কলকাতা, 13 জুন : মারপিটে গুরুতর আহত হয়েছিলেন । রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে আনা হয়েছিল বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে । বৃহস্পতিবার ভোররাতে তাঁর অপারেশন হয়। পাশাপাশি গতকাল তাঁর সোয়াবের নমুনা রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে । এদিকে একদিনের মধ্যেই হাসপাতালের বিল হয়ে যায় দেড় লাখ টাকা । সেটা জানতে পেরেই রোগীর পরিবার এবং পাড়ার লোকজন ওই রোগীকে অন্যত্র নিয়ে যেতে চায় । আর সেই দাবিতে গতকাল গভীর রাতে রীতিমতো তাণ্ডব চলে ওই বেসরকারি হাসপাতালের সামনে ।
জানা গেছে, মুকুন্দপুর এলাকার গঙ্গানগরের বাসিন্দা 29 বছরের এক যুবক বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এলাকার কয়েকজনের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন । চলে মারপিট । তার জেরে কানের পাশে গুরুতর আঘাত পান ওই যুবক । তাঁকে তড়িঘড়ি বাইপাস লাগোয়া একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় । হাসপাতালে দাবি, ওইদিন ভোররাতে তাঁর অপারেশন করে জীবন বাঁচানো হয় । অপারেশন এবং আনুষঙ্গিক অন্যান্য খরচপাতি মিলিয়ে বিল হয়ে যায় দেড় লাখ টাকা । একদিনে দেড় লাখ টাকা বিলের কথা শুনে রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়ে এলাকার মানুষজন । দিনভর চেষ্টা চরিত্র করে বিকেলে মোট বিলের 25 শতাংশ টাকা হাসপাতালে জমা করে রোগীকে ছাড়িয়ে নিয়ে যেতে চায় তারা । কিন্তু অভিযোগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে ছাড়তে চায়নি । তাঁর জেরে শুরু হয়ে যায় গন্ডগোল।
এদিকে হাসপাতালের তরফে দাবি করা হয়েছে, স্বাস্থ্য দপ্তরের গাইডলাইন মেনে ওই রোগীর সোয়াবের নমুনা পাঠানো হয়েছিল। সেই রিপোর্ট পজ়িটিভ আসার পর রোগীকে ছাড়ার প্রশ্নই ওঠে না । নিয়ম অনুযায়ী বিষয়টি জানাতে হয় স্বাস্থ্য দপ্তরকে । স্বাস্থ্য দপ্তরের সবুজ সঙ্কেতে ওই রোগীকে নির্দিষ্ট হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় । এক্ষেত্রেও সেই কারণে রোগীকে ছাড়া হয়নি। ঘটনার জেরে হাসপাতালের তরফে পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়েছে । গোটা ঘটনার CCTV ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ । খতিয়ে দেখা হচ্ছে হাসপাতালের ভূমিকা ।