কলকাতা, 5 জুন: সিপিএমের ডাকা জোড়া মিছিলের অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট । দুই জেলার দুই মিটিংয়ে রাজ্যের অবস্থানে ক্ষুব্ধ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা । হাওড়ার একটি মিছিলের অনুমতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘প্রতিটি রাজনৈতিক দলের শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল-মিটিং করার অধিকার আছে ।’’
একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘তবে হাওড়ার স্পর্শকাতর এলাকায় মিছিল হওয়ায় সেখানে খুব ভেবেচিন্তে স্লোগান বাছতে হবে । কোনও মাইক মিছিলে ব্যবহার করা যাবে না । হাওড়া ময়দানে সভায় মাইক ব্যবহার করা যাবে । চওড়া বস্তি, মল্লিক ফটক, ফাজির বস্তি এলাকায় কোনও ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করা যাবে না ।’’
আজ বিকেল চারটে থেকে এক ঘণ্টা মিছিলের অনুমতি দিয়েছে । পাশাপাশি পরে সভা করার অনুমতি দিয়েছে আদালত ৷ আবেদনকারী হাওড়া জেলা সিপিএমের বক্তব্য, হাওড়া কাজীপাড়া থেকে মিছিল ময়দান পর্যন্ত যাবে । 18 মে আবেদন করা হয় সভার জন্য । আবেদন বাতিল করা হয়। বাতিল করা হয় গোয়েন্দা দফতরের রিপোর্ট দেখিয়ে ।
এদিন আদালতে রাজ্য সরকারের বক্তব্য ছিল, বেশ কিছু স্পর্শকাতর এলাকার মধ্যে দিতে মিছিল যাওয়ার কথা । প্রশাসনের তরফে ওই এলাকাগুলির বাইরে মিছিল করার আবেদন করা হয়েছে । কারণ, মিছিল থেকে কোনও ইন্ধন না থাকলেও বাইরে থেকে উস্কানি দিয়ে গোলমাল হলে, তখন কী হবে ? যদিও বিচারপতি শেষ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ মিছিল করার অনুমতি দিয়েছেন ৷
অন্যদিকে উত্তর 24 পরগনার বারাসতের কাছারি ময়দানে 16 দিন আগে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েও এখন নানা অজুহাতে সেই অনুমতি বাতিল করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে । অনুমতি দেওয়ার পরে তা প্রত্যাহার করার কারণে বলা হয়, মাঠ সংস্কারের কাজ হবে তাই প্রত্যাহার । কিন্তু আজও মাঠ সেই একই অবস্থায় পড়ে আছে বলে সিপিএম নেতা পলাশ দাসের অভিযোগ ।
তাঁর দাবি, আগামীকাল সেখানে সমাবেশ করার জন্য উত্তর 24 পরগনা জেলা সিপিএম নেতৃত্ব অনেক আগে থেকেই তৈরি হয়েছে । এই মামলায় বিচারপতি মান্থার বক্তব্য, অনুমতি দিয়ে প্রত্যাহার অস্বচ্ছতার উদাহরণ । আগামিকাল দুপুর 3টে থেকে সন্ধে 7টা পর্যন্ত সভা করতে পারবে সিপিএম ।
এই মামলায়, রাজ্যের যুক্তি ছিল 2017 সাল থেকে এই মাঠে কোনও সভা-সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি । কারণ, পাশে কোর্ট, জেলাশাসকের অফিস, পুলিশের অফিস ও হাসপাতাল আছে । যদিও সেই যুক্তি আদালত খারিজ করে সভার অনুমতি দিয়েছে ৷
আরও পড়ুন: ফের হরিশ মুখার্জি রোডে মিছিলের অনুমতি বিচারপতি মান্থার