কলকাতা, 11 ডিসেম্বর: বেআইনিভাবে জলাভূমি ভরাট করে নির্মাণ বন্ধের বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট ৷ সেই নির্দেশ পালন না-করায় কলকাতা পৌরনিগমকে সোমবার এক লক্ষ টাকা জরিমানা করল আদালত । প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ এ দিন এই নির্দেশ দিয়েছে ।
প্রধান বিচারপতি বলেন, "আপনাদের মেয়রকে বলবেন আদালত কড়া পদক্ষেপ করবে । কারণ এতে আগামী প্রজন্ম ক্ষতিগ্রস্ত হবে । কোনও সময় কাউকে না কাউকে পদক্ষেপ করতে হয় । তাদের নাম দিন যে সব ইঞ্জিনিয়ার ও অফিসাররা এই বেআইনি কাজ করতে মদত দিচ্ছে । এক লক্ষ টাকা লিগাল সার্ভিস কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে হবে । আমরা ইঞ্জিনিয়ার, জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার, অফিসার থেকে কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব । কারণ 2921টি জলাভূমি বোঝানো বন্ধ করতে পদক্ষেপ নেওয়ার হাইকোর্টের কোনও নির্দেশ কার্যকর হচ্ছে না ।"
তিনি আরও বলেন, "16 সেপ্টেম্বর 2021 সালে শেষ নির্দেশ দেওয়া হয় । এখনও সেই নির্দেশ মেনে পৌরনিগম বলার জায়গায় নেই কতগুলো জলাশয় শহরে আছে । পৌরনিগম বারবার ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে । কিন্তু 2921 জলাশয় থেকে বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে কোনও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ করা হয়নি । অযথা পৌরনিগম মামলাটা টেনে নিয়ে যাচ্ছে । আমরা নিশ্চিত সেই রিপোর্ট আদালতের কাছে আসবে না । তবু আমরা সেই রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য সময় দিচ্ছি ।"
প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের কথায়, "19 ডিসেম্বরের মধ্যে সেই রিপোর্ট জমা হবে কতগুলো জলাশয় শহরে রয়েছে, তার কতগুলো কত অংশ দখল হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে । আমরা রিপোর্ট চাই না । কারণ সব রিপোর্টে একই কথা । বহু জলাভূমির চরিত্র বদল করা হয়েছে । আপনারা আদালতের সঙ্গে প্রতারণা করছেন । 100 শতাংশ যোগসাজস পৌরনিগম ও দখলদারদের । যদি দখল উচ্ছেদের নোটিস বাস্তবে দেওয়া হতো তাহলে হাইকোর্টে ভিড় লেগে যেত । সবাই মামলা করতে আসতো । 2014 সাল থেকে আপনারা কিছুই করেননি । আমরা পৌরনিগমের বোর্ড ভেঙে দেব । কতগুলির পাট্টা দিয়েছে জানতে আমরা স্পেশাল অফিসার নিয়োগ করব । তার একাংশ হোল্ডাররা বিক্রি করে দিয়েছে । সেখানেই প্রোমোটার বহুতল তুলছে । জলাশয়ের তথ্য থাকা জরুরি । এটা এমন অবস্থা যেন হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জানে না কতগুলো কোর্টরুম আছে ।"
আরও পড়ুন: