ETV Bharat / state

Calcutta High Court: বিএসসি ও এমএসসি নার্সিং-এ ভর্তির কাউন্সেলিং প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Oct 26, 2023, 3:47 PM IST

Calcutta HC on counseling process for Nursing Admission: বিএসসি ও এমএসসি নার্সিং-এ ভর্তির কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া আপাতত স্থগিত রাখার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট ৷

Calcutta High Court
কলকাতা হাইকোর্ট

কলকাতা, 26 অক্টোবর: বিএসসি ও এমএসসি নার্সিং-এ ভর্তির কাউন্সেলিং প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশ জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট । স্বাস্থ্য দফতরের অধিকর্তাকে আপাতত 30 অক্টোবরের কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত ৷ আগে দফতরকে আদালতে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে তাদের বক্তব্য । তারপর হাইকোর্ট অনুমতি দিলে তবেই ফের শুরু করা যাবে কাউন্সেলিং ।

বিএসসি, এমএসসি নার্সিং-এ ভর্তির পরে শূন্যপদ কীভাবে তৈরি হল, তা রাজ্যের আইনজীবীর কাছে জানতে চাইলেন বিচারপতি । শূন্যপদ তৈরির ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে হলফনামা দিতে বলা হয়েছে রাজ্য সরকারকে । বিএসসি-তে 57 এবং এমএসসি-তে 52টি নতুন শূন্যপদ তৈরি হয়েছে । মেধার ভিত্তিতে যাঁরা আগে ছিলেন, তাঁদের বিষয়ে স্বাস্থ্য দফতর কী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সেটাও জানাতে হবে আদালতকে ।

বিএসসি এবং এমএসসি নার্সিং-এ ভর্তির ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে । আগের দিকে র‍্যাঙ্ক থাকা প্রার্থীদের দূরের কলেজ দিয়ে তুলনায় র‍্যাঙ্কের পেছন দিকে থাকা প্রার্থীদের কাছাকাছি ভর্তির সুযোগ কেন দেওয়া হচ্ছে, এই প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন একাধিক প্রার্থী । বিচারপতি তীর্থংকর ঘোষ এ বিষয়ে গতকাল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের বক্তব্য জানতে চেয়েছিলেন ।

এ দিন রাজ্যের আইনজীবী জানান, 30 অক্টোবর পর্যন্ত ছুটির কারণে তাঁর পক্ষে এখনই রিপোর্ট দেওয়া সম্ভব নয় । তাই 1 নভেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট তৈরি করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত । 2 নভেম্বর ফের এই মামলার শুনানি হবে । ইতিমধ্যে ডিরেক্টর অফ হেলথ সার্ভিসকে কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।

জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে থেকে জুন মাসে কাউন্সেলিং করা হয় । সেখানে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একধিক জেলার বহু প্রার্থীকে উত্তরবঙ্গ, বাঁকুড়া, বীরভুমের দিকের কলেজ দেওয়া হয়েছে ৷ কারণ কাছাকাছি কোনও মেডিক্যাল কলেজে শূন্যপদ ছিল না । কিন্তু পরে 5 অক্টোবর ফের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নতুন করে বিএসসিতে 57 টি ও এমএসসিতে 52টি শূন্যপদের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর । কিন্তু বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আগেই যাঁরা ভর্তি হয়ে গিয়েছে, তাঁরা নতুন করে এই কাউন্সেলিং-এ অংশগ্রহণ করতে পারবেন না ।

আরও পড়ুন: রাজ্য ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের বিচারকের বদলিতে ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট, নির্দেশে স্থগিতাদেশ

