কলকাতা, 12 অগাস্ট : রাজ্যের বেশ কিছু উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান গবেষণার মাধ্যমে করা নতুন আবিস্কারে রাজ্যের চেম্বার অফ কমার্সের থেকে যথোপযুক্ত সাহায্য পাচ্ছে না । আক্ষেপের সুরে বললেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাশ। তিনি এই প্রসঙ্গে COVID-19 নিয়ে চলা পরিস্থিতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সাম্প্রতিক দুটি গবেষণার কথা তুলে ধরেন।
তিনি জানান, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সট্রুমেন্টেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ওই দুটি আবিস্কার শহরের বিজ়নেস চেম্বারদের থেকে কোনও সাহায্য পায়নি।
গতকাল শিক্ষা সংক্রান্ত একটি ওয়েবিনারে সুরঞ্জন দাশ বলেন, "আমাদের ইন্সট্রুমেন্টেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ দুটি আবিস্কার করেছে। একটি অ্যাডভান্স টেকনোলজি যা ভিড়ের মধ্যে মাস্ক না পরে থাকা মানুষদের চিহ্নিত করবে ও দ্বিতীয়টি হল একটি ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক মাস্ক । যার সংস্পর্শে কোনও জীবাণু এলেই তাকে সঙ্গে সঙ্গে ধ্বংস করে দিতে পারে। আমি একাধিক বিজনেস চেম্বারকে এই আবিস্কারগুলির পেটেন্ট পেতে আর্থিক সাহায্য চেয়ে চিঠি লিখেছি। কিন্তু, কোনও উত্তর পাইনি। অ্যামেরিকার হাউসটন ইউনিভার্সিটি খুব শীঘ্রই আমাদের সঙ্গে মৌ-চুক্তি সাক্ষর করতে চলেছে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক মাস্ক নিয়ে। এর মাধ্যমে তারা ওখানে ওই মাস্ক উৎপাদন করবে । সুতরাং, আমাদের রাজ্যের মানুষরা আমাদের নিজেদের আবিষ্কারের সুবিধা নিতে পারবে না।"
সুরঞ্জন দাশের মতে, বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই প্রাতিষ্ঠানিকস্তরে হওয়া আবিস্কারগুলি বিজ়নেস চেম্বাররা নিয়ে নেয়। ফলে, সেখানকার অর্থনৈতিক কার্যকরিতার সঠিক ব্যবহার হয়। তিনি শিক্ষা ও শিল্পের মধ্যে সংযোগ আরও মজবুত করতে রাজ্য সরকারের প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন ওয়েবিনারে। জানান, পড়ুয়াদের এমপ্লয়বিলিটির আরও বেশি উন্নতি ঘটবে বিজ়নেস চেম্বারদের থেকে সক্রিয় সাহায্য পেলে।