ETV Bharat / state

রেলের জন্য আটকে মাঝেরহাট ব্রিজের কাজ, রেলমন্ত্রীকে চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর

রেলের জন্য আটকে আছে মাঝেরহাট ব্রিজের কাজ । রেলমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । চিঠি দিলেন পীযূষ গোয়েলকে ।

ছবি
author img

By

Published : Nov 25, 2019, 3:03 PM IST

Updated : Nov 25, 2019, 4:15 PM IST

কলকাতা, ২৫ নভেম্বর : টার্গেট ছিল সেপ্টেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করার । কিন্তু এখনও হয়নি । নবান্নের চেষ্টা সত্ত্বেও ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ হওয়া নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা । দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাঝেরহাট ব্রিজের কাজ আটকে রেলওয়ে সেফটি কমিশনারের ছাড়পত্রের জন্য । তাই রেলমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । চিঠি দিলেন পীযূষ গোয়েলকে ।

আগামী গঙ্গাসাগর মেলায় পুণ্যার্থীদের ভিড়ের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে এবং মাঝেরহাট ব্রিজকে রাজ্যের দক্ষিণ উপকণ্ঠের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সংযোগকারী ব্রিজ হিসেবে উল্লেখ করে রেলমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী ।

বছর খানেক আগে ভেঙে পড়ে মাঝেরহাট ব্রিজ । মৃত্যু হয় তিনজনের । আহত হন ২৫ জন । ঘটনার পর রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নেয় ভেঙে ফেলা হবে পুরোনো ব্রিজ । সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, এক বছরের মধ্যে তৈরি করা হবে নতুন ব্রিজ । এক বছর পার হয়ে যাওয়ার পরও মাঝেরহাট ব্রিজ তৈরি হয়নি । আজও নিত্যসঙ্গী যানজট ।

image
রেলমন্ত্রীকে চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর

পূর্ত দপ্তর সূত্রে খবর, ব্রিজ তৈরির জন‍্য রেলের অনুমোদন লাগবে । কারণ শিয়ালদা-বজবজ রেল লাইনের উপর দিয়ে এই ব্রিজের একটা বড় অংশ রয়েছে । নিয়ম মোতাবেক রেললাইনের উপর দিয়ে ব্রিজ তৈরি করতে হলে রেলের অনুমোদন বাধ্যতামূলক । রেলের তরফে সেই অনুমোদন এখনও দেওয়া হয়নি বলে দাবি রাজ্য সরকারের । রেল সূত্রে জানা গেছে, ব্রিজের নকশা মাস দেড়েক আগে নাবান্নে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি পর্যালোচনা করছে রেলওয়ে সুরক্ষা কমিটি। নিরাপত্তার বিষয়ে সম্পূর্ণ নিশ্চিত হয়ে তবেই এই নকশায় অনুমোদন দেওয়া হবে।

ব্রিজের কাজ পিছিয়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে সরকারের বক্তব্য, “এটা পদ্ধতিগত বিলম্ব । কারণ সবকিছু খতিয়ে দেখে তবেই ব্রিজের নকশা তৈরি করা হয়েছে । প্রস্তাবিত ব্রিজের নকশা তৈরি করেছে লি অ্যাসোসিয়েটস নামে দিল্লির একটি সংস্থা।" এদিকে সরকারের শীর্ষ আধিকারিকদের বক্তব্য, ব্রিজ তৈরির কাজ শেষ হতে হতে ২০২০ সালের মার্চ হয়ে যাবে।

মমতা চিঠিতে লিখেছেন, গঙ্গাসাগর মেলার জাতীয় গুরুত্ব রয়েছে । গঙ্গাসাগর যাওয়ার পথে এই ব্রিজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাজ্য সরকার চাইছে গঙ্গাসাগর মেলার আগেই এই ব্রিজের কাজ শেষ করতে । তাই পীযূষ গোয়েলের হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ।

কলকাতা, ২৫ নভেম্বর : টার্গেট ছিল সেপ্টেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করার । কিন্তু এখনও হয়নি । নবান্নের চেষ্টা সত্ত্বেও ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ হওয়া নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা । দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাঝেরহাট ব্রিজের কাজ আটকে রেলওয়ে সেফটি কমিশনারের ছাড়পত্রের জন্য । তাই রেলমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । চিঠি দিলেন পীযূষ গোয়েলকে ।

আগামী গঙ্গাসাগর মেলায় পুণ্যার্থীদের ভিড়ের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে এবং মাঝেরহাট ব্রিজকে রাজ্যের দক্ষিণ উপকণ্ঠের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সংযোগকারী ব্রিজ হিসেবে উল্লেখ করে রেলমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী ।

বছর খানেক আগে ভেঙে পড়ে মাঝেরহাট ব্রিজ । মৃত্যু হয় তিনজনের । আহত হন ২৫ জন । ঘটনার পর রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নেয় ভেঙে ফেলা হবে পুরোনো ব্রিজ । সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, এক বছরের মধ্যে তৈরি করা হবে নতুন ব্রিজ । এক বছর পার হয়ে যাওয়ার পরও মাঝেরহাট ব্রিজ তৈরি হয়নি । আজও নিত্যসঙ্গী যানজট ।

image
রেলমন্ত্রীকে চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর

পূর্ত দপ্তর সূত্রে খবর, ব্রিজ তৈরির জন‍্য রেলের অনুমোদন লাগবে । কারণ শিয়ালদা-বজবজ রেল লাইনের উপর দিয়ে এই ব্রিজের একটা বড় অংশ রয়েছে । নিয়ম মোতাবেক রেললাইনের উপর দিয়ে ব্রিজ তৈরি করতে হলে রেলের অনুমোদন বাধ্যতামূলক । রেলের তরফে সেই অনুমোদন এখনও দেওয়া হয়নি বলে দাবি রাজ্য সরকারের । রেল সূত্রে জানা গেছে, ব্রিজের নকশা মাস দেড়েক আগে নাবান্নে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি পর্যালোচনা করছে রেলওয়ে সুরক্ষা কমিটি। নিরাপত্তার বিষয়ে সম্পূর্ণ নিশ্চিত হয়ে তবেই এই নকশায় অনুমোদন দেওয়া হবে।

