ETV Bharat / state

বিজ্ঞাপনে এগিয়ে মুখ্যমন্ত্রী, কোরোনা নিয়ন্ত্রণে নয়; অভিযোগ CITU-র - মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

মুখ্যমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমে বসে যে বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন, তার সঙ্গে বাস্তবের মিল কতটা ? প্রশ্ন CITU-র ৷

বিজ্ঞাপনে এগিয়ে মুখ্যমন্ত্রী, কোরোনা নিয়ন্ত্রণে নয়; অভিযোগ CITU-র
বিজ্ঞাপনে এগিয়ে মুখ্যমন্ত্রী, কোরোনা নিয়ন্ত্রণে নয়; অভিযোগ CITU-র
author img

By

Published : Apr 20, 2020, 11:24 PM IST

কলকাতা, 20 এপ্রিল : দিনের পর দিন জনগণের করের টাকায় মুখ্যমন্ত্রীর বিজ্ঞাপনে ছয়লাপ রাজ্যের সব TV-র পর্দা । মুখ্যমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমে বসে যে বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন, তার সঙ্গে বাস্তবের মিল কতটা ? প্রশ্ন CITU-র সভাপতি সুভাষ মুখোপাধ্যায় ও সাধারণ সম্পাদক অনাদি সাহুর । কোরোনা আক্রান্ত গোটা বিশ্ব । দেশ, রাজ্যে চলছে লাগাতার লকডাউন ।কোটি কোটি শ্রমিক, দিন আনা দিন খাওয়া গরিব মানুষ কাজ হারিয়ে চরম বিপদের মুখে । রাজ্যের কয়েক লাখ শ্রমিক ভিনরাজ্যে অসহায় অবস্থায় পড়ে আছে । থাকার জায়গা নেই, কাজ নেই, খাবার নেই, হাতে টাকা নেই । ঘরে ফিরতে পারছে না এ রাজ্যের শ্রমিকরা । ক্ষোভ প্রকাশ করে এমনই জানালেন অনাদি সাহু ।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্য রাজ্যের সরকারের কাছে চিঠি লিখেই দায়িত্ব শেষ করে ফেলেছেন । চিঠি লিখেছেন এটাই প্রচার হচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে । বিভিন্ন রাজ্যে শ্রমিকরা দলবদ্ধভাবে থাকতে বাধ্য হচ্ছে । বাড়ি ফিরতে চেয়ে, খাবার চেয়ে, পুলিশের লাঠিপেটা খাচ্ছে । CITU-র রাজ্য সভাপতি সুভাষ মুখোপাধ্যায় বলেন, শ্রমিকরা কেমন আছেন, কী করে ঘরে ফিরবেন, সেসব খোঁজ খবর রাখার দায় নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৷ দায় নেই নরেন্দ্র মোদিরও । দেশের ট্রেড ইউনিয়নগুলো বারবার কেন্দ্রকে চিঠি লিখেছে তাদের নিজ নিজ রাজ্যে ফেরত পাঠানোর জন্য । বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করার জন্য দাবি করেছে ।

তাঁরা জানান, ভিনরাজ্যে আটকে পড়া শ্রমিকদের কাজ ভিত্তিক 7500 টাকা থেকে 10 হাজার টাকা অর্থ সাহায্য এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও বিনামূল্যে ঘোষিত পরিমাণ রেশনের ব্যবস্থা করার । কিন্তু, কোনও দায়িত্ব নেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার । শুধুই ঘোষণা । সরকারি সাহায্য শ্রমিকদের কাছে পৌঁছাবে কীভাবে তার কোনও পরিকল্পনা নেই । এই রাজ্যের সরকার ভিনরাজ্যে থাকা শ্রমিকদের জন্য কয়েকদিন আগে ঘোষণা করে ব্যাপক প্রচার করল "স্নেহের পরশ" প্রকল্প । আজ সরকারের নির্দেশ জারি হল । এককালীন এক হাজার টাকা দেওয়া হবে তাদের । আর সেটা পেতে হবে গুগল সার্চ করে । একটি অ্যাপ ডাউনলোড করে । সমগ্র বিষয়টাকে মশকরা করা হচ্ছে বলে মনে করছে CITU-র নেতৃত্ব ।

অনাদি সাহু বলেন, "এক হাজার টাকা ভিক্ষা, তাও গরিব মানুষ অ্যাপলোড করবে । রাজ্যের অসংগঠিত শ্রমিকদের, গরিব কাজ হারা মানুষদের জন্য প্রায় একমাস আগে থেকে ঘোষণা এবং প্রচার ৷ আরও একটা প্রকল্প প্রচেষ্টা ৷ আজ তার সম্পর্কে সরকারি নির্দেশে এল । 10 তারিখের নির্দেশ এল আজ । তার জন্য এক জটিল ফর্ম পূরণ করতে হবে । এই অমানবিক সরকারকে ধিক্কার জানাই । শ্রমজীবী মানুষ ভিক্ষা নয়, অধিকার চায় । রাজ্য সরকারের চালু প্রকল্প SSY বেমালুম চেপে যাওয়া হচ্ছে । এর তীব্র বিরোধিতা করছি ।" ইতিমধ্যে রাজ্যের সব ট্রেড ইউনিয়ন চিঠি দিয়ে শ্রমমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার দাবি জানিয়েছে । রাজ্যের অসংগঠিত শ্রমিক কাজহারা মানুষের প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে, বিনামূল্যে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের ঘোষিত পরিমাণ রেশন দিতে হবে এবং প্রত্যেকের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে । ভিনরাজ্যে থাকা শ্রমিকদের বিশেষ ব্যবস্থা করে অবিলম্বে রাজ্যে ফেরত আনার দায়িত্ব রাজ্য সরকারকে নিতে হবে বলে দাবি জানিয়েছে CITU ৷ এসবের অন্যথা হলে স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে রাজ্যজুড়ে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি সরকারকে দেওয়া হয়েছে ।

