কলকাতা, 20 ফেব্রুয়ারি: করোনার পর এবার নতুন এক ভাইরাসের হানা ৷ দিনে দিনে রাজ্যে ভয়াবহ আকার ধারণ করছে অ্যাডিনো ভাইরাস । সূত্রের খবর, এই রোগে আক্রান্ত হয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যে প্রাণ গিয়েছে প্রায় 11টি শিশুর । যদিও এই বিষয়ে সরকারের তরফে সঠিক কোনও তথ্য মেলেনি এখনও । তবে উত্তরবঙ্গের তুলনায় দক্ষিণের সব জায়গায় অ্যাডিনো ভাইরাসে (Adenovirus) বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা বলে জানা গিয়েছে ৷ ফলে দক্ষিণবঙ্গের হাসপাতালগুলি ক্রমেই ভরছে শিশুরোগীতে । এর মাঝেই হাসপাতালগুলির পরিদর্শনে গেল শিশু সুরক্ষা কমিশন ।
সোমবার বিসি রায় ও কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করেন রাজ্যের শিশু সুরক্ষা কমিশনের আধিকারিকরা । ফুলবাগানের বিসি রায় হাসপাতাল থেকে শুরু হয় তাঁদের এদিনের পরিদর্শন কর্মসূচি । এরপর কলকাতা মেডিক্যাল কলেজেও পরিদর্শন করেন তাঁরা । অ্যাডিনো ভাইরাস রুখতে মূলত হাসপাতালগুলিতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখতেই এই পরিদর্শন বলে জানা গিয়েছে । গত শুক্রবার শিশু সুরক্ষা কমিশনের আধিকারিকরা পরিদর্শন করেছেন পার্ক সার্কাসের ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথেও । পরিদর্শনের পাশাপাশি সচেতনতার উপরেও জোর দেওয়া হচ্ছে শিশু সুরক্ষা কমিশনের তরফে ।
মূলত তাঁদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, যদি বাড়ির বড়রা কেউ জ্বর-সর্দি-কাশিতে ভোগে তাহলে যেন ছোটোদের সংস্পর্শে তাঁরা না-আসেন । যদি কোনও শিশু অসুস্থ বোধ করে তাহলে তাকে যেন সেই সময়ে স্কুলেও না-পাঠানো হয় । বরং বাড়িতে রেখে পর্যবেক্ষণ করতে হবে শিশুটিকে ৷ এর সঙ্গে রাজ্যে সব হাসপাতালগুলির অ্যাডিনো ভাইরাস নিয়ে কী ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করছেন, সেই বিষয়েও রিপোর্ট তলব করেছে কমিশন ।
প্রসঙ্গত, ক্রমেই আতঙ্ক তৈরি হচ্ছে এই অ্যাডিনো ভাইরাসকে ঘিরে । চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে বারবার সতর্ক করা হচ্ছে । স্বাস্থ্য দফতরের এই নিয়ে রোজ বৈঠক চলছে । কলকাতার পাশাপাশি জেলাগুলিতেও অ্যাডিনো ভাইরাস নিয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর । চিকিৎসকদের মতে 2019 সালের পর থেকে এই রোগের প্রদুর্ভাব কমেছিল । তবে এই বছর আক্রান্তের সংখ্যা সর্বোচ্চ । জ্বর-সর্দি-কাশির পাশাপাশি এই রোগের মূল লক্ষণ শ্বাসকষ্ট । অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে বমিও । বেশ কিছু শিশুর টয়েলেটের ক্ষেত্রেও বেশ সমস্যা দেখা যাচ্ছে ।
আরও পড়ুন: অ্যাডিনো ভাইরাস আক্রান্ত শিশুরোগীতে ভরছে হাসপাতাল, স্বাস্থ্য দফতরে জরুরি বৈঠক