ETV Bharat / state

সেন্ট জ়েভিয়ার্সের সমাবর্তন মঞ্চ থেকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে কটাক্ষ ধনকড়ের

সেন্ট জ়েভিয়ার্সের সমাবর্তনে আমন্ত্রিত ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্য়ায় । কিন্তু অসুস্থতার কারণে আসতে পারেননি তিনি । তা নিয়ে সমাবর্তন মঞ্চ থেকে তাঁকে কটাক্ষ করলেন আচার্য জগদীপ ধনকড় ।

Jagdeep Dhankhar
জগদীপ ধনকড়
author img

By

Published : Jan 17, 2020, 3:35 AM IST

কলকাতা, 17 জানুয়ারি : সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের সমাবর্তন মঞ্চ থেকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা দিলেন রাজ্যপাল তথা আচার্য জগদীপ ধনকড় । তাঁর বক্তব্য, তিনি যেখানেই যান সেখানেই কেউ না কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েন । গতকাল সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের সমাবর্তন অনুষ্ঠান ছিল । সেখানে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অনুপস্থিত থাকায় এমন কটাক্ষ করেন রাজ্যপাল ।

সাম্প্রতিককালে একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন নিয়ে বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে রাজ্যপাল তথা আচার্য জগদীপ ধনকড়কে । কখনও রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন হওয়ার আগের দিনই তা বাতিল করা হয়েছে । আবার কখনও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তন অংশগ্রহণ করতে গিয়েও বিক্ষোভের মুখে পড়ে ফিরে যেতে হয়েছে তাঁকে । সম্প্রতি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনেও তাঁর উপস্থিতি নিয়ে জলঘোলা হয়েছে । ২৮ জানুয়ারি তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বলে জানালেও শিক্ষামন্ত্রীর মুখে শোনা গেছে, রাজ্যপালকে ছাড়াই হবে সমাবর্তন । অন্যদিকে, তিনি সমাবর্তনে উপস্থিত হলেও তাঁকে পড়ুয়াদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে । এরই মধ্যে আজ সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করতে পেরে তিনি যে বেজায় খুশি তা প্রকাশ পেল সমাবর্তন মঞ্চ থেকে তাঁর বক্তৃতা থেকে ।

তিনি যে সেন্ট জেভিয়ার্সের সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করতে পেরে খুশি শুধু তাই নয়, সেন্ট জেভিয়ার্সের ব্যবহারকে উদাহরণ হিসেবে রেখে রাজ্যের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির প্রতি কটাক্ষের সুরও চড়িয়েছেন জগদীপ ধনকড় । তিনি বলেন, "যখনই সেন্ট জেভিয়ার্সে থাকি বা ফাদার ডমিনিকের সংস্পর্শে থাকি তখনই আমি নিজের ঘরে রয়েছি বলে মনে করি । প্রতি সময়ে আমি উদ্যমী, উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত হই । কিন্তু আমি এখানে যা দেখলাম সেটা অনবদ্য । এটা সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুকরণ করা উচিত । আপনারা আমাকে যা দিলেন তার উল্লেখ আমি সারা বছর করব । যাতে আমাদের শিক্ষার পরিবেশ এবং আমাদের শিক্ষার মন্দির আপনাদের মতো ব্যবহার করে ।"

সেন্ট জ়েভিয়ার্স কলেজের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় । তা সত্ত্বেও সেন্ট জেভিয়ার্সে আসেননি সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় । জানা গেছে, অনুষ্ঠানে আজ অনুপস্থিতির কারণে হিসেবে অসুস্থতার কথা জানিয়েছেন তিনি । তবে, উপাচার্যের অসুস্থতা নিয়ে রাজ্যপাল যে ক্ষুব্ধ হয়েছেন তা সমাবর্তন মঞ্চে তাঁর বক্তব্য থেকে স্পষ্ট । তিনি কটাক্ষ করে বলেন, "আমি ভেবেছিলাম আজ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাব । যেহেতু, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক আশীষ কুমার বন্দোপাধ্যায় সন্মানিত হচ্ছেন । আমি তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি । এর জন্য আমি কিছুটা দায়ি। বেশ কিছু জায়গা যেখানে আমি গিয়েছি সেখানে কেউ না কেউ অসুস্থ হয়ে গেছেন । মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন সঠিক উদ্দেশ্যে । ৩০ বছর আগে আমি যখন পার্লামেন্টারি আফেয়ার্স মিনিস্টার ছিলাম তখন আমাকেও অসুস্থ করে দেওয়া হতো ।"

