কলকাতা, 8 অক্টোবর : "যথেষ্ট হয়েছে, নিজেদের প্রেস্টিজ ফাইট বন্ধ করুন, জনগণ দেখছে ৷" সিবিআই-ইডি আধিকারিকদের রাজ্য় বিধানসভার স্পিকারের চিঠি সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে শুক্রবার এমনই মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মানথার। পাশাপাশি, মামলাটি আর শোনার প্রয়োজন নেই বলে মনে করে এদিন মামলাটির নিষ্পত্তিও করে দিয়েছেন তিনি।
এদিন মামলার শুনানিতে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন,"এটা কোনও সমন নয় ৷ স্পিকার একটা চিঠি পাঠিয়েছিলেন সিবিআই ও ইডি আধিকারিকদের।" পাল্টা কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, "অকারণ হেনস্থা করার জন্য স্পিকার এটা করেছেন। ভবিষ্যতে এই ধরনের বিষয় যেন পুনরায় উত্থাপন করা না হয়।"
আরও পড়ুন : CBI-ED : বিধানসভার অধ্যক্ষের সমন অগ্রাহ্য সিবিআই-ইডি’র
উল্লেখ্য, সিবিআই অফিসার ও ইডি আধিকারিকদের আপাতত বিধানসভার স্পিকারের কাছে হাজিরা দেওয়ার প্রয়োজন নেই বলে বৃহস্পতিবার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজশেখর মানথা । আজ ফের মামলাটি শোনার কথা ছিল তাঁর ৷ কিন্তু এদিন শুনানির পর তিনি যেভাবে মামলার নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন তাতে সিবিআই-ইডি অফিসারদের স্পিকারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার বিষয়টিই অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ল । যদিও, স্পিকার যদি পুনরায় তাদের দেখা করতে যাওয়ার জন্য নোটিশ পাঠান সেক্ষেত্রে তারা ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করতে পারেন বলেই মনে করছেন আইনজীবীরা।
নারদ মামলায় তিন তৃণমূল নেতা তথা বিধায়ক ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও মদন মিত্রকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই । পাশাপাশি, এদের বিরুদ্ধে সিবিআই ও ইডি চার্জশিটও জমা দেয় নিম্ন আদালতে । কিন্তু চার্জশিট দেওয়ার আগে রাজ্য বিধানসভার স্পিকারের অনুমতি নেওয়া আবশ্যক বলে দাবি করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই সম্মতি নেওয়া না হওয়ায় এই দুই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে গত 22 সেপ্টেম্বর বিধানসভায় তাঁর কার্যালয়ে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন রাজ্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তারপরেই স্পিকারের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সিবিআই ও ইডি আধিকারিকরা।