ETV Bharat / state

অধ্যাপকদের বদলি নিয়ে আইনের কার্যকারিতার উপর 4 সপ্তাহের স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের - অধ্যাপকদের বদলি সংক্রান্ত আইন

2017 সালে অধ্যাপক বদলি সংক্রান্ত আইন আনে রাজ্য সরকার ৷ অধ্যাপকদের বদলি নিয়ে ওই আইনের কার্যকারিতার উপর চার সপ্তাহের স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট ৷

কলকাতা হাইকোর্ট
author img

By

Published : Sep 3, 2019, 3:18 AM IST

Updated : Sep 3, 2019, 10:03 AM IST

কলকাতা, 3 সেপ্টেম্বর : কলেজের পূর্ণ সময়ের অধ্যাপকদের বদলি নিয়ে আইনের কার্যকারিতার উপর চার সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট । বিচারপতি প্রতীক প্রকাশ ব্যানার্জি এই নির্দেশ দিয়েছেন ।

2017 সালে কলেজের অধ্যাপকদের বদলি সংক্রান্ত বিষয়ে একটি আইন আনে রাজ্য সরকার । আইনে বলা হয়, রাজ্য সরকার কলেজের পূর্ণ সময়ের অধ্যাপকদের বদলি করতে পারবে । এর বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে যান অধ্যাপক শুভদয় দাশগুপ্ত সহ বেশ কয়েকজন ৷ মূলত আইনের 11/2 ধারাকে চ্যালেঞ্জ করেন তাঁরা। মামলাকারীদের মূল বক্তব্য ছিল, অধ্যাপকদের বদলির বিষয়টি রাজ্য সরকারের এক্তিয়ারের বাইরে । কিন্তু, নতুন আইনের ফলে তাঁদের বদলির ক্ষমতা রাজ্য সরকারের হাতে এসেছে ৷ এর ফলে কোনও অধ্যাপকের সঙ্গে যদি রাজ্য সরকারের বিরোধ বাঁধে বা একজন অধ্যাপক তাঁর মতামত প্রকাশ করতে গিয়ে যদি রাজ্য সরকারের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন তবে তিনি রাজরোষে পড়তে পারেন । রাজ্য সরকার নিজের ইচ্ছে মতো তাঁকে বদলি করতে পারে ।

এর বিরুদ্ধে গত বছর কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন অধ্যাপকরা । চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাজ্য সরকারের কাছে তাঁদের বক্তব্য জানতে চেয়েছিল হাইকোর্ট । দিতে বলা হয় হলফনামা ৷ কিন্তু, রাজ্য সরকার কোনও হলফনামা জমা দেয়নি । গতকাল আবার মামলাটির শুনানি হয় বিচারপতি প্রতীক প্রকাশ ব্যানার্জির সিঙ্গল বেঞ্চে । শুনানিতে তাদের বক্তব্য জানানোর জন্য ফের সময় চায় রাজ্য । সঙ্গে সঙ্গে আবেদনকারী অধ্যাপকদের তরফে আইনজীবী কল্লোল বসু বলেন, "রাজ্য সরকারকে সময় দেওয়া হোক আপত্তি নেই । কিন্তু ইতিমধ্যে যদি রাজ্য সরকার এই আইন চালু করে দেয় তাহলে অধ্যাপকদের সুরক্ষা কী রইল ?"

দু'পক্ষের বক্তব্য শোনার পর আগামী চার সপ্তাহের জন্য অধ্যাপকদের বদলি নিয়ে আইনের কার্যকারিতার উপর চার সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশ জারি করেন বিচারপতি ।

কলকাতা, 3 সেপ্টেম্বর : কলেজের পূর্ণ সময়ের অধ্যাপকদের বদলি নিয়ে আইনের কার্যকারিতার উপর চার সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট । বিচারপতি প্রতীক প্রকাশ ব্যানার্জি এই নির্দেশ দিয়েছেন ।

2017 সালে কলেজের অধ্যাপকদের বদলি সংক্রান্ত বিষয়ে একটি আইন আনে রাজ্য সরকার । আইনে বলা হয়, রাজ্য সরকার কলেজের পূর্ণ সময়ের অধ্যাপকদের বদলি করতে পারবে । এর বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে যান অধ্যাপক শুভদয় দাশগুপ্ত সহ বেশ কয়েকজন ৷ মূলত আইনের 11/2 ধারাকে চ্যালেঞ্জ করেন তাঁরা। মামলাকারীদের মূল বক্তব্য ছিল, অধ্যাপকদের বদলির বিষয়টি রাজ্য সরকারের এক্তিয়ারের বাইরে । কিন্তু, নতুন আইনের ফলে তাঁদের বদলির ক্ষমতা রাজ্য সরকারের হাতে এসেছে ৷ এর ফলে কোনও অধ্যাপকের সঙ্গে যদি রাজ্য সরকারের বিরোধ বাঁধে বা একজন অধ্যাপক তাঁর মতামত প্রকাশ করতে গিয়ে যদি রাজ্য সরকারের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন তবে তিনি রাজরোষে পড়তে পারেন । রাজ্য সরকার নিজের ইচ্ছে মতো তাঁকে বদলি করতে পারে ।

