কলকাতা 18 অগস্ট: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে ৷ সেই মামলায় এবার রাজ্যপালকে যুক্ত করতে নির্দেশ দিলেন বিচারপতি ৷ মূলত তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে এ দিন রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ বাম-রাজনীতির নামে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভিতরে স্বেচ্ছাচারীতার বিরুদ্ধে রাজ্যপালের নীরব ভূমিকা নিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে ৷ সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই আদালত রাজ্যপালকে এই মামলায় যুক্ত করেছে ৷
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভিতরে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো-সহ বেশ কয়েকদফা দাবি তথা অভিযোগে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সহ-সভাপতি সুদীপ রাহা ৷ সেই মামলার শুনানিতে আজ আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তোলেন ৷ তিনি প্রশ্ন করেন, রাজ্যের সেন্টার ফর এক্সেলেন্স বলে খ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে উপাচার্য, সহ-উপাচার্যের পদ খালি কেন ? কেন রাজ্যপাল ঐ পদে নিয়োগ করছেন না ?
এমন কি রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য ৷ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েরল ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ সক্রিয় হয়ে ব্যবস্থা নিয়েছে ৷ কিন্তু, রাজ্যপাল এই ঘটনায় চুপ করে রয়েছেন, বলে অভিযোগ করেন মামলাকারীর আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এই জনস্বার্থ মামলায় বাম এবং অতি-বাম ছাত্র সংগঠনগুলির বিরুদ্ধেও একাধিক অভিযোগ করা হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: যাদবপুরের ঘটনায় এখনও অধরা কমপক্ষে 15 জন, দাবি লালবাজারের
এ দিন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সওয়ালে বলেন, ‘‘যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বামপন্থী ছাত্র রাজনীতির নামে বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসিটিভি লাগাতে দেওয়া হয় না ৷ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে দেড় হাজারের বেশি ছাত্রছাত্রী থাকলেও সেখানে লাইট লাগানো হয়নি ৷ কারণ, তাঁদের গোপনীয়তা নাকি নষ্ট হবে ! যাদবপুরে বহিরাগতদের অবাধ প্রবেশ কেন ? যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্রীদের পরিচয় পত্র নেই কেন ?’’ এ সব নিয়ে রাজ্যপাল তথা আচার্য কোনও ব্যবস্থা নেননি, এই অভিযোগ তোলা হয়েছে জনস্বার্থ মামলায় ৷
মামলাকারীদের তরফে এমন একাধিক অভিযোগ পেয়ে বিচারপতি রাজ্যপাল তথা আচার্যকে এই মামলায় যুক্ত করতে নির্দেশ দেন ৷ প্রথমবর্ষের বাংলা বিভাগের পড়ুয়ার মৃত্যুর পর ব়্যাগিং, মাদক সেবন-সহ অন্যান্য অভিযোগ মাথাচারা দিয়েছে ৷ সেগুলির প্রেক্ষিতেও একাধিক জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে ৷