কলকাতা, 3 নভেম্বর: কালী পুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো, ছট পুজো ও কার্তিক পুজোয় মণ্ডপে দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ রাখা এবং 25 ডিসেম্বর, বড়দিনের উৎসবে ভিড় ও জমায়েত বন্ধ রাখার আর্জি সংক্রান্ত মামলা আজ গৃহীত হল কলকাতা হাইকোর্টে । আগামী 5 নভেম্বর মামলাটির শুনানি হবে বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে। পাশাপাশি এবছর সমস্ত রকমের বাজি কেনাবেচা ও ব্যবহার নিষিদ্ধ রাখা হোক এই দাবিতে আরেকটি মামলাও গ্রহণ করেছে আদালত । এই মামলাটিও আগামী 5 নভেম্বর শুনানি হবে একই বেঞ্চে।
সামনেই কালী পুজো, ছট পুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো ও বড়দিন সহ একাধিক উৎসব রয়েছে ৷ এই সব উৎসবে মণ্ডপ ও রাস্তায় ভিড় এড়াতে জমায়েতে নিষেধাজ্ঞার দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে একচি মামলা দায়ের হয়েছিল ৷ সেই মামলাটি আজ আদালত গ্রহণ করেছে ৷ এই মামলার আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় জানালেন , দুর্গাপুজোতে যেভাবে আদালত মণ্ডপগুলোতে নো-এন্ট্রি ঘোষণা করেছিল ঠিক একইভাবে কালী পুজো সহ 25 ডিসেম্বর বড়দিনের উৎসবে নিষেধাজ্ঞা জারি করুক আদালত ৷ তিনি বলেন, এই মামলার উদ্দেশ্য জনস্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে ভিড় নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করুক আদালত। ছট পুজোয় ও বিভিন্ন ঘাটগুলোতে ভিড় হয় । সেটাও নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে হাসপাতালে বেড পাওয়া যাবে না বলে মত সব্য়সাচী চট্টোপাধ্য়ায়ের।
পাশাপাশি এবছর সমস্ত রকমের বাজি কেনাবেচাও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার দাবিতে আরেকটি মামলা গ্রহণ করেছে আদালত ৷ এই সংক্রান্ত মামলার আইনজীবী ইন্দ্রজিৎ জানালেন, এবছর সমস্ত রকমের বাজি কেনাবেচা ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হোক না হলে কোভিড পরিস্থিতি আরো বেড়ে যাবে । যাঁদের কোমরবিডিটি রয়েছে তাঁদের জন্য যেকোনো ধরনের বাজির ধোঁয়া অত্যন্ত ক্ষতিকর । বিশেষ করে যে সমস্ত জনবহুল এলাকায় ক্যান্সারের রোগী রয়েছেন, তাঁদের জন্য় বাজির ধোঁয়া ভয়ংকর হতে পারে । এছাড়া আরও বহু ব্যক্তির শ্বাসকষ্টজনিত অনেক সমস্যা থাকে । বাজির ব্যবহার তাদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক হয়ে উঠতে পারে। বলে আদালতে দায়ের করা মামলায় উল্লেখ করেছেন আইনজীবী ৷