কলকাতা, 5 জুলাই: রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আর বাকি আর মাত্র দু'দিন ৷ কিন্তু বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা নিয়ে এখনও কাটল না ধোঁয়াশা। ভোটের 48 ঘণ্টা আগে বুধবার ফের কেন্দ্রকে বাহনী নিয়ে চিঠি পাঠাল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
রাজ্যে ভোটের জন্য মোট 822 কোম্পানি বাহিনী চেয়েছিল কমিশন ৷ যার মধ্য়ে প্রথমে 22 কোম্পানি এবং পরে 315 কোম্পানি বাহিনী মঞ্জুর করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ৷ বাহিনী পৌঁছেও যায় রাজ্যে ৷ কিন্তু গোল বাঁধে বাকি 485 কোম্পানি বাহিনী নিয়ে ৷ আদৌ সেই সংখ্যক বাহিনী কেন্দ্র পাঠাবে কি না, তা নিয়েও সন্ধিহান ছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন ৷ শেষ পর্যন্ত অবশ্য, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক চিঠি দিয়ে সোমবার জানিয়ে দেয় তারা বাকি বাহিনীও পাঠাচ্ছে ৷ কিন্তু সেই বাহিনী এখনও রাজ্যে এসে না-পৌঁছনোয় ফের কেন্দ্রকে চিঠি দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন ৷
যদিও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, কেন্দ্রের তরফে বারবার জানানো হয়েছিল, খুব দ্রুত রাজ্যে এসে পৌঁছবে বাকি বাহিনী। কিন্তু তা না আসতেই আবারও এদিন সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। অন্যদিকে, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারে প্রতিটি স্পর্শকাতর বা অতিস্পর্শকাতর বুথে রাখতে হবে 50 শতাংশ অনুপাতে সশস্ত্র বাহিনী। এর সঙ্গেই কমিশনের দাবি, বাহিনী এসে পৌঁছলেই হবে না ৷ সেই বাহিনীকে এরিয়া ডমিনেশনের কাজে ব্যবহার করতে হবে ৷ বিভিন্ন জেলায় মোতায়েন করতে হবে ৷ যা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার ৷ কিন্তু এদিনও বাহিনী না এসে পৌঁছনোয় চিন্তায় পড়েছে কমিশনের কর্তারা ৷
আরও পড়ুন: প্রাক্তন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে শান্তি কমিটি গঠন রাজ্যপালের
এর সঙ্গেই কমিশনের কাছে নতুন এক মাথা ব্যথার কারণ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশিকা ৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে কোন জেলায় কত বাহিনী বলা হলেও হাফ সেকশন বাহিনীকে কীভাবে ব্যবহার হবে সেটা স্পষ্ট করে বলা হয়নি নির্দেশিকায়। সূত্রের খবর, এর ফলে কিছুটা ক্ষোভ জানিয়েই চিঠি দিল কমিশন। অন্য দিকে পুলিশ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের খাতায় এখনও মৃতের সংখ্যা পাঁচেই আটকে রয়েছে। তবে প্রায় 229টি বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র এবং 841টি বোমা উদ্দার হয়েছে রাজ্যে ৷