বাধ্য হয়ে যাদের আগের দিকে র‍্যাঙ্ক ছিল কিন্তু দুরের কলেজে ভর্তি হতে বাধ্য হতে হয়েছেন তাঁরা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন । তাঁদের বক্তব্য, তাঁরা স্বাস্থ্য দফতরে আবেদন জানিয়েছিলেন যে, তাঁদের পুনরায় কাউন্সেলিং (আপগ্রেডেশনের)-এর সুযোগ দেওয়া হোক । কিন্তু তাতে নারাজ স্বাস্থ্য দফতর । প্রার্থীদের বক্তব্য, তাঁদের থেকে পরে র‍্যাঙ্ক থাকা প্রার্থীরা কাছাকাছি কলেজে পড়ার সুযোগ পাবে কিন্তু তাঁরা কেন বঞ্চিত হবেন ? তাঁরা যখন কাউন্সেলিং-এ আপগ্রেডেশনের জন্য আবেদন করেছিলেন, রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের তরফে তখন জানানো হয় যে শূন্যপদ নেই । কিন্তু পরে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হচ্ছে প্রচুর ভ্যাকেন্সি রয়েছে !

স্বাস্থ্য দফতরের তরফে আইনজীবী গতকাল জানিয়েছিলেন, পুজোর ছুটির জন্য সরকারি অফিস বন্ধ থাকায় তাঁর কাছে কোনও ইনস্ট্রাকশন নেই । 30 অক্টোবর সরকারি অফিস খুলবে । ডেপুটি ডিরেক্টর হেলথের অফিস না খোলা পর্যন্ত, তাঁর পক্ষে এই বিষয়ে কিছু বলা বা করা সম্ভব নয় ।

অন্যদিকে, মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী বিশ্বরূপ ভট্টাচার্য বলেন, ইচ্ছাকৃত ভাবে শূন্যপদ কমিয়ে দেখানো হয়েছে । ফলে প্রার্থীরা কাউন্সেলিং-এ অংশগ্রহণ করে বাধ্য হয়েছে দূরের কলেজে ভর্তি হতে । আমরা 18 অক্টোবর মামলাটা নিয়ে হাইকোর্টে এসেছি । তখনও সরকারের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, তাঁর কর্তৃপক্ষের কোনও বক্তব্য নেই । 31 অক্টোবর কাউন্সেলিং-এর তারিখ । যদি 30 অক্টোবর সরকারি অফিস খোলে, তাহলে আপাতত প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক ৷

উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি তীর্থংকর ঘোষ স্বাস্থ্য দফতরের আইনজীবীকে নির্দেশ দিয়েছেন, এ বিষয়ে 'ডেপুটি ডিরেক্টর অফ হেলথ' এর কী বক্তব্য তা আজকের মধ্যে আদালতকে জানাতে ।

কলকাতা, 26 অক্টোবর: বিএসসি ও এমএসসি নার্সিং-এ ভর্তির কাউন্সেলিং প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশ জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট । স্বাস্থ্য দফতরের অধিকর্তাকে আপাতত 30 অক্টোবরের কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত ৷ আগে দফতরকে আদালতে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে তাদের বক্তব্য । তারপর হাইকোর্ট অনুমতি দিলে তবেই ফের শুরু করা যাবে কাউন্সেলিং ।

বিএসসি, এমএসসি নার্সিং-এ ভর্তির পরে শূন্যপদ কীভাবে তৈরি হল, তা রাজ্যের আইনজীবীর কাছে জানতে চাইলেন বিচারপতি । শূন্যপদ তৈরির ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে হলফনামা দিতে বলা হয়েছে রাজ্য সরকারকে । বিএসসি-তে 57 এবং এমএসসি-তে 52টি নতুন শূন্যপদ তৈরি হয়েছে । মেধার ভিত্তিতে যাঁরা আগে ছিলেন, তাঁদের বিষয়ে স্বাস্থ্য দফতর কী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সেটাও জানাতে হবে আদালতকে ।

বিএসসি এবং এমএসসি নার্সিং-এ ভর্তির ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে । আগের দিকে র‍্যাঙ্ক থাকা প্রার্থীদের দূরের কলেজ দিয়ে তুলনায় র‍্যাঙ্কের পেছন দিকে থাকা প্রার্থীদের কাছাকাছি ভর্তির সুযোগ কেন দেওয়া হচ্ছে, এই প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন একাধিক প্রার্থী । বিচারপতি তীর্থংকর ঘোষ এ বিষয়ে গতকাল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের বক্তব্য জানতে চেয়েছিলেন ।

এ দিন রাজ্যের আইনজীবী জানান, 30 অক্টোবর পর্যন্ত ছুটির কারণে তাঁর পক্ষে এখনই রিপোর্ট দেওয়া সম্ভব নয় । তাই 1 নভেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট তৈরি করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত । 2 নভেম্বর ফের এই মামলার শুনানি হবে । ইতিমধ্যে ডিরেক্টর অফ হেলথ সার্ভিসকে কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।

জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে থেকে জুন মাসে কাউন্সেলিং করা হয় । সেখানে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একধিক জেলার বহু প্রার্থীকে উত্তরবঙ্গ, বাঁকুড়া, বীরভুমের দিকের কলেজ দেওয়া হয়েছে ৷ কারণ কাছাকাছি কোনও মেডিক্যাল কলেজে শূন্যপদ ছিল না । কিন্তু পরে 5 অক্টোবর ফের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নতুন করে বিএসসিতে 57 টি ও এমএসসিতে 52টি শূন্যপদের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর । কিন্তু বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আগেই যাঁরা ভর্তি হয়ে গিয়েছে, তাঁরা নতুন করে এই কাউন্সেলিং-এ অংশগ্রহণ করতে পারবেন না ।

আরও পড়ুন: রাজ্য ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের বিচারকের বদলিতে ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট, নির্দেশে স্থগিতাদেশ

বাধ্য হয়ে যাদের আগের দিকে র‍্যাঙ্ক ছিল কিন্তু দুরের কলেজে ভর্তি হতে বাধ্য হতে হয়েছেন তাঁরা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন । তাঁদের বক্তব্য, তাঁরা স্বাস্থ্য দফতরে আবেদন জানিয়েছিলেন যে, তাঁদের পুনরায় কাউন্সেলিং (আপগ্রেডেশনের)-এর সুযোগ দেওয়া হোক । কিন্তু তাতে নারাজ স্বাস্থ্য দফতর । প্রার্থীদের বক্তব্য, তাঁদের থেকে পরে র‍্যাঙ্ক থাকা প্রার্থীরা কাছাকাছি কলেজে পড়ার সুযোগ পাবে কিন্তু তাঁরা কেন বঞ্চিত হবেন ? তাঁরা যখন কাউন্সেলিং-এ আপগ্রেডেশনের জন্য আবেদন করেছিলেন, রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের তরফে তখন জানানো হয় যে শূন্যপদ নেই । কিন্তু পরে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হচ্ছে প্রচুর ভ্যাকেন্সি রয়েছে !

স্বাস্থ্য দফতরের তরফে আইনজীবী গতকাল জানিয়েছিলেন, পুজোর ছুটির জন্য সরকারি অফিস বন্ধ থাকায় তাঁর কাছে কোনও ইনস্ট্রাকশন নেই । 30 অক্টোবর সরকারি অফিস খুলবে । ডেপুটি ডিরেক্টর হেলথের অফিস না খোলা পর্যন্ত, তাঁর পক্ষে এই বিষয়ে কিছু বলা বা করা সম্ভব নয় ।

অন্যদিকে, মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী বিশ্বরূপ ভট্টাচার্য বলেন, ইচ্ছাকৃত ভাবে শূন্যপদ কমিয়ে দেখানো হয়েছে । ফলে প্রার্থীরা কাউন্সেলিং-এ অংশগ্রহণ করে বাধ্য হয়েছে দূরের কলেজে ভর্তি হতে । আমরা 18 অক্টোবর মামলাটা নিয়ে হাইকোর্টে এসেছি । তখনও সরকারের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, তাঁর কর্তৃপক্ষের কোনও বক্তব্য নেই । 31 অক্টোবর কাউন্সেলিং-এর তারিখ । যদি 30 অক্টোবর সরকারি অফিস খোলে, তাহলে আপাতত প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক ৷

উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি তীর্থংকর ঘোষ স্বাস্থ্য দফতরের আইনজীবীকে নির্দেশ দিয়েছেন, এ বিষয়ে 'ডেপুটি ডিরেক্টর অফ হেলথ' এর কী বক্তব্য তা আজকের মধ্যে আদালতকে জানাতে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.