কলকাতা, 16 নভেম্বর: তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের জামিনের আবেদন খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের সিঙ্গল বেঞ্চ এদিন তাঁর জামিনের আবেদন পত্রপাঠ বাতিল করে দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার ইডি'র আইনজীবী আদালতে বলেন, "মানিক ভট্টাচার্য কিছু করেনি বলা হচ্ছে তারপরও অ্যাডমিট কার্ড, মার্কশিট উদ্ধার করেছে সিবিআই ৷ আমরা আর্থিক দুর্নীতি দেখছি। মামলায় দেখানো হয়েছে কীভাবে বিপুল আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে। এখানে সবাই বলে টাকা আমার নয়। পার্থও বলবে অর্পিতার টাকা ওর নয়।"
এই সওয়ালের মাঝেই বিচারপতি ইডি'র কাছে জানতে চান, 'আপনার হাতে এমন কোনও ওএমআর শিট আছে যেটা প্রভাবিত করা হয়েছে ?" যার উত্তরে ইডি'র আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি বলেন, "কারা চাকরি পেয়েছে কারা পায়নি সেটা তদন্ত করছে সিবিআই। আমরা মানি ট্রেলের তদন্ত করছি। বাড়ি থেকে তালিকার সিডি পাওয়া গিয়েছে ৷ অ্যাডমিট কার্ডও পাওয়া গিয়েছে ৷"
বিচারপতির পালটা প্রশ্ন, "পর্ষদ সভাপতির বাড়িতে তালিকার সিডি থাকতেই পারে। তার বাড়িতে কেস ফাইল থাকতে পারে না ?" অন্যদিকে মানিক ভট্টাচার্যর তরফে আইনজীবী সন্দীপন গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "ইডি বলছে ক্রাইমের তদন্ত করছে সিবিআই। সিবিআই-এর চার্জশিটে আমার মক্কেলের নাম নেই। আমার মক্কেল টাকা নিয়েছি এই ধরনের সরাসরি কোনও তথ্য বা প্রমাণও নেই।"
মানিক ভট্টাচার্যের আইনজীবী আরও বলেন, "প্রেডিকেট অফ অফেন্সের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও সিবিআই কেসে সুপ্রিম কোর্ট রক্ষা কবচ দিয়েছে মানিক ভট্টাচার্যকে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ সরাসরি নয়। তাপস মণ্ডল, তাপস ঘোষ, সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র ও কুন্তলের বয়ানের ভিত্তিতে অভিযোগ। যা করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ করেছে। সে নিয়োগ প্রাক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত নয়।"
আইনজীবীর আরও দাবি, "মেধা তালিকা প্রকাশ করে বোর্ড। তারপরই তো জেলা প্রাথমিক বোর্ড নিয়োগ করে। তার অর্থ পরীক্ষা কন্ডাক্ট করে বোর্ড।
চার্জশিটে আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ নেই। তিনি সরাসরি তো টাকা নেননি। তার কোনও প্রমাণও নেই।" একইসঙ্গে আইনজীবী জানান, প্রাথমিক শিক্ষাপর্ষদ তার দায় এড়াতে পারে না ৷ এরপরই মানিক ভট্টাচার্যের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করা হোক বলে আবেদন জানানো হয়।
আরও পড়ুন
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে ডিভিশন বেঞ্চ গঠনের আর্জি হাইকোর্টে
থানায় পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে আদালতে বিজেপি, আজই শুনানির আশ্বাস প্রধান বিচারপতির