কলকাতা, 9 মার্চ: কেন্দ্রীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধি রুপালি বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে কলকাতার বিসি রায় হাসপাতাল পরিদর্শনে এলেন রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের সদস্যরা (Child Welfare Commission Visit at B C Roy Hospital) ৷ বৃহস্পতিবার সকাল 10টা নাগাদ এই প্রতিনিধিদলটি হাসপাতালে পৌঁছয় ৷ উপস্থিত ছিলেন মাতৃত্বকালীন স্বাস্থ্য আধিকারিক শ্যামলী রুদ্র ৷ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রতিনিধিদলের সদস্যরা অধ্যক্ষ দিলীপ পালের সঙ্গে প্রায় 2 ঘণ্টা বৈঠক করেন ৷ হাসপাতালের পরিকাঠামোও খতিয়ে দেখেন পরিদর্শকরা ৷ বর্তমানে হাসপাতালে কতগুলি শয্যা রয়েছে ? সেই শয্যাগুলিতে কত শিশু ভর্তি রয়েছে ? চিকিৎসাধীন শিশুরা মূলত কী ধরনের অসুখে আক্রান্ত ? তাদের চিকিৎসা কেমন চলছে ? চিকিৎসায় তারা সাড়া দিচ্ছে কি না ? হাসপাতালে পর্যাপ্ত সংখ্য়ায় চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন কি না ? ইত্যাদি নানা বিষয় নিয়ে এদিনের বৈঠকে আলোচনা করা হয় ৷
হাসপাতাল সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র অধ্যক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেই পরিদর্শনে ইতি টানেননি কেন্দ্র ও রাজ্য়ের প্রতিনিধিরা ৷ তাঁরা হাসপাতালের সমস্ত ওয়ার্ড ঘুরে দেখেন ৷ শিশুদের চিকিৎসা কেমন চলছে, তা নিজেরাই চাক্ষুস করেন ৷ তবে, হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে কোনও প্রক্রিয়া দেননি পরিদর্শকরা ৷
প্রসঙ্গত, অ্যাডিনো ভাইরাসের আতঙ্ক এখনও কাটেনি ৷ বেসরকারি এক সূত্রের দাবি, গত দু'মাসে রাজ্যে অন্তত 123টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে ৷ বাবা-মায়েদের অধিকাংশের আশঙ্কা, তাঁদের সন্তান অ্য়াডিনো ভাইরাসেরই বলি হয়েছে ৷ কিন্তু, সরকারিভাবে এর প্রমাণ পাওয়া যায়নি ৷ কারণ, অধিকাংশ শিশুরই মৃত্যুর শংসাপত্রে মৃত্যুর কারণ হিসাবে নিউমোনিয়ার উল্লেখ করা হয়েছে ৷ এদিকে, রাজ্যের মধ্যে বিসি রায় শিশু হাসপাতালেই শিশুমৃত্যুর সংখ্য়া সবথেকে বেশি ৷ এই প্রেক্ষাপটে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিকে সঙ্গে নিয়ে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের এই পরিদর্শন তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে ৷
আরও পড়ুন: অ্যাডিনো ভাইরাসে শিশু মৃত্যুতে বিধানসভায় উদ্বেগ প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর
এরই মধ্যে আশার কথা শোনাচ্ছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা ৷ তাঁরা বলছেন, গরম বাড়ছে ৷ ফলে আর কিছুদিনের মধ্যেই ভাইরাস ও রোগের প্রকোপ কমবে ৷ তবুও শিশুর অভিভাবকদের সাবধান থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ৷