কলকাতা, 26 এপ্রিল: কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে ধরনা বরদাস্ত করবে না কলকাতা হাইকোর্ট ৷ জানালেন বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা ।তাঁর স্পষ্ট যুক্তি, পড়াশোনার ক্ষতি করে কোনও ধরনার অধিকার নেই ।
আসানসোলের পুলিশ কমিশনারকে আদালতের নির্দেশ, দ্রুত পদক্ষেপ করতে হবে । ধরনা মঞ্চ ক্যাম্পাসের ভিতর থেকে সরাতে হবে । যত দ্রুত সম্ভব পুলিশ যাতে এ বিষয়ে পদক্ষেপ করে সেই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা ৷ তাঁর মতে, প্রয়োজনে জোর করতে হবে । ক্যাম্পাসের মূল প্রবেশদ্বার থেকে 50 মিটার দূরে ধরনা চলতে পারে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি । তিনি বলে দিয়েছেন যে, কোনও ভাবে শিক্ষক ও পড়ুয়াদের ক্যাম্পাসে ঢুকতে বাধা দেওয়া যাবে না ।
ঠিকা কর্মীদের ধরনা মঞ্চের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় চালাতে সমস্যা হচ্ছে । পুলিশকে বলেও কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ । বুধবার আদালতে এই অভিযোগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রারের আইনজীবী । যদিও রাজ্যের দাবি, পুলিশকে জানানোর পরে আন্দোলনকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে যায় । তবে পুলিশ ধরনা মঞ্চে কোনও লাঠিচার্জ করেনি । কারণ আজকের দিনে সোশাল মিডিয়ার প্রভাব অনেক ক্ষেত্রেই খুব বেশি ।
আসানসোল কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের মুখেই চলছে ধরনা । তৈরি হয়েছে ধরনা মঞ্চ । ইতিমধ্যেই ভিসির সিদ্ধান্তে রেজিস্ট্রারকে বরখাস্ত করা হয়েছে । সেই নির্দেশে কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি আদালতও ।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যকে সরানোর দাবিতে মাসখানেকের বেশি সময় ধরে আন্দোলন করছেন ছাত্র, শিক্ষক থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরা । উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে দিতেও বাধা দেওয়া হয় । কারণ আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, বর্তমান উপাচার্য সাধন চক্রবর্তী একজন দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তি । তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভালো চান না । তার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ঠিকা কর্মীদের আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠন পাঠনের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয় ।
আরও পড়ুন: কালিয়াগঞ্জের ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে পৃথক মামলা মৃতার বাবার