কলকাতা, 17 মে: রাজভবনের পাশে শরাফ হাউসে আগুন লাগার ঘটনার পর আইনজীবীদের জরুরি কাগজ বের করতে দিচ্ছে না পুলিশ। এই অভিযোগকে সামনে রেখে আদালতের দ্বারস্থ হলেন আইনজীবীরা। মামলা দায়েরের অনুমতি দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। উল্লেখ্য ওই বাড়িতে হাইকোর্টের অনেক আইনজীবীর চেম্বার ছিল। ওই চেম্বারে এখনও রয়ছে বহু জরুরি মামলার নথিপত্র। রয়েছে টাকা থেকে শুরু করে অন্য দরকারি জিনিসও। এই জিনিস বার করতে না-পেরে মুশকিলে পড়ছেন আইনজীবীরা। এমতাবস্থায় দায়ের হল মামলা।
আইনজীবীদের দাবি, পুলিশকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিক আদালত। যাতে ওই ভবনে থাকা নথি থেকে শুরু করে অন্য দরকারি জিনিস বের করতে আইনজীবীদের সমস্যায় না পড়তে হয়। সেই মামলা দায়েরের অনুমোদন দিল কলকাতা হাইকোর্ট। গত বুধবার সকাল 11টা নাগাদ রাজভবনের পাশেই শরাফ হাউসে আগুন লাগে। দমকলের প্রায় 14টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় দুপুর নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। দমকল সূত্রে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। কিন্তু বৃহস্পতিবার একজনের দেহ উদ্ধার হয়। আগুন লাগার ঘটনার পর উদবিগ্ন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বেরিয়ে আসেন রাজভবন থেকে। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বেলারদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন। দিনের ব্যস্ত সময়ে শহরের সবচেয়ে ব্যস্ত এলাকায় আগুন লাগার ঘটনা ঘিরে স্বভাবতই চাঞ্চল্য ছড়ায়। এরপর থেকেই শরাফ হাউসে তৎপরতা বাড়ে পুলিশের ।
আরও পড়ুন: মমতা-অভিষেকের পাড়ায় চাকরিপ্রার্থীদের হ্যারিকেন মিছিলে 'না' হাইকোর্টের
উল্লেখ্য, যাঁর মৃত্যু হয়েছিল তাঁর নাম শ্য়াম সুন্দর সাহা। ওই ব্যক্তির বয়স 65। তাঁর বাড়ি উত্তর 24 পরগনার আগরপাড়ায়। আগুন লাগার পরে তিনি সেখানে আটকে পড়েছিলেন। তাঁর দেহ এতটাই ঝলসে গিয়েছিল যে প্রথমে সনাক্ত করা যাচ্ছিল না। তবে পরে আইডি কার্ড দেখে দমকল কিছুটা নিশ্চিত হতে পেরেছে। আগুন লাগার দিন দুপুর দেড়টা নাগাদ দমকল জানায়, আগুন পুরোপুরি আয়ত্তে। তবে তার একদিন পরে সেখান থেকে মেলে ওই বৃদ্ধের দগ্ধ দেহ। এবার এই অগ্নিকাণ্ড ঘিরে মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে।
পুলিশি নিরাপত্তায় শরাফ হাউস থেকে টাকাপয়সা-সহ কাগজপত্র বের করতে পারবেন আইনজীবীরা ৷ নির্দেশ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার। বৃহস্পতিবার সকাল 10টা থেকে দুপুর 12টা'র মধ্যে বের করে আনতে হবে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র।