কলকাতা, 11 এপ্রিল: রাষ্ট্রের দায়িত্ব নিয়ে সরব শ্যামল চক্রবর্তী ৷ "দেশের মানুষের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে রাষ্ট্রের দাঁড়ানো উচিত । প্রত্যেকটি নাগরিকের জন্য নির্দিষ্ট আয়ের ব্যবস্থা রাষ্ট্রকেই করতে হবে ।" দেশের পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে আজ একথা জানালেন CITU-র প্রবীণ নেতা এবং প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক শ্যামল চক্রবর্তী ।
শারীরিক অসুস্থতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে গৃহবন্দী শ্যামল চক্রবর্তী । নিয়মিত শ্রমিক ভবনেও আসতে পারেন না তিনি । তার উপর চলছে লকডাউন । তার জেরে ঘর থেকে বের হচ্ছেন না প্রাক্তন এই সাংসদ । যদিও দেশের মানুষের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে আতঙ্কিত শ্যামলবাবু আজ এক বিবৃতিতে জানান, অনেকদিন ধরেই ইউনিভার্সাল বেসিক ইনকাম বা মিনিমাম ইনকাম গ্যারান্টি নিয়ে দেশব্যাপী দাবি জানিয়ে আসছে CITU । দেশের মানুষের ন্যূনতম আয় রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করতে হবে । লকডাউন উঠে গেলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে অন্তত তিনবছর সময় লাগবে বলেই মনে করছেন তিনি । অতীতে এমন দিন কখনও দেখেছেন বলে মনে নেই তাঁর ।
CITU-র রাজ্য অফিস শ্রমিক ভবন আপাতত বন্ধ । কোরোনার ভয়ে পার্টি অফিস ফাঁকা । এমন ঘটনা দেশ স্বাধীন হওয়ার পরও ঘটেনি বলে জানিয়েছেন শ্যামল চক্রবর্তী । তাঁর আশঙ্কা, লকডাউন উঠে যাওয়ার পর 30-35 শতাংশ মানুষ কর্মহীন হবেন । অনাহারে মৃত্যু হবে অগণিত পরিবারের । শ্রমশক্তি বেকার হয়ে গেলে রাষ্ট্রের মেরুদন্ড দুর্বল হয়ে পড়বে বলে জানিয়েছেন তিনি । এই পরিস্থিতিতে ন্যূনতম আয় নিশ্চিত করার কথা সরকারকে ভাবতে হবে । বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দেওয়ার কথাও ভাবছেন শ্যামল চক্রবর্তী ।
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে শহরের মানুষ সরকারি সাহায্য পেলেও, গ্রামাঞ্চলে সরকারি সাহায্য পৌঁছাচ্ছে না । অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সরকারি সাহায্যের পরিবর্তে বেসরকারি সাহায্য পাচ্ছে গ্রামের মানুষ । এই পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে দেশের মানুষের আয় বৃদ্ধির নিদান দিয়েছেন CITU-র প্রবীণ নেতা । তিনি বলেছেন, "দেশের মানুষের দায়িত্ব রাষ্ট্রকেই নিতে হবে । সরকারকে জনগণ নির্বাচিত করে । দলমত নির্বিশেষে প্রত্যেকের কাছেই ত্রাণ পাঠাতে হবে । সরাসরি অর্থের ব্যবস্থা করলে গরিব মানুষকে ভুল বুঝিয়ে সেই অর্থ লোপাট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । ন্যূনতম পুষ্টিকর এবং গুণগতমানের খাবার দেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে । রেশন থেকে যাঁরা খাবার কিনতে পারবেন না তাঁদের জন্য বিনামূল্যে খাদ্যদ্রব্য বণ্টন করার সময় এটাই ।"
রাষ্ট্রের দায়িত্বের কথা মনে করিয়ে দিলেন CITU নেতা শ্যামল চক্রবর্তী - CITU নেতা শ্যামল চক্রবর্তী
CITU-র রাজ্য অফিস শ্রমিক ভবন আপাতত বন্ধ । পার্টি অফিস সুনসান । এমন ঘটনা দেশ স্বাধীন হওয়ার পরও ঘটেনি বলে জানিয়েছেন শ্যামল চক্রবর্তী । তাঁর আশঙ্কা, লকডাউন উঠে যাওয়ার পর 30-35 শতাংশ মানুষ কর্মহীন হবেন ।
কলকাতা, 11 এপ্রিল: রাষ্ট্রের দায়িত্ব নিয়ে সরব শ্যামল চক্রবর্তী ৷ "দেশের মানুষের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে রাষ্ট্রের দাঁড়ানো উচিত । প্রত্যেকটি নাগরিকের জন্য নির্দিষ্ট আয়ের ব্যবস্থা রাষ্ট্রকেই করতে হবে ।" দেশের পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে আজ একথা জানালেন CITU-র প্রবীণ নেতা এবং প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক শ্যামল চক্রবর্তী ।
শারীরিক অসুস্থতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে গৃহবন্দী শ্যামল চক্রবর্তী । নিয়মিত শ্রমিক ভবনেও আসতে পারেন না তিনি । তার উপর চলছে লকডাউন । তার জেরে ঘর থেকে বের হচ্ছেন না প্রাক্তন এই সাংসদ । যদিও দেশের মানুষের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে আতঙ্কিত শ্যামলবাবু আজ এক বিবৃতিতে জানান, অনেকদিন ধরেই ইউনিভার্সাল বেসিক ইনকাম বা মিনিমাম ইনকাম গ্যারান্টি নিয়ে দেশব্যাপী দাবি জানিয়ে আসছে CITU । দেশের মানুষের ন্যূনতম আয় রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করতে হবে । লকডাউন উঠে গেলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে অন্তত তিনবছর সময় লাগবে বলেই মনে করছেন তিনি । অতীতে এমন দিন কখনও দেখেছেন বলে মনে নেই তাঁর ।
CITU-র রাজ্য অফিস শ্রমিক ভবন আপাতত বন্ধ । কোরোনার ভয়ে পার্টি অফিস ফাঁকা । এমন ঘটনা দেশ স্বাধীন হওয়ার পরও ঘটেনি বলে জানিয়েছেন শ্যামল চক্রবর্তী । তাঁর আশঙ্কা, লকডাউন উঠে যাওয়ার পর 30-35 শতাংশ মানুষ কর্মহীন হবেন । অনাহারে মৃত্যু হবে অগণিত পরিবারের । শ্রমশক্তি বেকার হয়ে গেলে রাষ্ট্রের মেরুদন্ড দুর্বল হয়ে পড়বে বলে জানিয়েছেন তিনি । এই পরিস্থিতিতে ন্যূনতম আয় নিশ্চিত করার কথা সরকারকে ভাবতে হবে । বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দেওয়ার কথাও ভাবছেন শ্যামল চক্রবর্তী ।
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে শহরের মানুষ সরকারি সাহায্য পেলেও, গ্রামাঞ্চলে সরকারি সাহায্য পৌঁছাচ্ছে না । অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সরকারি সাহায্যের পরিবর্তে বেসরকারি সাহায্য পাচ্ছে গ্রামের মানুষ । এই পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে দেশের মানুষের আয় বৃদ্ধির নিদান দিয়েছেন CITU-র প্রবীণ নেতা । তিনি বলেছেন, "দেশের মানুষের দায়িত্ব রাষ্ট্রকেই নিতে হবে । সরকারকে জনগণ নির্বাচিত করে । দলমত নির্বিশেষে প্রত্যেকের কাছেই ত্রাণ পাঠাতে হবে । সরাসরি অর্থের ব্যবস্থা করলে গরিব মানুষকে ভুল বুঝিয়ে সেই অর্থ লোপাট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । ন্যূনতম পুষ্টিকর এবং গুণগতমানের খাবার দেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে । রেশন থেকে যাঁরা খাবার কিনতে পারবেন না তাঁদের জন্য বিনামূল্যে খাদ্যদ্রব্য বণ্টন করার সময় এটাই ।"