ব্রিজের কাজ পিছিয়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে সরকারের বক্তব্য, “এটা পদ্ধতিগত বিলম্ব । কারণ সবকিছু খতিয়ে দেখে তবেই ব্রিজের নকশা তৈরি করা হয়েছে । প্রস্তাবিত ব্রিজের নকশা তৈরি করেছে লি অ্যাসোসিয়েটস নামে দিল্লির একটি সংস্থা।" এদিকে সরকারের শীর্ষ আধিকারিকদের বক্তব্য, ব্রিজ তৈরির কাজ শেষ হতে হতে ২০২০ সালের মার্চ হয়ে যাবে।

মমতা চিঠিতে লিখেছেন, গঙ্গাসাগর মেলার জাতীয় গুরুত্ব রয়েছে । গঙ্গাসাগর যাওয়ার পথে এই ব্রিজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাজ্য সরকার চাইছে গঙ্গাসাগর মেলার আগেই এই ব্রিজের কাজ শেষ করতে । তাই পীযূষ গোয়েলের হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ।

Intro:কলকাতা, ২৫ নভেম্বর: টার্গেট ছিল সেপ্টেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করার। সেই কাজ এখনো শেষ হয়নি। নবান্নের তরফে চেষ্টা চলছে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে সেই কাজ শেষ করার। কিন্তু সে বিষয়ে এখনো কোনো নিশ্চয়তা নেই। কারণ রেলওয়ে সেফটি কমিশনারের ছাড়পত্র এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। নবান্নের দাবি তেমনটাই। আর সেই সূত্রে রেলমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিঠি দিলেন পীযূষ গোয়েলকে।Body:দুপুরে হঠাৎই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে মাঝেরহাট ব্রিজ। ঘটনায় মৃত্যু হয় তিনজনের। আহত হন ২৫ জন। ঘটনার পর রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নেয় ভেঙে ফেলা হবে পুরনো সেতু। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, এক বছরের মধ্যে তৈরি করা হবে নতুন সেতু। সেই একটা বছর পার হয়ে যাবার পরেও মাঝেরহাট সেতু তৈরি হয়নি। আজও নিত্যসঙ্গী যানজট। ব্রিজের কাজ শেষ হবে কবে? জানেন না কেউই।

মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মত বিশেষজ্ঞদল মাঝেরহাট সেতু পরিদর্শন করে। তারপর তৈরি হয় পরিকল্পনা। ডাকা হয় টেন্ডার।
গত বছর নভেম্বর মাসে ব্রিজটি ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হয়। নতুন ব্রিজ তৈরিতে নামে বিশেষজ্ঞ সংস্থা। কিন্তু সেই কাজ এখনো পর্যন্ত শেষ করতে পারেনি সংস্থাটি। কিন্তু কেন? ব্রিজের যে অংশগুলো পূর্ত দপ্তরের অধীন সেগুলির কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। অন্তত রাজ্যের পূর্ত দপ্তরের দাবি তেমনটাই।কিন্ত রেলের অংশের জন‍্য‌ই থমকে রয়েছে কাজের ভবিষ্যৎ।

পূর্ত দপ্তরের সূত্রে খবর, ব্রিজ তৈরির জন‍্য রেলের অনুমোদন লাগবে। কারণ শিয়ালদা রেল লাইনের উপর দিয়ে এই সেতুর একটা বড় অংশ রয়েছে। নিয়ম মোতাবেক রেললাইনের উপর দিয়ে সেতু তৈরি করতে হলে রেলের অনুমোদন পেতে হয়। রেলের তরফে সেই অনুমোদন এখনও দেওয়া হয়নি বলে দাবি রেল কর্তৃপক্ষের। রেল সূত্রে জানা গেছে, ব্রিজের নক্সা মাস দেড়েক আগে তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি পর্যালোচনা করছে রেলওয়ে সুরক্ষা কমিটি। নিরাপত্তার বিষয়ে সম্পূর্ণ নিশ্চিত হয়ে তবেই এই নকশায় অনুমোদন দেওয়া হবে।
Conclusion:ব্রিজের কাজ পিছিয়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে সরকারের বক্তব্য, “এটা প্রসিডিওরাল ডিলে। কারণ সবকিছু খতিয়ে দেখে তবেই ব্রিজের নকসা তৈরি করা হয়েছে। প্রস্তাবিত ব্রিজের নক্সা তৈরি করেছে লি এ‍্যসোশিয়েটস (Lee Associates) নামে দিল্লির একটি সংস্থা।" এদিকে সরকারের শীর্ষ আধিকারিকদের বক্তব্য ব্রিজ তৈরির কাজ শেষ হতে হতে ২০২০ সালের মার্চ হয়ে যাবে।

মমতা চিঠিতে লিখেছেন, গঙ্গাসাগর মেলার জাতীয় গুরুত্ব রয়েছে। গঙ্গাসাগর যাবার পথে এই ব্রীজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাজ্য সরকার চাইছে গঙ্গাসাগর মেলার আগেই এই ব্রিজের কাজ শেষ করতে। তাই পীযূষ গোয়েলকে হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
Last Updated : Nov 25, 2019, 4:15 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.