কলকাতা, 20 ডিসেম্বর: বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে মামলা । 42 হাজারেরও বেশি চাকরিপ্রাপ্তদের প্যানেল আদালতে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি সিনহা । সেই নির্দেশের উপর চার সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশ জারি করল বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ । 4 জানুয়ারি ফের এই শুনানি মামলার । পাশাপাশি 2016 সালের প্রাথমিকে চাকরিপ্রাপ্তরা 2014 সালের টেটে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন কি না, তা রিপোর্ট দিয়ে জানাবে সিবিআই ।
এ দিন ডিভিশন বেঞ্চে পর্ষদের বক্তব্য, তারা প্রার্থীদের মেধাতালিকা প্রাপ্ত নম্বর-সহ প্রকাশ করেছিল । 94 জন প্রার্থী, যাঁদের বেআইনি নিয়োগ হয়েছিল বলে সিবিআই রিপোর্ট দিয়েছে, তাঁদের পর্ষদ চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে । এর বাইরে সিবিআই কোনও বেআইনি নিয়োগ হয়েছিল বলে কিছু জানাতে পারেনি ।
পালটা সিবিআইয়ের আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য বলেন, পর্ষদের আইনজীবী যে রিপোর্টের কথা বলছেন, তার পরে আরও অনেক কিছু এগিয়েছে ।বোর্ড বারবার ডিজিটাইজড ডাটার কথা বলছে । কিন্তু সিবিআই কোনও ডিজিটাইজড ডাটা খুঁজে পায়নি । আসল ওএমআর শিট খুঁজে পাওয়া যায়নি ।কারণ বোর্ড সেগুলো নষ্ট করে দিয়েছে ।
বিচারপতি সেন সিবিআইয়ের কাছে জানতে চান, "আপনারা তাহলে 94 জনকে খুঁজে বের করলেন কীভাবে ? " সিবিআই বলে, "আনুসঙ্গিক তথ্যের ভিত্তিতে খুঁজে বের করা হয়েছে ।" তখন বিচারপতি সেন বলেন, "সেই ভাবেই তাহলে জানান ।"
বিচারপতি সেন সিবিআইয়ের আইনজীবীকে বলেন , "প্রথমে জানান, এই প্রার্থীরা 2014 সালের টেটে উত্তীর্ণ হয়েছিল কি না ! রিপোর্টে জানান, এরা প্রাথমিক যোগ্যতা অর্জন করেছিল কি না । আদালত গিয়ে তদন্ত করতে পারবে না । আদালত প্রথমে দেখতে চায় এই প্রার্থীরা যোগ্য কি না ।"
চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, " ওএময়ার শিট কোথায় গেল ? কীসের ভিত্তিতে পর্ষদ আপিল করেছে ? এই মামলা ডিভিশন বেঞ্চের গ্রহণ করাই উচিত নয় ।"
পর্ষদের আরও এক আইনজীবী সুবীর স্যানালের বক্তব্য, "এত বছর পরে কেন অরিজিনাল ওএমআরের কথা আসছে ? ডিজিটাইজড তথ্য রয়েছে । অরিজিনাল কপি রাখা হয়নি ।"
বিচারপতি সেন পর্ষদের কথা কিছুটা সমর্থন করে বলেন, "কোনও প্রার্থী অকৃতকার্য হলে তিনি দু'তিন বছরের মধ্যে আবেদন করবেন সেটাই স্বাভাবিক । তা না করে হঠাৎ করে ছয় বছর পরে তাঁর মনে হল চাকরির কথা, সেটাও আইনের চোখে খুব একটা সমর্থনযোগ্য নয় ।" বিচারপতি সেন সিবিআইয়ের আইনজীবীকে বলেন, " আপনারা তদন্ত করুন । তাতে বাধা নেই । কিন্তু আদালত যেগুলো জানতে চাইছে সেই ভিত্তিতে রিপোর্ট দিন ।"
আরও পড়ুন: