ETV Bharat / state

পূরণ হল না ক্যানসার-মুক্তির স্বপ্ন, মৃত্যু লিভার গ্রহীতার - Chinmoy Ghosh

লিভার প্রতিস্থাপন সফল হলে ক্যানসার থেকে মুক্তি পাবেন গ্রহীতা । সেই মোতাবেক লিভারও প্রতিস্থাপিত হয় বিধান অধিকারীর শরীরে । কিন্তু শেষ রক্ষা হল না । গতকাল বিকাল 5টা 40 মিনিটে মৃত্যু হয় তাঁর ।

বিধান অধিকারী
author img

By

Published : Jul 20, 2019, 10:51 PM IST

Updated : Jul 21, 2019, 3:20 PM IST

কলকাতা, 20 জুলাই : লিভার প্রতিস্থাপন সফল হলে ক্যানসার থেকে মুক্তি পাবেন গ্রহীতা । এমনই জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা । তাই আশায় ছিলেন পরিজনরা । তবে, শেষ পর্যন্ত পূরণ হল না ক্যানসার থেকে মুক্তির স্বপ্ন । গতকাল বিকেলে মৃত্যু হল ওই লিভার গ্রহীতার । নাম বিধান অধিকারী (54) । বাড়ি বনগাঁর গোপালনগরের আকাইপুরে । একটি সরকারি স্কুলের ক্লার্ক ছিলেন তিনি ।

দেড় বছর ধরে অসুস্থ ছিলেন বিধানবাবু । প্রথম তাঁর হার্নিয়া অপারেশনের হয় । সেসময় জানা যায় তাঁর হেপাটাইটিস B আছে । এর কয়েকদিন পরে সিরোসিস অফ লিভার ধরা পড়ে । সেসময় তাকে SSKM নিয়ে নিয়ে আসা হয় । তখনই চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, তাঁর লিভার প্রতিস্থাপন প্রয়োজন । এর কয়েক মাস পর তাঁর লিভারে একটি টিউমার ধরা পড়ে । চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত । টিউমারটি যাতে তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায় তার জন্য এক মাস আগে SSKM-এ তাঁর একটি অপারেশনও করা হয় ।

এদিকে, পথ দুর্ঘটনায় আহত হয়ে প্রথমে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ভরতি হয়েছিলেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির বাসিন্দা চিন্ময় ঘোষ (36) । পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে কলকাতায় মিন্টো পার্কের কাছে একটি বেসরকারি হাসপাতালে রেফার করা হয় । সেখানেই সোমবার ব্রেন ডেথ ঘোষণা করা হয় চিন্ময়বাবুর । অঙ্গদানের বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতেন চিন্ময়বাবু । তাই ব্রেন ডেথের পর তাঁর হার্ট, লিভার, দুই কিডনি, কর্নিয়া, স্কিন দান করার সিদ্ধান্ত নেন পরিবারের সদস্যরা । সেই মোতাবেক কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে হার্ট, SSKM হাসপাতালে লিভার ও একটি কিডনি এবং উলটোডাঙার কাছে EM বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে অন্য একটি কিডনি প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা করা হয় । তাঁর হার্ট ও দুটি কিডনি যাঁদের শরীরে প্রতিস্থাপিত হয়েছে তাঁদের অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল ।

গত বুধবার চিন্ময়ের দান করা লিভারই প্রতিস্থাপিত হয়েছিল বিধানবাবুর শরীরে । প্রতিস্থাপনের পর সুস্থ ছিলেন তিনি । তবে, বুধবার চিকিৎসকরা জানান, পেট থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছে বিধানবাবুর । ওষুধ দিয়ে রক্তক্ষরণ বন্ধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে । ওষুধে রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় ইমারজেন্সি অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা । বুধবার রাত 10টা থেকে রাত 2টো পর্যন্ত চলে এই অস্ত্রোপচার । বৃহস্পতিবার সন্ধ্যেবেলা চিকিৎসকরা জানান, অস্ত্রোপচার ঠিকঠাক হয়েছে । লিভার কাজও করছিল ঠিকঠাক । কিন্তু, শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে রক্ত সঞ্চালন ঠিকঠাক হচ্ছে না । তাই তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হবে । শেষ পর্যন্ত গতকাল বিকেল 5টা 40 মিনিটে তাঁর মৃত্যু হয় ।

বিনয়বাবুর ছেলে সোমেন অধিকারী বলেন, "SSKM-এ 9-10 মাস ধরে চিকিৎসা চলছিল বাবার । গতকাল সকালে চিকিৎসকরা জানান, আগেও লিভার প্রতিস্থাপন হয়েছে । বৃহস্পতিবার এক লিভার গ্রহীতাকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়েছে । এখনও পর্যন্ত সবই সফল হয়েছে । কিন্তু, দুর্ভাগ্যজনক, আমার বাবার কাছে তাঁরা হেরে গেলেন । "

কলকাতা, 20 জুলাই : লিভার প্রতিস্থাপন সফল হলে ক্যানসার থেকে মুক্তি পাবেন গ্রহীতা । এমনই জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা । তাই আশায় ছিলেন পরিজনরা । তবে, শেষ পর্যন্ত পূরণ হল না ক্যানসার থেকে মুক্তির স্বপ্ন । গতকাল বিকেলে মৃত্যু হল ওই লিভার গ্রহীতার । নাম বিধান অধিকারী (54) । বাড়ি বনগাঁর গোপালনগরের আকাইপুরে । একটি সরকারি স্কুলের ক্লার্ক ছিলেন তিনি ।

দেড় বছর ধরে অসুস্থ ছিলেন বিধানবাবু । প্রথম তাঁর হার্নিয়া অপারেশনের হয় । সেসময় জানা যায় তাঁর হেপাটাইটিস B আছে । এর কয়েকদিন পরে সিরোসিস অফ লিভার ধরা পড়ে । সেসময় তাকে SSKM নিয়ে নিয়ে আসা হয় । তখনই চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, তাঁর লিভার প্রতিস্থাপন প্রয়োজন । এর কয়েক মাস পর তাঁর লিভারে একটি টিউমার ধরা পড়ে । চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত । টিউমারটি যাতে তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায় তার জন্য এক মাস আগে SSKM-এ তাঁর একটি অপারেশনও করা হয় ।

এদিকে, পথ দুর্ঘটনায় আহত হয়ে প্রথমে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ভরতি হয়েছিলেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির বাসিন্দা চিন্ময় ঘোষ (36) । পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে কলকাতায় মিন্টো পার্কের কাছে একটি বেসরকারি হাসপাতালে রেফার করা হয় । সেখানেই সোমবার ব্রেন ডেথ ঘোষণা করা হয় চিন্ময়বাবুর । অঙ্গদানের বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতেন চিন্ময়বাবু । তাই ব্রেন ডেথের পর তাঁর হার্ট, লিভার, দুই কিডনি, কর্নিয়া, স্কিন দান করার সিদ্ধান্ত নেন পরিবারের সদস্যরা । সেই মোতাবেক কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে হার্ট, SSKM হাসপাতালে লিভার ও একটি কিডনি এবং উলটোডাঙার কাছে EM বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে অন্য একটি কিডনি প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা করা হয় । তাঁর হার্ট ও দুটি কিডনি যাঁদের শরীরে প্রতিস্থাপিত হয়েছে তাঁদের অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল ।

গত বুধবার চিন্ময়ের দান করা লিভারই প্রতিস্থাপিত হয়েছিল বিধানবাবুর শরীরে । প্রতিস্থাপনের পর সুস্থ ছিলেন তিনি । তবে, বুধবার চিকিৎসকরা জানান, পেট থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছে বিধানবাবুর । ওষুধ দিয়ে রক্তক্ষরণ বন্ধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে । ওষুধে রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় ইমারজেন্সি অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা । বুধবার রাত 10টা থেকে রাত 2টো পর্যন্ত চলে এই অস্ত্রোপচার । বৃহস্পতিবার সন্ধ্যেবেলা চিকিৎসকরা জানান, অস্ত্রোপচার ঠিকঠাক হয়েছে । লিভার কাজও করছিল ঠিকঠাক । কিন্তু, শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে রক্ত সঞ্চালন ঠিকঠাক হচ্ছে না । তাই তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হবে । শেষ পর্যন্ত গতকাল বিকেল 5টা 40 মিনিটে তাঁর মৃত্যু হয় ।

বিনয়বাবুর ছেলে সোমেন অধিকারী বলেন, "SSKM-এ 9-10 মাস ধরে চিকিৎসা চলছিল বাবার । গতকাল সকালে চিকিৎসকরা জানান, আগেও লিভার প্রতিস্থাপন হয়েছে । বৃহস্পতিবার এক লিভার গ্রহীতাকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়েছে । এখনও পর্যন্ত সবই সফল হয়েছে । কিন্তু, দুর্ভাগ্যজনক, আমার বাবার কাছে তাঁরা হেরে গেলেন । "

Intro:কলকাতা, ১৯ জুলাই: লিভার প্রতিস্থাপন সফল হলে ক্যান্সার থেকে মুক্তি পাবেন গ্রহীতা। এমনই জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। যার জেরে, আশায় ছিলেন পরিজনরা। তবে, শেষ পর্যন্ত, পূরণ হল না ক্যান্সার থেকে মুক্তির স্বপ্ন। শুক্রবার শেষ বিকালে মৃত্যু হল লিভার গ্রহীতা বিধান অধিকারী (৫৪)-র।Body:যদিও, এই লিভার গ্রহীতাকে যে শেষ পর্যন্ত আর বাঁচানো সম্ভব হচ্ছে না, তা পরিজনদের আগেই জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। মৃত এই লিভার গ্রহীতার ছেলে সোমেন অধিকারী বলেন, "চিকিৎসকরা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন। প্রতিস্থাপনের জন্য অস্ত্রোপচারের পরে বাবা সুস্থ ছিল। তবে, বুধবার চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, বাবার পেট থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। ওষুধ দিয়ে রক্তক্ষরণ বন্ধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। মেডিসিনে রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় ইমারজেন্সি অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। দেখা হবে, কোথা থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। এই অস্ত্রোপচার খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।" গত বুধবার রাত ১০টা থেকে রাত ২টো পর্যন্ত এই অস্ত্রোপচার চলে বলে তিনি জানিয়েছেন।

একই সঙ্গে তিনি বলেন, "বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরে চিকিৎসকরা জানান, বুধবার রাতের অস্ত্রোপচার ঠিকঠাক হয়েছিল।প্রতিস্থাপনের পরেও লিভার ঠিকঠাক কাজ করছিল। কিন্তু, অন্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে রক্ত সঞ্চালন ঠিকঠাক হচ্ছে না। এক্ষেত্রে পরিস্থিতি খুবই ক্রিটিক্যাল। এই অবস্থায় বাবাকে তাঁরা ভেন্টিলেশনে রাখতে বাধ্য হচ্ছেন।" তিনি বলেন, "শুক্রবার সকালে চিকিৎসকরা জানান, আগেও লিভার প্রতিস্থাপন হয়েছে। বৃহস্পতিবার এক লিভার গ্রহীতাকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত সবই সফল হয়েছে। কিন্তু, দুর্ভাগ্যজনক, আমার বাবার ক্ষেত্রে এটা হয়েছে। আমার বাবার কাছে তাঁরা হেরে গেলেন।" যে কোনও সময় তাঁর বাবার কিছু হয়ে যেতে পারে, তার জন্য চিকিৎসকরা মানসিক প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলেছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি। লিভার প্রতিস্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু হওয়া থেকে তাঁর বাবাকে বাঁচানোর শেষ চেষ্টা পর্যন্ত ৬৯ ইউনিট রক্ত লেগেছে বলেও জানিয়েছেন মৃত এই লিভার গ্রহীতার ছেলে।

SSKM হাসপাতালে গত মঙ্গলবার বিধান অধিকারীর শরীরে প্রতিস্থাপিত হয়েছিল চিন্ময় ঘোষ (৩৬)-এর লিভার। পূর্ব বর্ধমানের মেমারির বাসিন্দা ছিলেন চিন্ময় ঘোষ। পথ দুর্ঘটনায় জখম হওয়ার পরে প্রথমে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, পরে সেখান থেকে কলকাতায় মিন্টো পার্কের কাছে বেসরকারি একটি হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে আসা হয়েছিল। এই হাসপাতালে গত সোমবার সন্ধ্যার পরে চিন্ময় ঘোষের ব্রেন ডেথ ঘোষণা করা হয়। অঙ্গদানের বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করে তোলার কাজ করতেন তিনি। ব্রেন ডেথ ঘোষণার পরে তাঁর হার্ট, লিভার, দুই কিডনি, কর্নিয়া, স্কিন দান করা হয়। কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে হার্ট, SSKM হাসপাতালে লিভার এবং একটি কিডনি, এবং অন্য একটি কিডনি প্রতিস্থাপিত হয়েছে উল্টোডাঙার কাছে ইএম বাইপাসের ধারে অবস্থিত বেসরকারি একটি হাসপাতালে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হার্ট এবং দুই কিডনি গ্রহীতার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে।

অঙ্গদানের প্রচারক চিন্ময় ঘোষের হার্ট, লিভার এবং দুই কিডনি অন্য চার রোগীর শরীরে সফলভাবে প্রতিস্থাপিত হবে, এমনই আশায় ছিলেন পরিজনরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত লিভার গ্রহীতা বিধান অধিকারীর মৃত্যু হয় শুক্রবার বিকাল ৫টা ৪০ মিনিট নাগাদ। এই মৃত্যুর কথা জেনে অঙ্গদাতা চিন্ময় ঘোষ (৩৬)-এর এক আত্মীয় অমিত বিশ্বাস বলেন, "খুবই দুর্ভাগ্যজনক। মনে হচ্ছে, আবারও চিন্ময়ের মৃত্যু হল।" লিভার গ্রহীতার ছেলে সোমেন অধিকারী বলেন, "চিকিৎসকরা চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাবাকে আর বাঁচানো সম্ভব হল না।"
Conclusion:SSKM হাসপাতালের স্কুল অফ ডাইজেস্টিভ অ্যান্ড লিভার ডিজিজেস-এ বিধান অধিকারীর শরীরে লিভার প্রতিস্থাপিত হয়েছিল। চিকিৎসক অভিজিৎ চৌধুরী বলেন, "সেপসিসের কারণে এই লিভার গ্রহীতাকে শেষ পর্যন্ত আর বাঁচানো সম্ভব হল না।" গত মঙ্গলবার রাতে এই চিকিৎসক বলেছিলেন, "প্রতিস্থাপনের প্রক্রিয়া ভালো ভাবে হয়েছে।" এই রোগী ক্যান্সারে আক্রান্ত কি না, এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেছিলেন, "এই লিভার গ্রহীতা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন।" লিভার প্রতিস্থাপন সফল হলে এই গ্রহীতা ক্যান্সার থেকে মুক্তি পাবেন বলেও তিনি জানিয়েছিলেন।

বনগাঁর গোপালনগরের আকাইপুরের বাসিন্দা ছিলেন বিধান অধিকারী। একটি সরকারি স্কুলের তিনি ক্লার্ক ছিলেন। গত মঙ্গলবার তাঁর একমাত্র সন্তান সোমেন অধিকারী বলেছিলেন, "বাবার লিভারে একটি টিউমার ছিল। টিউমার দীর্ঘদিন থাকলে ক্যান্সারে পরিণত হয় বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন। টিউমারটি যাতে শুকিয়ে যায় তার জন্য এক মাস আগে SSKM হাসপাতালে একটি অপারেশন হয়েছে।" তিনি বলেছিলেন, "দেড় বছর ধরে বাবা অসুস্থ। হার্নিয়া অপারেশন করানোর সময় রক্ত পরীক্ষা করানো হয়। তখন বাবার হেপাটাইটিস বি ধরা পড়ে। এর পরে সিরোসিস অফ লিভার হয়।" SSKM হাসপাতালে ৯-১০ মাস ধরে তাঁর বাবার চিকিৎসা চলছে। এ কথা জানিয়ে সোমেন অধিকারী বলেছিলেন, "প্রথমে যখন এসেছিলাম এখানে, তখনই চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন বাবার লিভার প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন।"

_______

ছবি:
wb_kol_02a_liver_transplant_died_sskm_pic_7203421
লিভার গ্রহীতার ছবি

_______


Last Updated : Jul 21, 2019, 3:20 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.