কলকাতা, 17 জানুয়ারি : সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের সমাবর্তন মঞ্চ থেকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা দিলেন রাজ্যপাল তথা আচার্য জগদীপ ধনকড় । তাঁর বক্তব্য, তিনি যেখানেই যান সেখানেই কেউ না কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েন । গতকাল সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের সমাবর্তন অনুষ্ঠান ছিল । সেখানে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অনুপস্থিত থাকায় এমন কটাক্ষ করেন রাজ্যপাল ।

সাম্প্রতিককালে একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন নিয়ে বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে রাজ্যপাল তথা আচার্য জগদীপ ধনকড়কে । কখনও রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন হওয়ার আগের দিনই তা বাতিল করা হয়েছে । আবার কখনও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তন অংশগ্রহণ করতে গিয়েও বিক্ষোভের মুখে পড়ে ফিরে যেতে হয়েছে তাঁকে । সম্প্রতি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনেও তাঁর উপস্থিতি নিয়ে জলঘোলা হয়েছে । ২৮ জানুয়ারি তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বলে জানালেও শিক্ষামন্ত্রীর মুখে শোনা গেছে, রাজ্যপালকে ছাড়াই হবে সমাবর্তন । অন্যদিকে, তিনি সমাবর্তনে উপস্থিত হলেও তাঁকে পড়ুয়াদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে । এরই মধ্যে আজ সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করতে পেরে তিনি যে বেজায় খুশি তা প্রকাশ পেল সমাবর্তন মঞ্চ থেকে তাঁর বক্তৃতা থেকে ।

তিনি যে সেন্ট জেভিয়ার্সের সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করতে পেরে খুশি শুধু তাই নয়, সেন্ট জেভিয়ার্সের ব্যবহারকে উদাহরণ হিসেবে রেখে রাজ্যের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির প্রতি কটাক্ষের সুরও চড়িয়েছেন জগদীপ ধনকড় । তিনি বলেন, "যখনই সেন্ট জেভিয়ার্সে থাকি বা ফাদার ডমিনিকের সংস্পর্শে থাকি তখনই আমি নিজের ঘরে রয়েছি বলে মনে করি । প্রতি সময়ে আমি উদ্যমী, উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত হই । কিন্তু আমি এখানে যা দেখলাম সেটা অনবদ্য । এটা সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুকরণ করা উচিত । আপনারা আমাকে যা দিলেন তার উল্লেখ আমি সারা বছর করব । যাতে আমাদের শিক্ষার পরিবেশ এবং আমাদের শিক্ষার মন্দির আপনাদের মতো ব্যবহার করে ।"

সেন্ট জ়েভিয়ার্স কলেজের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় । তা সত্ত্বেও সেন্ট জেভিয়ার্সে আসেননি সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় । জানা গেছে, অনুষ্ঠানে আজ অনুপস্থিতির কারণে হিসেবে অসুস্থতার কথা জানিয়েছেন তিনি । তবে, উপাচার্যের অসুস্থতা নিয়ে রাজ্যপাল যে ক্ষুব্ধ হয়েছেন তা সমাবর্তন মঞ্চে তাঁর বক্তব্য থেকে স্পষ্ট । তিনি কটাক্ষ করে বলেন, "আমি ভেবেছিলাম আজ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাব । যেহেতু, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক আশীষ কুমার বন্দোপাধ্যায় সন্মানিত হচ্ছেন । আমি তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি । এর জন্য আমি কিছুটা দায়ি। বেশ কিছু জায়গা যেখানে আমি গিয়েছি সেখানে কেউ না কেউ অসুস্থ হয়ে গেছেন । মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন সঠিক উদ্দেশ্যে । ৩০ বছর আগে আমি যখন পার্লামেন্টারি আফেয়ার্স মিনিস্টার ছিলাম তখন আমাকেও অসুস্থ করে দেওয়া হতো ।"

