কলকাতা, 13 ডিসেম্বর: শিক্ষা দফতরের চিঠিকে অমান্য করেই বড় বৈঠক কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৷ মঙ্গলবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সিন্ডিকেট বৈঠকের ডাক দেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য শান্তা দত্ত ৷ তবে এই বৈঠকে মত ছিল না শিক্ষা দফতর এবং শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর । তা সত্ত্বেও রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের অনুমতি নিয়েই মঙ্গলবারে বৈঠক হয়েছে ৷ অন্তর্বতী উপাচার্যের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু বিষয় আটকে রয়েছে ৷ সেগুলির সমাধান করতে এই বৈঠক ৷
এই বৈঠকের আগে গত সোমবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, "সুপ্রিম কোর্ট আগেই বলেছে স্থায়ী উপাচার্য না থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় এভাবে কোনও বৈঠক বা কনভোকেশন ডাকতে পারে না ৷ সেই কথাটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে ৷" তবে এর পরেই শান্তা দত্ত দাবি করেন, "পড়ুয়াদের স্বার্থে এই বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ৷ কী কী কারণে এই বৈঠক জরুরি তা দু'বার উচ্চশিক্ষা দফতরকে চিঠি লিখে জানিয়েছি ৷ কিন্তু দফতর থেকে কিছু জানানো হয়নি ৷ তাই শেষে আচার্যের থেকে অনুমতি নিয়েই বৈঠক করি ৷"
এদিনের বৈঠকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে ৷ কথা হয়েছে জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়েও ৷ 2022 সালের পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য না-থাকায় শংসাপত্র পাচ্ছেন না ছাত্র-ছাত্রীরা ৷ এমতাবস্থায় চাকরিতে যোগদান করতেও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাঁদের ৷ সিন্ডিকেট বৈঠকে এই সব বিষয়েও আলোচনা হয়েছে ৷ বৈঠকের আঁচ পড়েছে ছাত্র সংগঠনের মধ্যেও ৷ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দাবি, এই বৈঠক 'অবৈধ' ৷ নিজেদের দাবিকে সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে ধরনায় বসেছেন শাসক শিবিরের ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ৷ পড়ুয়াদের এই আন্দোলন নিয়ে অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি উপাচার্য ৷
আরও পড়ুন: