কলকাতা, 23 নভেম্বর: সংসদ থেকে তাঁকে বহিষ্কারের তোড়জোড় চলছে জোরকদমে। ইতিমধ্যে 'টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন' কাণ্ডে তোলপাড় জাতীয় রাজনীতি। কিন্তু বৃহস্পতিবার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূল কংগ্রেসের বিশেষ অধিবেশন থেকে দলের কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রের পাশেই দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এর আগে মহুয়ার বিরুদ্ধে লোকসভার এথিক্স কমিটির সিদ্ধান্তের পরই দলের সাংসদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷ এমনকী দলে তাঁর গুরুত্বও বেড়েছে অনেকটাই ৷ এরপর বৃহস্পতিবার মহুয়ার পাশে দাঁড়িয়েছেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো ৷ এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আর তো তিন মাস সময় আছে এই সরকারের। মহুয়াকে বার করে দেবে ! কী হবে তিন মাসের জন্য সাংসদ পদ গেলে ? আগে মহুয়া সংসদের ভিতরে বলতো, এখন বাইরে বলবে।" এদিন কেন্দ্রের শাসক দলকে কটাক্ষ করে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "মূর্খ না হলে কেউ এটা ভোটের তিন মাস আগে করে।"
'ক্যাশ ফর কোয়ারি' কাণ্ডে মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে ৷ তাঁর অভিযোগ ছিল, সংসদে প্রশ্ন করার জন্য মহুয়া মৈত্র শিল্পপতি হিরনন্দানীর থেকে ঘুষ নিয়েছিলেন ৷ হিন্ডেনবার্গ কাণ্ডের পর শিল্পপতি গৌতম আদানিকে নিয়ে সংসদে একাধিক প্রশ্ন তুলেছিলেন মহুয়া ৷ আর সেই সব প্রশ্নের জন্যই ব্যবসায়ী হিরনন্দানী মহুয়াকে অর্থ দিয়েছেন ৷ যা বকলমে স্বীকারও করেছেন হিরনন্দানী ৷ এরপরই সংসদের এথিক্স কমিটি দুই দফায় শুনানির পর মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজের দাবি করার পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তেরও আর্জি জানিয়েছে ৷
কয়েকদিন আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মহুয়া মৈত্রের পাশে দাঁড়ানোর পর দলের তরফ থেকে তাঁকে সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দায়িত্ব দেওয়া হয়। তখনই বোঝা গিয়েছিল এই মুহূর্তে মহুয়া নিয়ে যতই তৃণমূল কংগ্রেস দীর্ঘ নীরবতা বজায় রাখুক না কেন, দল পাশেই আছে। এদিন মমতা স্পষ্ট ভাষায় বুঝিয়ে দিলেন তিনি মহুয়ার পাশেই রয়েছেন। এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "ওরা ভেবেছিল মহুয়াকে দল থেকে তাড়িয়ে দেব। আর তো তিনমাস বাকি। ও সংসদের ভিতরে যা বলেছে, তা এবার থেকে রোজ বাইরে সাংবাদিক সম্মেলন করে বলবে।" এর থেকেই স্পষ্ট তৃণমূল নেত্রী তাঁর পাশেই আছেন।
আরও পড়ুন: