কলকাতা, 6 ফেব্রুয়ারি: কেন্দ্রীয় বাজেট পেশের পর সম্প্রতি বাংলায় এসে কেন্দ্রের দেওয়া অর্থ খরচ করতে না পারার জন্য রাজ্য সরকারকে দুষেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি (Union Minister Smriti Irani) । তাঁর দাবি ছিল, নারী এবং শিশুকল্যাণ খাতে দেওয়া 267 কোটি টাকা এখনও খরচই করেনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার । কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই বক্তব্যে যথেষ্টই অস্বস্তির কারণ নবান্নের জন্য । আর তাই কেন্দ্রের তরফে প্রকাশ্যে এমন বক্তব্য আসার পর নড়েচড়ে বসল রাজ্যের প্রধান প্রশাসনিক ভবন ।
মঙ্গলবার এই নিয়ে জরুরি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডেকেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী (Chief Secretary of West Bengal) । এখনও পর্যন্ত যতটুকু জানা গিয়েছে তাতে আগামিকাল দুপুর তিনটের সময় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে । মুখ্যসচিব ছাড়াও এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন নারী-শিশু এবং সমাজ কল্যাণ দফতরের আধিকারিকেরা । একইসঙ্গে এই বৈঠকে রাজ্যের প্রত্যেক জেলায় নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরের (department of women and child development) সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকদের ভার্চুয়ালি যোগ দিতে বলা হয়েছে ৷
সূত্রের খবর, এই বৈঠকে নবান্নের তরফে দফতরের আধিকারিকদের কাছে জানতে চাওয়া হবে, কেন্দ্রীয় নারী এবং শিশু কল্যাণ মন্ত্রক থেকে দেওয়া 267 কোটি 51 লক্ষ টাকা কেন সময়ে খরচ করা গেল না । শনিবার রাজ্যে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি ৷ তাঁর অভিযোগ ছিল ৷ রাজ্যের কোষাগারে কেন্দ্রের দেওয়া 267 কোটি টাকা পড়ে রয়েছে । রাজ্য সরকার এই অর্থ খরচ করতেই পারেনি । কেন কেন্দ্রীয় সরকারের পাঠান এই অর্থ রাজ্য সরকার খরচ করতে পারেনি তার জবাব চেয়েছিলেন তিনি ।
আরও পড়ুন: কেন্দ্র টাকা বাড়িয়েছে বহুগুণ, খরচ করেনি রাজ্য ! তোপ স্মৃতির
মূলত স্মৃতির প্রশ্নের সেই জবাব খুঁজতেই এই বৈঠক বলে মনে করা হচ্ছে । নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবারের এই বৈঠক থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করতে পারেন মুখ্যসচিব । আগে ঠিক ছিল মঙ্গলবার পঞ্চায়েত দফতরের বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে পর্যালোচনা করবেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী । কিন্তু গত শনিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সমালোচনার পর মুখ্যসচিবের তরফ থেকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে পড়ে থাকা অর্থ যাতে দ্রুত ব্যবহার করা যায় তার উপরে ।
এই বৈঠকে যেমন নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরের সমস্ত জেলার আধিকারিকদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে, তেমনই প্রত্যেক জেলার জেলা শাসককেও এই বৈঠকে ভার্চুয়ালি যোগ দিতে বলা হয়েছে ৷ এমনিতেই একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পে কাজ করার পরেও রাজ্যকে কেন্দ্রের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হচ্ছে বরাদ্দের জন্য । এই অবস্থায় কেন্দ্রের বরাদ্দকৃত অর্থ খরচ করতে না পারার অভিযোগ রাজ্যের একটা খারাপ ভাবমূর্তি তুলে ধরতে পারে । আর সেই কারণেই এই অর্থ দ্রুত খরচ করার জন্য উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার ৷