এর বিরুদ্ধে গত বছর কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন অধ্যাপকরা । চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাজ্য সরকারের কাছে তাঁদের বক্তব্য জানতে চেয়েছিল হাইকোর্ট । দিতে বলা হয় হলফনামা ৷ কিন্তু, রাজ্য সরকার কোনও হলফনামা জমা দেয়নি । গতকাল আবার মামলাটির শুনানি হয় বিচারপতি প্রতীক প্রকাশ ব্যানার্জির সিঙ্গল বেঞ্চে । শুনানিতে তাদের বক্তব্য জানানোর জন্য ফের সময় চায় রাজ্য । সঙ্গে সঙ্গে আবেদনকারী অধ্যাপকদের তরফে আইনজীবী কল্লোল বসু বলেন, "রাজ্য সরকারকে সময় দেওয়া হোক আপত্তি নেই । কিন্তু ইতিমধ্যে যদি রাজ্য সরকার এই আইন চালু করে দেয় তাহলে অধ্যাপকদের সুরক্ষা কী রইল ?"

দু'পক্ষের বক্তব্য শোনার পর আগামী চার সপ্তাহের জন্য অধ্যাপকদের বদলি নিয়ে আইনের কার্যকারিতার উপর চার সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশ জারি করেন বিচারপতি ।

Intro:অধ্যাপকদের বদলি উপর চার সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশ Body:মানস নস্কর---

অধ্যাপকদের বদলির উপর চার সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট

কলকাতা ২ সেপ্টেম্বর ঃ
কলেজের পূর্ণ সময়ের অধ্যাপকদের বদলির উপর চার সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি প্রতীক প্রকাশ ব্যানার্জি এই নির্দেশ দিয়েছেন।


কলেজের অধ্যাপক দের বদলি সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্য সরকার ২০১৭ সালে একটি আইন করে। আইনে বলা হয় রাজ্য সরকার কলেজের পূর্ণ সময়ের অধ্যাপকদের বদলি করতে পারবে।এর বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অধ্যাপক সুভদয় দাসগুপ্ত সহ আরো একাধিক অধ্যাপক। মুলত আইনের ১১/২ধারাকে চ্যালেঞ্জ করেন তারা। মামলাকারীদের মুল বক্তব্য ছিল, অধ্যাপকদের বদলির ব্যাপার রাজ্য সরকারের এক্তিয়ারের সম্পূর্ণ বাইরে।কারন একজন পূর্ন সময়ের অধ্যাপককে যখন নিয়োগ করা হয় কলেজের গভর্নিং বডি নিয়োগ দিতো আর কলেজ সার্ভিস কমিশন ছিল রেকমেন্ডেশন অথরিটি। রাজ্য সরকারের বদলি করার কোনো অধিকার ছিল না।কিন্ত রাজ্য সরকারের নতুন আইনের ফলে বদলির ক্ষমতা তাদের হাতে এসেছে। এর ফলে কোনো অধ্যাপকের সাথে যদি কোনো ভাবে রাজ্যের বিরোধ হয়। একজন অধ্যাপক তার স্বাধীন গনতান্ত্রিক মতামত প্রকাশ করতে গিয়ে রাজ্য সরকারের সাথে কোনো সংঘাত হলে তিনি রাজরোষে পড়তে পারেন।রাজ্য সরকার নিজের ইচ্ছে মতো তাকে বদলি করতে পারে।সেই সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে ঐ আইনের বলে।এর ফলে কেন্দ্র রাজ্যের মধ্যে সংঘাত তৈরি হতে পারে।

এর বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন অধ্যাপকরা। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে হাইকোর্ট রাজ্য সরকারের কাছে তাদের বক্তব্য জানতে চেয়েছিল।হলফনামা দিয়ে জানাতে বলা হয় তাদের বক্তব্য। কিন্ত রাজ্য সরকার কোনো হলফনামা দিতে পারেনি।এর পর আজ আবার মামলাটির শুনানি হয় বিচারপতি প্রতীক প্রকাশ ব্যানার্জির সিংগল বেঞ্চে। শুনানিতে রাজ্যের তরফে আবার সময় চাওয়া হয় তাদের বক্তব্য জানানোর জন্য।সঙ্গে সঙ্গে আবেদনকারী অধ্যাপকদের তরফে আইনজীবী কল্লোল বসু জানান,"রাজ্য সরকারকে সময় দেওয়া হোক আপত্তি নেই।কিন্তু ইতিমধ্যে যদি রাজ্য সরকার এই আইন চালু করে দেয় তাহলে অধ্যাপকদের সুরক্ষা কি রইলো?"
বিচারপতি প্রতীক প্রকাশ ব্যানার্জি দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর আগামী চার সপ্তাহের জন্য অধ্যাপকদের বদলির উপর স্থগিতাদেশ জারি করেন।চার সপ্তাহ পরে মামলাটি বিচারপতি আবার শুনবেন বলে জানিয়েছেন। Conclusion:
Last Updated : Sep 3, 2019, 10:03 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.