ETV Bharat / state

Calcutta High Court: চিকিৎসক প্রজ্ঞাদীপা হালদারের রহস্যমৃত্যুর মামলায় পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট

author img

By

Published : Aug 21, 2023, 4:55 PM IST

Doctor Praggadipa Halder Death Case: পেশায় চিকিৎসক প্রজ্ঞাদীপা হালদারের রহস্যমৃত্যু চলতি বছরের 20 জুন ৷ দিনতিনেক পর তাঁর লিভ ইন পার্টনারকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ এই ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্ট ময়নাতদন্ত রিপোর্ট নিয়ে দ্বিতীয় মতামত চেয়েছিল ৷ অভিযোগ, পুলিশ সময় মতো সেই রিপোর্ট এসএসকেএম হাসপাতালে জমা দেয়নি ৷ তাই পুলিশের ভূমিকায় সোমবার ক্ষোভ প্রকাশ করে আদালত ৷

Calcutta High Court
Calcutta High Court

কলকাতা, 21 অগস্ট: চিকিৎসক প্রজ্ঞাদীপা হালদারের রহস্যমৃত্যু নিয়ে ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্ট । এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসকদের দিয়ে বোর্ড গঠন করে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে দ্বিতীয় মতামত নিতে বলেছিল আদালত । সেই নির্দেশ কার্যকর না হওয়ায় সোমবার ক্ষোভ প্রকাশ করেন হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত ৷ এ দিন তিনি এই মামলায় ফের লিখিত নির্দেশ দেন ৷

ক্ষুব্ধ বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন, "পুলিশ আদালতের নির্দেশকে গুরুত্ব দিচ্ছে না । কারণ, 10 অগস্ট এই কোর্ট নির্দেশ দেয়, আত্মহত্যা বলা হলেও মৃতের দেহের ক্ষতগুলি নিয়ে এসএসকেএমের চিকিৎসকদের থেকে দ্বিতীয় মতামত জানাতে । অথচ 18 অগস্ট পুলিশ এসএসকেএমে এই নির্দেশের কথা জানায় । আদালতের মনে হচ্ছে, ধৃতকে জামিন পাওয়ার সুযোগ করে দিতে পুলিশের এই আচরণ ।’’

বিচারপতি আরও জানান, ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনারকেই এই মৃত্যুর তদন্ত করতে হবে । একই সঙ্গে তদন্তকারী আধিকারিকের ভূমিকা নিয়ে তদন্ত করতে হবে । প্রয়োজনে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় পদক্ষেপ করতে হবে পুলিশ কমিশনারকে । রাজ্য পুলিশের ডিজিকে পাঠাতে হবে এই নির্দেশের কপি । 1 সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি । ওইদিন অভিযুক্ত চিকিৎসককে মামলায় যুক্ত করতে হবে ।

এই মামলা নিয়ে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, "59 দিন হয়ে গেল । তদন্তকারী অফিসার অপেক্ষা করছেন যাতে 60 দিন পেরিয়ে যায় । তাহলে ওই অভিযুক্তকে জেল থেকে বের করতে পারবেন ৷"

মামলাকারীর আইনজীবী লিটন মৈত্রের বক্তব্য, "এই মামলায় গত শুনানিতে নির্দেশ ছিল তদন্তকারী অফিসার 10 অগস্টের মধ্যে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এসএসকেএমে জমা করবে ৷ কিন্তু তিনি তা না করে ওই রিপোর্ট জমা করেন 18 তারিখ । সেই জন্য এসএসকেএম আজ কোনও রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে পারেনি ।"

আরও পড়ুন: বারাসতের মহিলা চিকিৎসক খুনের অভিযোগে গ্রেফতার সেনা ডাক্তার

উল্লেখ্য, প্রজ্ঞাদীপা হালদার পেশায় একজন চিকিৎসক ছিলেন । তাঁর সঙ্গে কৌশিক সর্বাধিকারী নামে সেনা হাসপাতালের চিকিৎসকের সঙ্গে লিভ ইন করতেন । তারপর চলতি বছরের 20 জুন প্রজ্ঞাদীপাকে তাঁর কৌশিকের ফ্ল্যাটে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় । এই ঘটনার পর মৃতার পরিবার ব্যারাকপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে । জুন মাসের 23 তারিখে তাঁর কৌশিককে গ্রেফতার করা হয় ।

কলকাতা, 21 অগস্ট: চিকিৎসক প্রজ্ঞাদীপা হালদারের রহস্যমৃত্যু নিয়ে ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্ট । এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসকদের দিয়ে বোর্ড গঠন করে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে দ্বিতীয় মতামত নিতে বলেছিল আদালত । সেই নির্দেশ কার্যকর না হওয়ায় সোমবার ক্ষোভ প্রকাশ করেন হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত ৷ এ দিন তিনি এই মামলায় ফের লিখিত নির্দেশ দেন ৷

ক্ষুব্ধ বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন, "পুলিশ আদালতের নির্দেশকে গুরুত্ব দিচ্ছে না । কারণ, 10 অগস্ট এই কোর্ট নির্দেশ দেয়, আত্মহত্যা বলা হলেও মৃতের দেহের ক্ষতগুলি নিয়ে এসএসকেএমের চিকিৎসকদের থেকে দ্বিতীয় মতামত জানাতে । অথচ 18 অগস্ট পুলিশ এসএসকেএমে এই নির্দেশের কথা জানায় । আদালতের মনে হচ্ছে, ধৃতকে জামিন পাওয়ার সুযোগ করে দিতে পুলিশের এই আচরণ ।’’

বিচারপতি আরও জানান, ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনারকেই এই মৃত্যুর তদন্ত করতে হবে । একই সঙ্গে তদন্তকারী আধিকারিকের ভূমিকা নিয়ে তদন্ত করতে হবে । প্রয়োজনে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় পদক্ষেপ করতে হবে পুলিশ কমিশনারকে । রাজ্য পুলিশের ডিজিকে পাঠাতে হবে এই নির্দেশের কপি । 1 সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি । ওইদিন অভিযুক্ত চিকিৎসককে মামলায় যুক্ত করতে হবে ।

এই মামলা নিয়ে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, "59 দিন হয়ে গেল । তদন্তকারী অফিসার অপেক্ষা করছেন যাতে 60 দিন পেরিয়ে যায় । তাহলে ওই অভিযুক্তকে জেল থেকে বের করতে পারবেন ৷"

মামলাকারীর আইনজীবী লিটন মৈত্রের বক্তব্য, "এই মামলায় গত শুনানিতে নির্দেশ ছিল তদন্তকারী অফিসার 10 অগস্টের মধ্যে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এসএসকেএমে জমা করবে ৷ কিন্তু তিনি তা না করে ওই রিপোর্ট জমা করেন 18 তারিখ । সেই জন্য এসএসকেএম আজ কোনও রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে পারেনি ।"

আরও পড়ুন: বারাসতের মহিলা চিকিৎসক খুনের অভিযোগে গ্রেফতার সেনা ডাক্তার

উল্লেখ্য, প্রজ্ঞাদীপা হালদার পেশায় একজন চিকিৎসক ছিলেন । তাঁর সঙ্গে কৌশিক সর্বাধিকারী নামে সেনা হাসপাতালের চিকিৎসকের সঙ্গে লিভ ইন করতেন । তারপর চলতি বছরের 20 জুন প্রজ্ঞাদীপাকে তাঁর কৌশিকের ফ্ল্যাটে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় । এই ঘটনার পর মৃতার পরিবার ব্যারাকপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে । জুন মাসের 23 তারিখে তাঁর কৌশিককে গ্রেফতার করা হয় ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.