Intro:কলকাতা, ১৬ জানুয়ারি: সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের সমাবর্তন মঞ্চ থেকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালী চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা দিলেন রাজ্যপাল তথা আচার্য জগদীপ ধনকড়। তাঁর বক্তব্য, তিনি যেখানেই যান সেখানেই কেউ না কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েন। আজ সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের সমাবর্তন অনুষ্ঠান ছিল। সেখানেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অনুপস্থিত থাকায় এমন কটাক্ষ করেন রাজ্যপাল।
Body:সাম্প্রতিককালে একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন নিয়ে বাঁধার সম্মুখীন হতে হয়েছে রাজ্যপাল তথা আচার্য জগদীপ ধনকড়কে। কখনও রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন হওয়ার আগের দিনই তার বাতিল করা হয়েছে, আবার কখনো যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তন অংশগ্রহণ করতে গিয়েও বিক্ষোভের মুখে পড়ে ফিরে যেতে হয়েছে তাঁকে। সম্প্রতি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনেও তাঁর উপস্থিতি নিয়ে জলঘোলা হয়েছে। আগামী ২৮ জানুয়ারি তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বলে জানালেও কখনও শিক্ষামন্ত্রীর মুখে শোনা গেছে, রাজ্যপালকে ছাড়াই হবে সমাবর্তন। অন্যদিকে, তিনি সমাবর্তনে উপস্থিত হলেও তাঁকে পড়ুয়াদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এরই মধ্যে আজ সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করতে পেরে তিনি যে বেজায় খুশি তা প্রকাশ পেল সমাবর্তন মঞ্চ থেকে তাঁর বক্তৃতা থেকে।

তিনি যে সেন্ট জেভিয়ার্সের সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করতে পেরে খুশি শুধু তাই নয়, সেন্ট জেভিয়ার্সের ব্যবহারকে উদাহরণ হিসেবে রেখে রাজ্যের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির প্রতি কটাক্ষের সুরও চড়িয়েছেন জগদীপ ধনকর। তিনি বলেন, "আমি নিজের ঘরে রয়েছি বলে মনে করি যখনই সেন্ট জেভিয়ার্সে থাকি বা ফাদার ডমিনিকের সংস্পর্শে থাকি। প্রতি সময় আমি এনার্জাইজ, মোটিভেটেড, ইন্সপায়ার হই। কিন্তু, আজ আমি এখানে যা দেখলাম সেটা আমেজিং। এটা সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুকরণ করা উচিত। আজ আপনারা আজ আমাকে যা দিলেন আমি সেটা নিয়ে বলতেই থাকব পুরো বছর ধরে। যাতে আমাদের শিক্ষার পরিবেশ এবং আমাদের শিক্ষার মন্দির আপনাদের মতো ব্যবহার করে।"

আজ সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তাঁর উপস্থিত থাকারও কথা ছিল বলে জানা গেছে। তাই সত্ত্বেও এদিন সেন্ট জেভিয়ার্সে আসেননি সোনালী চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গেছে, অনুষ্ঠানে আজ অনুপস্থিতির কারণে হিসেবে অসুস্থতা কথা জানিয়েছেন তিনি। তবে, উপাচার্যের অসুস্থতা নিয়ে আজ রাজ্যপাল যে ক্ষুব্ধ হয়েছেন তা সমাবর্তন মঞ্চে তাঁর বক্তব্য থেকে স্পষ্ট। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের অসুস্থ থাকার বিষয়ে কটাক্ষ করে বলেন, "আমি ভেবেছিলাম আজ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাব। যেহেতু, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক আশীষ কুমার বন্দোপাধ্যায় সন্মানিত হচ্ছেন। আমি তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। এর জন্য আমি কিছুটা দায়ী। বেশ কিছু জায়গা যেখানে আমি গিয়েছি সেখানে কেউ না কেউ অসুস্থ হয়ে গেছেন। মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন সঠিক উদ্দেশ্যে। ৩০ বছর আগে আমি যখন পার্লামেন্টারি আফেয়ার্স মিনিস্টার ছিলাম তখন আমাকেও অসুস্থ করে দেওয়া হতো।"
Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.