ETV Bharat / state

Calcutta High Court: রাজ্য ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের বিচারকের বদলিতে ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট, নির্দেশে স্থগিতাদেশ

Calcutta HC unhappy over transfer order: রাজ্য ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের বিচারকের বদলির নির্দেশে চূড়ান্ত ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্ট ৷ রাজ্যের সেই নির্দেশে 30 নভেম্বর পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত ৷

Calcutta High Court
কলকাতা হাইকোর্ট
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Oct 26, 2023, 2:55 PM IST

কলকাতা, 26 অক্টোবর: রাজ্য ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের বিচারককে (জুডিশিয়াল মেম্বার) বদলির নির্দেশে ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্ট । বদলির নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিলেন বিচারপতি তীর্থংকর ঘোষ ৷ তাঁর পর্যবেক্ষণ, কয়েকজন আইনজীবীর স্বার্থে এই ভাবে বিচারক বদলি করাকে সমর্থন করে না আদালত ।

এ দিন বিচারপতি বলেছেন, "আমরা প্রশাসনকে ন্যায় ব্যবস্থার উপর দখল নিতে দিতে পারি না । যদি সেই অনুমতি দেওয়া হয়, তাহলে সেটা আরও এগিয়ে যাবে । এই ধরনের বদলির নির্দেশ এই প্রথম হয়েছে । এতে যদি অনুমতি দিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে এটাই স্বাভাবিক হয়ে যাবে ।"

সেই কারণে আগামী 30 নভেম্বর পর্যন্ত বদলির নির্দেশ কার্যকর করা যাবে না জানিয়েছেন বিচারপতি । ওই দিন ফের শুনানি রয়েছে এই মামলার ।

রাজ্য সরকার কী কোনও ভাবে, বিচারব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করতে পারে ? এই প্রশ্ন তুলে শুভ্রশংকর ভট্ট নামে ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের বিচারক মামলা দায়ের করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টে । তিনি হুগলির জেলা বিচারক ছিলেন । অবসর গ্রহণের পর কলকাতায় রাজ্য ক্রেতাসুরক্ষা আদালতের বিচারক হিসেবে নিযুক্ত হন তিনি । নিয়ম অনুযায়ী, এই পদের কারওকে বদলি করা যায় না । তবে, কীভাবে তাঁকে আসানসোল সার্কিট বেঞ্চে বদলির নির্দেশ দিল রাজ্য ? এই প্রশ্ন তুলে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি ।

রাজ্যের আইনজীবী তপন মুখোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে বলেন, "জনস্বার্থে বদলি করতেই পারে রাজ্য । এটা স্বাভাবিক সিদ্ধান্ত ।" এ কথা বলায় বিচারপতির পালটা প্রশ্ন, "এর আগে কতবার এই ধরনের বদলি করা হয়েছে ? ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের বিচারক বদলি এটাই কি প্রথম ?"

রাজ্যের বক্তব্য বদলি করার অধিকার আছে প্রশাসনের । আসানসোল-সহ মোট তিনটি সার্কিট বেঞ্চ রয়েছে রাজ্যে । তার জন্যই বদলি করা হয়েছে । এটা রুটিন বদলি । সুদেব মিত্র নামে এক জনকে কলকাতায় বদলি করা হয়েছে এবং শুভ্রশংকর ভট্টকে বদলি করা হয়েছে আসানসোলে । কারণ ওই বেঞ্চে প্রচুর মামলা পড়ে রয়েছে । বৃহত্তর জনস্বার্থে এই বদলি করা হয়েছে ।

আরও পড়ুন: বিএসসি ও এমএসসি নার্সিংয়ের ভরতিতে অনিয়মের অভিযোগ, হাইকোর্টের দ্বারস্থ একাধিক প্রার্থী

মামলাকারী বিচারকের আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, "কিছু আইনজীবীর স্বার্থে আঘাত লাগছে বলেই তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে তাঁকে বদলি করা হয়েছে । তিনি কলকাতার বাসিন্দা । হঠাৎ করে তাঁকে বদলি করা হয়েছে ।" বিচারপতি তীর্থংকর ঘোষ বলেন, "এটা সংশ্লিষ্ট দফতরের মুখ্যসচিবের ইচ্ছাকৃত সিদ্ধান্ত । আমি 30 নভেম্বর পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দিচ্ছি ।"

উল্লেখ্য, চার অক্টোবর মামলাকারীকে কলকাতার বেঞ্চ থেকে আসানসোল বেঞ্চে বদলি করা হয়েছে । তাঁর নামে একজন আইনজীবী কিছু বিষয়ে (দুর্নীতির) 18 জুন স্বাস্থ্য দফতরের সচিবের কাছে অভিযোগ করেন । অগস্ট মাসে প্রশাসনের তরফে তাঁর কাছে সেই বিষয়ে উত্তর চাওয়া হয় । না-হলে আইনজীবীরা তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করবেন বলে জানানো হয় । মামলাকারী বিচারক তাঁর বক্তব্য প্রশাসনকে জানিয়েছিলেন । কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁকে চার অক্টোবর বদলির চিঠি ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ।

এই বদলির নির্দেশে চূড়ান্ত অসন্তুষ্ট বিচারপতি তীর্থংকর ঘোষ । সেই জন্য 30 নভেম্বর পর্যন্ত এই বদলির নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিলেন তিনি । রাজ্যের ডেপুটি সেক্রেটারি তাঁকে যে বদলির চিঠি দিয়েছিলেন, তার উপর আপাতত স্থগিতাদেশ বজায় থাকবে । ইতিমধ্যে রাজ্যকে হলফনামা দিয়ে তাদের বক্তব্য জানাতে হবে । পাশাপাশি মামলাকারী বিচারকের এর বিরুদ্ধে যদি কিছু বলার থাকে তিনি তা জানাবেন ।

কলকাতা, 26 অক্টোবর: রাজ্য ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের বিচারককে (জুডিশিয়াল মেম্বার) বদলির নির্দেশে ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্ট । বদলির নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিলেন বিচারপতি তীর্থংকর ঘোষ ৷ তাঁর পর্যবেক্ষণ, কয়েকজন আইনজীবীর স্বার্থে এই ভাবে বিচারক বদলি করাকে সমর্থন করে না আদালত ।

এ দিন বিচারপতি বলেছেন, "আমরা প্রশাসনকে ন্যায় ব্যবস্থার উপর দখল নিতে দিতে পারি না । যদি সেই অনুমতি দেওয়া হয়, তাহলে সেটা আরও এগিয়ে যাবে । এই ধরনের বদলির নির্দেশ এই প্রথম হয়েছে । এতে যদি অনুমতি দিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে এটাই স্বাভাবিক হয়ে যাবে ।"

সেই কারণে আগামী 30 নভেম্বর পর্যন্ত বদলির নির্দেশ কার্যকর করা যাবে না জানিয়েছেন বিচারপতি । ওই দিন ফের শুনানি রয়েছে এই মামলার ।

রাজ্য সরকার কী কোনও ভাবে, বিচারব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করতে পারে ? এই প্রশ্ন তুলে শুভ্রশংকর ভট্ট নামে ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের বিচারক মামলা দায়ের করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টে । তিনি হুগলির জেলা বিচারক ছিলেন । অবসর গ্রহণের পর কলকাতায় রাজ্য ক্রেতাসুরক্ষা আদালতের বিচারক হিসেবে নিযুক্ত হন তিনি । নিয়ম অনুযায়ী, এই পদের কারওকে বদলি করা যায় না । তবে, কীভাবে তাঁকে আসানসোল সার্কিট বেঞ্চে বদলির নির্দেশ দিল রাজ্য ? এই প্রশ্ন তুলে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি ।

রাজ্যের আইনজীবী তপন মুখোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে বলেন, "জনস্বার্থে বদলি করতেই পারে রাজ্য । এটা স্বাভাবিক সিদ্ধান্ত ।" এ কথা বলায় বিচারপতির পালটা প্রশ্ন, "এর আগে কতবার এই ধরনের বদলি করা হয়েছে ? ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের বিচারক বদলি এটাই কি প্রথম ?"

রাজ্যের বক্তব্য বদলি করার অধিকার আছে প্রশাসনের । আসানসোল-সহ মোট তিনটি সার্কিট বেঞ্চ রয়েছে রাজ্যে । তার জন্যই বদলি করা হয়েছে । এটা রুটিন বদলি । সুদেব মিত্র নামে এক জনকে কলকাতায় বদলি করা হয়েছে এবং শুভ্রশংকর ভট্টকে বদলি করা হয়েছে আসানসোলে । কারণ ওই বেঞ্চে প্রচুর মামলা পড়ে রয়েছে । বৃহত্তর জনস্বার্থে এই বদলি করা হয়েছে ।

আরও পড়ুন: বিএসসি ও এমএসসি নার্সিংয়ের ভরতিতে অনিয়মের অভিযোগ, হাইকোর্টের দ্বারস্থ একাধিক প্রার্থী

মামলাকারী বিচারকের আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, "কিছু আইনজীবীর স্বার্থে আঘাত লাগছে বলেই তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে তাঁকে বদলি করা হয়েছে । তিনি কলকাতার বাসিন্দা । হঠাৎ করে তাঁকে বদলি করা হয়েছে ।" বিচারপতি তীর্থংকর ঘোষ বলেন, "এটা সংশ্লিষ্ট দফতরের মুখ্যসচিবের ইচ্ছাকৃত সিদ্ধান্ত । আমি 30 নভেম্বর পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দিচ্ছি ।"

উল্লেখ্য, চার অক্টোবর মামলাকারীকে কলকাতার বেঞ্চ থেকে আসানসোল বেঞ্চে বদলি করা হয়েছে । তাঁর নামে একজন আইনজীবী কিছু বিষয়ে (দুর্নীতির) 18 জুন স্বাস্থ্য দফতরের সচিবের কাছে অভিযোগ করেন । অগস্ট মাসে প্রশাসনের তরফে তাঁর কাছে সেই বিষয়ে উত্তর চাওয়া হয় । না-হলে আইনজীবীরা তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করবেন বলে জানানো হয় । মামলাকারী বিচারক তাঁর বক্তব্য প্রশাসনকে জানিয়েছিলেন । কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁকে চার অক্টোবর বদলির চিঠি ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ।

এই বদলির নির্দেশে চূড়ান্ত অসন্তুষ্ট বিচারপতি তীর্থংকর ঘোষ । সেই জন্য 30 নভেম্বর পর্যন্ত এই বদলির নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিলেন তিনি । রাজ্যের ডেপুটি সেক্রেটারি তাঁকে যে বদলির চিঠি দিয়েছিলেন, তার উপর আপাতত স্থগিতাদেশ বজায় থাকবে । ইতিমধ্যে রাজ্যকে হলফনামা দিয়ে তাদের বক্তব্য জানাতে হবে । পাশাপাশি মামলাকারী বিচারকের এর বিরুদ্ধে যদি কিছু বলার থাকে তিনি তা জানাবেন ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.