কলকাতা, 2 নভেম্বর : শিকেয় উঠল ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনালের নির্দেশ । কাজ করল না রাজ্য সরকারের বিধিনিষেধও । গেটের তালা ভেঙে রবীন্দ্র সরোবরে ঢুকে এ বছরও যথারীতি ছটপুজো করা হল । না, দেখার কেউ ছিলেন না । ছিল না কোনও পুলিশ । নিরাপত্তারক্ষীরা কার্যত ঠুঁটো জগন্নাথ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন গেটের সামনে । পরে অবশ্য ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ৷
ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনালের নির্দেশ ছিল, রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো করা যাবে না । গত বছরও একই নির্দেশিকা ছিল । কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞাকে তুড়ি মেরে রবীন্দ্র সরোবরে হয়েছিল ছটপুজো । এবার যাতে তা কোনওভাবেই না হয়, তা নিশ্চিত করতে চাইছিল লালবাজার । কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর ছিল, পর্যাপ্ত পুলিশি ব্যবস্থা থাকবে রবীন্দ্র সরোবরে । রাজ্য সরকারের তরফে রবীন্দ্র সরোবরের বিকল্প হিসেবে শহরের দশটি অতিরিক্ত ঘাটে এ বছর ছটপুজোর আয়োজন করা হয় । কিন্তু কোথায় কী? আজ সকালেই শুরু হয় গন্ডগোল । রবীন্দ্র সরোবরের গেটের তালা ভেঙে ফেলে কয়েকজন । তাদের বাধা দিয়েছিল নিরাপত্তারক্ষীরা । নিরাপত্তারক্ষীদের ও প্রাতর্ভ্রমণকারীদের সঙ্গে রীতিমতো বচসা বেধে যায় ছটপুজো করতে আসা ওই যুবকদের । খবর পেয়ে রবীন্দ্র সরোবর থানা থেকে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ । তখনকার মতো গন্ডগোল থেমে গেলেও পরে আবার শুরু হয় বিক্ষোভ । ভেঙে ফেলা হয় গেটের তালা । তারপর থেকে আর পুলিশের দেখা মেলেনি । দুপুর গড়াতেই যথারীতি রবীন্দ্র সরোবরে শুরু হয় ছটপুজো ।
পরিচিত দৃশ্য দেখা যায় কিছু পরেই । তারস্বরে বাজতে থাকে বাদ্যযন্ত্র । গাড়িতে দেখা যায় সাউন্ড বক্স । পুলিশি নজরদারির অভাবেই এমন ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পরিবেশকর্মীদের । সরোবরে লাগানো KMD-এর নোটিশও ছেঁড়া হয় বলে অভিযোগ । এই ঘটনায় 6 জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ৷ তবে, এত বিধিনিষেধ সত্ত্বেও এই ধরনের ঘটনার পর প্রশ্ন উঠছে পরিবেশ দূষণের হাত থেকে রবীন্দ্র সরোবরকে তাহলে বাঁচাবে কে ?