কলকাতা, 20 এপ্রিল : দিনের পর দিন জনগণের করের টাকায় মুখ্যমন্ত্রীর বিজ্ঞাপনে ছয়লাপ রাজ্যের সব TV-র পর্দা । মুখ্যমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমে বসে যে বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন, তার সঙ্গে বাস্তবের মিল কতটা ? প্রশ্ন CITU-র সভাপতি সুভাষ মুখোপাধ্যায় ও সাধারণ সম্পাদক অনাদি সাহুর । কোরোনা আক্রান্ত গোটা বিশ্ব । দেশ, রাজ্যে চলছে লাগাতার লকডাউন ।কোটি কোটি শ্রমিক, দিন আনা দিন খাওয়া গরিব মানুষ কাজ হারিয়ে চরম বিপদের মুখে । রাজ্যের কয়েক লাখ শ্রমিক ভিনরাজ্যে অসহায় অবস্থায় পড়ে আছে । থাকার জায়গা নেই, কাজ নেই, খাবার নেই, হাতে টাকা নেই । ঘরে ফিরতে পারছে না এ রাজ্যের শ্রমিকরা । ক্ষোভ প্রকাশ করে এমনই জানালেন অনাদি সাহু ।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্য রাজ্যের সরকারের কাছে চিঠি লিখেই দায়িত্ব শেষ করে ফেলেছেন । চিঠি লিখেছেন এটাই প্রচার হচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে । বিভিন্ন রাজ্যে শ্রমিকরা দলবদ্ধভাবে থাকতে বাধ্য হচ্ছে । বাড়ি ফিরতে চেয়ে, খাবার চেয়ে, পুলিশের লাঠিপেটা খাচ্ছে । CITU-র রাজ্য সভাপতি সুভাষ মুখোপাধ্যায় বলেন, শ্রমিকরা কেমন আছেন, কী করে ঘরে ফিরবেন, সেসব খোঁজ খবর রাখার দায় নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৷ দায় নেই নরেন্দ্র মোদিরও । দেশের ট্রেড ইউনিয়নগুলো বারবার কেন্দ্রকে চিঠি লিখেছে তাদের নিজ নিজ রাজ্যে ফেরত পাঠানোর জন্য । বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করার জন্য দাবি করেছে ।

তাঁরা জানান, ভিনরাজ্যে আটকে পড়া শ্রমিকদের কাজ ভিত্তিক 7500 টাকা থেকে 10 হাজার টাকা অর্থ সাহায্য এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও বিনামূল্যে ঘোষিত পরিমাণ রেশনের ব্যবস্থা করার । কিন্তু, কোনও দায়িত্ব নেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার । শুধুই ঘোষণা । সরকারি সাহায্য শ্রমিকদের কাছে পৌঁছাবে কীভাবে তার কোনও পরিকল্পনা নেই । এই রাজ্যের সরকার ভিনরাজ্যে থাকা শ্রমিকদের জন্য কয়েকদিন আগে ঘোষণা করে ব্যাপক প্রচার করল "স্নেহের পরশ" প্রকল্প । আজ সরকারের নির্দেশ জারি হল । এককালীন এক হাজার টাকা দেওয়া হবে তাদের । আর সেটা পেতে হবে গুগল সার্চ করে । একটি অ্যাপ ডাউনলোড করে । সমগ্র বিষয়টাকে মশকরা করা হচ্ছে বলে মনে করছে CITU-র নেতৃত্ব ।

অনাদি সাহু বলেন, "এক হাজার টাকা ভিক্ষা, তাও গরিব মানুষ অ্যাপলোড করবে । রাজ্যের অসংগঠিত শ্রমিকদের, গরিব কাজ হারা মানুষদের জন্য প্রায় একমাস আগে থেকে ঘোষণা এবং প্রচার ৷ আরও একটা প্রকল্প প্রচেষ্টা ৷ আজ তার সম্পর্কে সরকারি নির্দেশে এল । 10 তারিখের নির্দেশ এল আজ । তার জন্য এক জটিল ফর্ম পূরণ করতে হবে । এই অমানবিক সরকারকে ধিক্কার জানাই । শ্রমজীবী মানুষ ভিক্ষা নয়, অধিকার চায় । রাজ্য সরকারের চালু প্রকল্প SSY বেমালুম চেপে যাওয়া হচ্ছে । এর তীব্র বিরোধিতা করছি ।" ইতিমধ্যে রাজ্যের সব ট্রেড ইউনিয়ন চিঠি দিয়ে শ্রমমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার দাবি জানিয়েছে । রাজ্যের অসংগঠিত শ্রমিক কাজহারা মানুষের প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে, বিনামূল্যে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের ঘোষিত পরিমাণ রেশন দিতে হবে এবং প্রত্যেকের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে । ভিনরাজ্যে থাকা শ্রমিকদের বিশেষ ব্যবস্থা করে অবিলম্বে রাজ্যে ফেরত আনার দায়িত্ব রাজ্য সরকারকে নিতে হবে বলে দাবি জানিয়েছে CITU ৷ এসবের অন্যথা হলে স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে রাজ্যজুড়ে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি সরকারকে দেওয়া হয়েছে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.