকে ভোটের দিন ঘোষণার ক্ষেত্রে পরামর্শ দিতে পারে পৌর দপ্তর। কিন্তু কিভাবে ভোট হবে তা ঠিক করার এক্তিয়ার ন‍্যস্ত রয়েছে কমিশনের ওপরেই। সদ‍্য যুক্ত রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস এ বিষয়ে যা সিদ্ধান্ত নেবেন তাই চূড়ান্ত।


Conclusion:সূত্রের খবর, ভারতের নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি নিজস্ব ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন রয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। সেই মিশিনেই বিগত দিনে পৌর নির্বাচন হয়েছে। 2011 সালের পরে আর ভোটিং মেশিন কেনেনি নির্বাচন কমিশন। সেই মেশিন গুলি রাখা আছে সবকটি জেলায়। তত্ত্বাবধানে রয়েছেন সংশ্লিষ্ট জেলার
জেলাশাসক। যদিও রাজ‍্য নির্বাচন কমিশন জানে না এখন সে গুলি কি অবস্থায় আছে। প্রশ্ন উঠেছে, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন হ‍্যাক করা যাবে কিভাবে? এমনিতেই ভারতে নির্বাচন কমিশন প্রত্যযয়ের সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছে, EVM হ‍্যাক সম্ভব নয়। তার ওপরে রাজ্যের নিজস্ব প্রশাসনের হাতে সুরক্ষিত থাকা EVM গুলি কিভাবে হাক করা যাবে বুঝে উঠতে পারছেন না কেউই।
Last Updated : Jul 27, 2019, 12:22 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.