কলকাতা, 2 জানুয়ারি: সেচ দফতরে কর্মী নিয়োগে জটিলতা (Staff Recruitment in Irrigation Department) । 15 বছর পর নিয়োগের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালত সূত্রে জানা যাচ্ছে, 2007 সালে সেচ দফতরে রাজ্যে 1 হাজার 406 জনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়। সেই কর্মী নিয়োগ নিয়ে তৈরি হয়েছিল জটিলতা ৷ তার 15 বছর পর আজ, সোমবার সেচ দফতরে ফের কর্মী নিয়োগের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court) ৷
2007 সালের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি যদিও সংবাদপত্রে প্রকাশ করা হয়নি। ময়ূরাক্ষী ক্যানেল সার্কেলে 84 জনের রোল নম্বর-সহ নিয়োগ প্যানেল প্রকাশ হয় 2010 সালের 24 জুলাই। ফের ওই বছরই 12 অগস্ট নাম-সহ বিস্তারিত দিয়ে দ্বিতীয় প্যানেল প্রকাশ হয়। সেখানে প্রথম প্যানেলের 84 জনের নাম বাতিল করা হয়। আবেদনকারীরা মামলা করেন। পাশাপাশি কিছু প্রার্থী রাজ্যের নিয়োগ চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেন। তখন নিয়োগ প্রক্রিয়া হাইকোর্ট খারিজ করে দেয়। বাধ্য হয়ে তালিকায় নাম থাকাদের একাংশ সুপ্রিমকোর্ট যান হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে। 57 হাজার প্রার্থী ছিল। তাই পেপারে বিজ্ঞাপন না-হলেও নিয়োগ বৈধ ঘোষণা করে শীর্ষ আদালত।
আরও পড়ুন: বৃষ্টির ঘাটতিতে আমন চাষ নিয়ে উদ্বিগ্ন নবান্ন, সেচ দফতরকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ
এবার ময়ূরাক্ষী ক্যানেলের প্রার্থীরা সুপ্রিম কোর্টে তাঁদের নাম দ্বিতীয় তালিকা থেকে বাদ পড়ার অভিযোগ নিয়ে যান। সুপ্রিম কোর্ট ট্রাইব্যুনালে মামলার অনুমতি দেয় । ট্রাইব্যুনাল প্রথম প্যানেলের নাম থাকাদের চাকরি দেওয়ার আবেদন খারিজ করে। তাঁরা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেন। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চে, রাজ্য জানায়, প্রথম প্যানেলে ভুল করে রোল নম্বরের জায়গায় প্রার্থীদের সিক্রেট কোড প্রকাশ করা হয়ে গিয়েছে। কাকতালীয়ভাবে, এই 84টি সিক্রেট কোড দ্বিতীয় তালিকায় যাদের নাম উঠেছে, তাঁদের রোল নম্বরের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে, দেখে বিস্মিত আদালত। রোল ও সিক্রেট কোড প্যার্টান একরকম হতেই পারে না, এমনই পর্যবেক্ষণ আদালতের। মামলাকারী দেবাশিস ধীবরের আইনজীবী সরোয়ার জাহান জানালেন, প্রথম তালিকায় যাদের নাম উঠেছিল তাঁদেরই আট সপ্তাহের মধ্যে চাকরি দিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।