কলকাতা, 20 নভেম্বর: জয়নগরে তৃণমূল নেতা খুনে পুলিশের অতি সক্রিয়তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় সিপিআইএম । এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে তারা । ত্রাণ সামগ্রী যাতে দিতে দেওয়া হয়, সোমবার পুলিশকে সেই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা ।
বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার সিঙ্গেল বেঞ্চে এ দিন মামলা দায়ের করেন সিপিআইএম নেতা সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় ।সিপিআইএমের তিনজন কর্মীকে ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে তাই পুলিশের সক্রিয়তা নিয়েই মামলা দায়ের । পাশাপাশি এলাকায় ত্রাণসামগ্রী দিতে দিচ্ছে না পুলিশ বলে অভিযোগ করেন তিনি ।
বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার নির্দেশ, মামলাকারী জয়নগরের আইসি-কে জানাবেন যে তাঁরা কবে যাবেন সামগ্রী দিতে ৷ তারিখের সঙ্গে সময়ও জানাতে হবে । কোনও রাজনৈতিক স্লোগান দেওয়া যাবে না । কোনও মিটিং করা যাবে না । কোনও রাজনৈতিক দলের পতাকা বহন করা যাবে না । মামলাকারীদের চারজনের সঙ্গে নিরাপত্তার জন্য চারজন কনস্টেবল থাকবে । এসপিকে নির্দেশ কার্যকরের রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে আদালতের তরফে ৷ পরবর্তী শুনানির দিন আদালতে রেগুলার বেঞ্চে তা জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত ।
মামলাকারী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন আদালতে বলেন, ‘‘13 নভেম্বর জয়নগর থানার বামুনগাছির দলুয়াখাকিতে একটি খুনের ঘটনা ঘটে । তারপর সেখানে 30টি বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয় । বাসিন্দাদের বাড়িছাড়া করা হয় । গত 14 তারিখ সিপিআইএম পার্টির তরফে কিছু ত্রাণসামগ্রী, খাবার, জল, জামাকাপড় দিতে গেলে পুলিশ আটকেছে ৷ সেখানে মিটিং-স্লোগানিং কিছু করা হবে না বলে আইসিকে মেইল করা হয় । 14 নভেম্বর, শিশু দিবসের দিন সেখানে একজন পুরুষ পুলিশের নেতৃত্বে 30 জন মহিলা কর্মীকে আটকানো হয় । সামনে মাধ্যমিক পরীক্ষা ৷ ওদের (পুড়ে যাওয়া বাড়ির পড়ুয়া) বই-পোশাক খাবার প্রয়োজন । পুলিশ নিজের কাজ করুক । কিন্তু ত্রাণ দিতে দেওয়া হোক ৷’’
রাজ্যের আইনজীবী অমল সেন বলেন, ‘‘দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা সন্দেহ নেই । এলাকার আইন শৃঙ্খলা অবনতি হতে পারে বলেই বাইরের কাউকে এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি । রাজ্যের তরফ থেকে ত্রাণসামগ্রী ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে । যাঁরা যাবেন, মামলাকারী জানান যে কতজন যাবেন । বাইরের কাউকে এই মূহূর্তে ওই গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না । পরিস্থিতি বিঘ্নিত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে ।’’
আরও পড়ুন: