কলকাতা, 11 ডিসেম্বর: অমিত শাহের উপস্থিতিতে পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদের বৈঠকে রাজ্যের বকেয়া নিয়ে সরব হলেন রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। প্রসঙ্গত, গতকাল অর্থাৎ রবিবার পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদের বৈঠক বসেছিল পটনায়। এই বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যোগ না-দিলেও তাতে ছিলেন রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শাহের উপস্থিতিতেই রাজ্যকে বঞ্চনা নিয়ে সরব হলেন তিনি।
শুধু তাই নয় ৷ 100 দিনের কাজ, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা থেকে শুরু করে একের পর এক কেন্দ্রীয় প্রকল্পে রাজ্য যে তার প্রাপ্য টাকা পাচ্ছে না এই বৈঠকে সে কথাই তুলে ধরেন তিনি। প্রসঙ্গত, সোমবার টেলিফোনিক বার্তায় তিনি ইটিভি ভারতকে বলেন, "আমি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে রাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলির অর্থ না-দেওয়ার প্রসঙ্গ তুলে ধরেছি। একের পর এক প্রকল্পে রাজ্যকে যে টাকা দেওয়া হচ্ছে না সেই বক্তব্য এই বৈঠকে তুলে ধরা হয়েছে।"
তিনি আরও বলেন, "স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাতে উত্তর দিয়েছেন এই মুহূর্তে যেমন 15 ফিন্যান্স কমিশনের টাকা বকেয়া রয়েছে, একইভাবে বকেয়া রয়েছে মনরেগার টাকাও। এই বৈঠকে আমি বলছি কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে মনরেগার টাকা দিচ্ছে না, স্বাস্থ্য মিশনের টাকাও আটকে দিয়েছে। মিড-ডে মিল থেকে শুরু করে গ্রাম সড়ক যোজনা সব কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বঞ্চনার কথাই এই বৈঠকে তুলে ধরা হয়েছে। কেন্দ্রীয় বঞ্চনা কোন পর্যায়ে গিয়েছে বোঝাতে তা বোঝাতে গত 17-18 অর্থবর্ষে বন্ধ হয়ে যাওয়া বিআরজিএস এর টাকাও যে রাজ্য এখনও পায়নি সে কথাই তুলে ধরা হয়েছে।" কিন্তু রাজ্যের এই বক্তব্য শোনার পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কী জানিয়েছেন তা তিনি বলেননি।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি 100 দিনের কাজ-সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বঞ্চনা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার দিল্লিতে পর্যন্ত ধরনা দিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রেড রোডে ধরনা এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দিল্লি অভিযানের পরও 100 দিনের প্রকল্প থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রকল্পে বন্ধ থাকা টাকা পাওয়া যায়নি। এই অবস্থায় রবিবার পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদের বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সামনে রাজ্যকে বঞ্চনার অভিযোগে আদতে শেষ পর্যন্ত কাজ হয় কি না, সেটাই দেখার।
আরও পড়ুন: