ETV Bharat / state

Calcutta HC: যোগেশচন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ কীভাবে বেতন পেতেন ? কলেজ সার্ভিস কমিশনকে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ হাইকোর্টের

Calcutta High Court: যোগেশচন্দ্র ল কলেজের অধ্যক্ষ সুনন্দা গোয়েঙ্কা ভট্টাচার্য ও অধ্যাপক অচিনা কুণ্ডু কীভাবে বেতন পেতেন, কলেজ সার্ভিস কমিশনকে সেই রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট ৷

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Oct 6, 2023, 5:48 PM IST

Calcutta High Court
কলকাতা হাইকোর্ট

কলকাতা, 6 অক্টোবর: যোগেশচন্দ্র ল কলেজে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য, সেখানকার অধ্যাপক অচিনা কুণ্ডু ও বর্তমান অধ্যক্ষ সুনন্দা গোয়েঙ্কা ভট্টাচার্য - এই তিনজন মিলে কলেজে যা খুশি তাই করতেন বলে উল্লেখ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

রাজ্যের ও পুলিশের রিপোর্ট দেখার পর শুক্রবার তিনি বলেন, "এ তো তিনজন মিলে যা খুশি করেছে । অন্দরমহলে রাজা ধন ছড়াচ্ছে আর কুড়োচ্ছে কে ? রানি । তিনজন কলেজ চালাতো, তিনজন মিলেই সব সিদ্ধান্ত নিয়েছে ।" অধ্যাপক অচিনা কুণ্ডুর পর্যাপ্ত যোগ্যতা নেই, সেটা তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতার নথি থেকেই এ দিন স্পষ্ট হয়েছে । ফলে গতকাল তাঁকে বহিস্কারের যে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি, তা আজ বহাল রাখেন তিনি ।

রাজ্যের তরফে আইনজীবী অর্ক নাগ এ দিন জানান, রাজ্য সরকার এর আগে ড. অচিনা কুণ্ডু এবং ড. সুনন্দা গোয়েঙ্কার বিরুদ্ধে একাধিকবার ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিলেও কলেজের গর্ভনিং বডি সেই পদক্ষেপ করেনি । 2021 সালে রাজ্য প্রথম ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে, 9/12/2022-এ ও পরে 11/01/23-এ এই দু'জনকে সরাতে নির্দেশ দেওয়া হয় । কিন্তু কলেজ গভর্নিং বডির সেক্রেটারি সুনন্দা গোয়েঙ্কা ভট্টাচার্য কখনওই এই চিঠির ব্যাপারে প্রেসিডেন্টকে কিছু জানাননি । এই ব্যাপারে 9 অক্টোবর রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রেসিডেন্টকে ।

আরও পড়ুন: কামদুনির রায়ে পুলিশের ব্যর্থতা দেখছে বিরোধীরা, তৃণমূল বলছে আদালতের রায়ে কারও হাত নেই

এ দিন পুলিশ রিপোর্ট দিয়ে জানিয়েছে, মানিক ভট্টাচার্যকে সুপারিশ করা হয়েছিল যোগেশচন্দ্র ল কলেজের অধ্যক্ষ হিসাবে ৷ যদিও 1998 সালে যখন এটা করা হয়, তখন কলেজটি সরকারি অনুমোদন পায়নি । পুলিশ রিপোর্ট দিয়ে জানিয়েছে, তাঁর 16 বছরের পড়ানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে দেখেই তাঁকে অধ্যাক্ষ হিসাবে সুপারিশ করা হয়েছিল । এটা শোনার পরই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বক্তব্য, "এতো তিনজন মিলে যা খুশি করেছে ।"

অ্যান্টি ফ্রড সেকশন ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্ট যে রিপোর্ট এ দিন দিয়েছে, তার ভিত্তিতে কলেজ সার্ভিস কমিশনকে 9 অক্টোবর রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । একজন কলেজের শিক্ষকের বেতন পাওয়ার জন্য ইউজিসির রুল অনুয়ায়ী কী যোগ্যতা থাকা দরকার, তা জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় । পাশাপাশি হাইকোর্ট নিযুক্ত স্পেশাল অফিসারকে যাতে সমস্ত দিক দিয়ে সহযোগিতা করা হয়, কলেজকে সেই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ।

উল্লেখ্য, যোগেশচন্দ্র ল কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ সুনন্দা গোয়েঙ্কা ভট্টাচার্য ও অধ্যাপক অচিনা কুণ্ডুর প্রয়োজনীয় যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও তাঁরা কলেজে চাকরি করছেন এবং ইউজিসি নিয়মে কী করে তাঁরা বেতন পাচ্ছেন, সেই প্রশ্ন তুলে গতকাল হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের হয় । মামলার পরিপ্রেক্ষিতে দু'জনকেই সরাতে নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় । পাশাপাশি এই বিষয়ে মানিক ভট্টাচার্যের যোগ স্পষ্ট বলে জানা যায় । কারণ মানিক ভট্টাচার্য এক সময়ে এই কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন ।

কলকাতা, 6 অক্টোবর: যোগেশচন্দ্র ল কলেজে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য, সেখানকার অধ্যাপক অচিনা কুণ্ডু ও বর্তমান অধ্যক্ষ সুনন্দা গোয়েঙ্কা ভট্টাচার্য - এই তিনজন মিলে কলেজে যা খুশি তাই করতেন বলে উল্লেখ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

রাজ্যের ও পুলিশের রিপোর্ট দেখার পর শুক্রবার তিনি বলেন, "এ তো তিনজন মিলে যা খুশি করেছে । অন্দরমহলে রাজা ধন ছড়াচ্ছে আর কুড়োচ্ছে কে ? রানি । তিনজন কলেজ চালাতো, তিনজন মিলেই সব সিদ্ধান্ত নিয়েছে ।" অধ্যাপক অচিনা কুণ্ডুর পর্যাপ্ত যোগ্যতা নেই, সেটা তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতার নথি থেকেই এ দিন স্পষ্ট হয়েছে । ফলে গতকাল তাঁকে বহিস্কারের যে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি, তা আজ বহাল রাখেন তিনি ।

রাজ্যের তরফে আইনজীবী অর্ক নাগ এ দিন জানান, রাজ্য সরকার এর আগে ড. অচিনা কুণ্ডু এবং ড. সুনন্দা গোয়েঙ্কার বিরুদ্ধে একাধিকবার ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিলেও কলেজের গর্ভনিং বডি সেই পদক্ষেপ করেনি । 2021 সালে রাজ্য প্রথম ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে, 9/12/2022-এ ও পরে 11/01/23-এ এই দু'জনকে সরাতে নির্দেশ দেওয়া হয় । কিন্তু কলেজ গভর্নিং বডির সেক্রেটারি সুনন্দা গোয়েঙ্কা ভট্টাচার্য কখনওই এই চিঠির ব্যাপারে প্রেসিডেন্টকে কিছু জানাননি । এই ব্যাপারে 9 অক্টোবর রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রেসিডেন্টকে ।

আরও পড়ুন: কামদুনির রায়ে পুলিশের ব্যর্থতা দেখছে বিরোধীরা, তৃণমূল বলছে আদালতের রায়ে কারও হাত নেই

এ দিন পুলিশ রিপোর্ট দিয়ে জানিয়েছে, মানিক ভট্টাচার্যকে সুপারিশ করা হয়েছিল যোগেশচন্দ্র ল কলেজের অধ্যক্ষ হিসাবে ৷ যদিও 1998 সালে যখন এটা করা হয়, তখন কলেজটি সরকারি অনুমোদন পায়নি । পুলিশ রিপোর্ট দিয়ে জানিয়েছে, তাঁর 16 বছরের পড়ানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে দেখেই তাঁকে অধ্যাক্ষ হিসাবে সুপারিশ করা হয়েছিল । এটা শোনার পরই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বক্তব্য, "এতো তিনজন মিলে যা খুশি করেছে ।"

অ্যান্টি ফ্রড সেকশন ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্ট যে রিপোর্ট এ দিন দিয়েছে, তার ভিত্তিতে কলেজ সার্ভিস কমিশনকে 9 অক্টোবর রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । একজন কলেজের শিক্ষকের বেতন পাওয়ার জন্য ইউজিসির রুল অনুয়ায়ী কী যোগ্যতা থাকা দরকার, তা জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় । পাশাপাশি হাইকোর্ট নিযুক্ত স্পেশাল অফিসারকে যাতে সমস্ত দিক দিয়ে সহযোগিতা করা হয়, কলেজকে সেই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ।

উল্লেখ্য, যোগেশচন্দ্র ল কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ সুনন্দা গোয়েঙ্কা ভট্টাচার্য ও অধ্যাপক অচিনা কুণ্ডুর প্রয়োজনীয় যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও তাঁরা কলেজে চাকরি করছেন এবং ইউজিসি নিয়মে কী করে তাঁরা বেতন পাচ্ছেন, সেই প্রশ্ন তুলে গতকাল হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের হয় । মামলার পরিপ্রেক্ষিতে দু'জনকেই সরাতে নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় । পাশাপাশি এই বিষয়ে মানিক ভট্টাচার্যের যোগ স্পষ্ট বলে জানা যায় । কারণ মানিক ভট্টাচার্য এক সময়ে এই কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.