কলকাতা, 4 অক্টোবর: সিকিম এবং উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ বুধবার সকালে তিনি সরাসরি সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে ফোন করলেন ৷ মন্ত্রী এখন দিল্লিতে রয়েছেন ৷ সেখানেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করলেন মমতা ৷ পার্থ ভৌমিককে দ্রুত উত্তরবঙ্গে পৌঁছনোর নির্দেশ দিলেন ৷
আজই কলকাতায় ফেরার কথা ছিল পার্থ ভৌমিকের ৷ তবে কলকাতায় না-এসে তাঁকে উত্তরবঙ্গে যাওয়ার নির্দেশ দিলেন মমতা ৷ জানা গিয়েছে, সিকিমে লোনাকলেকের উপর মেঘ ভাঙা বৃষ্টি এবং তিস্তা নদীতে হড়পা বানের প্রভাব সরাসরি পড়বে পশ্চিমবঙ্গের উত্তরে ৷ সিকিমে তিস্তা নদীতে জল বেড়েছে ৷ লুংথাং বাঁধ থেকে জল ছাড়া হয়েছে ৷ এই পরিস্থিতিতে সিকিমের বেশির ভাগ অংশই জলের তলায় ৷ সিকিম থেকে জলপাইগুড়িতে তিস্তা নদীতে জল ঢুকছে ৷ এতে জেলায় বন্যা হতে পারে আশঙ্কা করা হচ্ছে ৷
সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর ফোন পেয়ে সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক দিল্লি ছেড়ে উত্তরবঙ্গের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন ৷ আগামিকাল সকাল দশটায় উত্তর কন্যায় সেচ দফরের একটি বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ এই বৈঠকে তিস্তা সংলগ্ন এলাকার ইঞ্জিনিয়ারদের উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি ৷
প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলায় সেচ দফতরের তরফে কী কী করা যেতে পারে এবং এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্যের প্রয়োজন আছে কি না, তাও সরেজমিনে খতিয়ে দেখবেন মন্ত্রী ৷ বৈঠকের পর তিনি সপারিষদ সেচ দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শন করবেন ৷ তারপর উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে একটি রিপোর্ট পাঠাবেন পার্থ ৷
সিকিমে মেঘভাঙা বৃষ্টির ফল উত্তরবঙ্গে পড়তে শুরু করেছে ৷ এবিষয়ে নবান্নকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ বুধবার সকালেই বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন তিনি ৷ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই তিনি দফায় দফায় উত্তরবঙ্গের জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন । জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরের দিকে মুখ্যমন্ত্রী এ নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করতে পারেন ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে সরাসরি পর্যালোচনা করে গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন ৷
আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গের পথে মন্ত্রী-আমলারা, 23 সেনা নিখোঁজে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়