কলকাতা, 8 ফেব্রুয়ারি: গ্রুপ ডি নিয়োগে (Group-D Recruitment Scam) যাঁরা ওএমআর উত্তরপত্র বিকৃত করেছেন এবং যাঁরা এর ফলে উপকৃত হয়েছেন দু পক্ষই সমানভাবে দায়ী বলে উল্লেখ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু ।
সিবিআইকে তদন্তে গতি আনতে বলল হাইকোর্ট: বুধবার সিবিআইয়ের উদ্দেশে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, "ওএমআর উত্তরপত্র বিকৃতির ফলে প্যানেলে থাকা 1698 জনের বিরুদ্ধে কেন মামলা করছেন না ? তদন্তে গতি আনুন ।" সিবিআইয়ের হিসেবে প্রায় চার হাজার ওএমআর উত্তরপত্র বিকৃত করা হয়েছে । তাঁদের মধ্যে 1698 জনকে সুপারিশ পত্র দিয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন । তাদের মধ্যে 1694 জনকে নিয়োগপত্র দিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ।
ওএমআর শিট বিকৃত করে চাকরি প্রাপকদের বক্তব্য শুনতে চান বিচারপতি: বিচারপতি বসু এ দিন সিবিআই ও স্কুল সার্ভিস কমিশনকে বলেন, "এই 1698 জনের বিরুদ্ধে নোটিশ জারি করা দরকার । এঁদের বক্তব্য শোনার প্রয়োজন রয়েছে ।" সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়, এই প্রার্থীদের অনেকে তদন্তে সহযোগিতা করছেন ৷ কিন্তু যাঁরা সহযোগিতা করছেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার ঈঙ্গিত দিয়েছে সিবিআই ।
'আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হবে': বিচারপতি অবশ্য জানিয়েছেন, এই 1698 জন ফৌজদারি বিচার প্রক্রিয়ায় আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাবেন । তাঁরা আদালতকে তাঁদের বক্তব্য জানানোর সুযোগ পাবেন । তিনি আরও বলেন, "সিবিআইয়ের উচিত এই 1698 জনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা । নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ না করতে পারলে তাঁদের টাকাও যাবে, জেলেও যেতে হবে ।"
আরও পড়ুন: 2017 প্রাইমারি টেট পরীক্ষার ওএমআর শিট নষ্ট, হাইকোর্টে জানাল পর্ষদ
সাদা খাতা জমা দিয়েও মিলেছে চাকরি: অভিযোগ ছিল এই নিয়োগপত্র প্রাপকদের মধ্যে অনেকেরই সুপারিশপত্র পর্যন্ত নেই । অনেকেই সাদা খাতা জমা দিয়েও চাকরি পেয়েছেন । তাঁদের সবার নাম, ঠিকানা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু । সেই তালিকা আদালতে দেওয়ার পর তালিকায় নাম থাকা কর্মীদের কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিতে চেয়েছিল আদালত ।
আদালতের কাছে আর্জি রাজ্যের: কিন্তু এখনই সেই নির্দেশ না দেওয়ার জন্য রাজ্যের তরফে আর্জি জানানো হয় । রাজ্যের যুক্তি ছিল, এতজনকে হঠাৎ করে বসিয়ে দেওয়া হলে স্কুলের গেট খোলার লোকও পাওয়া যাবে না । বহু স্কুলে ঘণ্টা বাজানোর লোকও থাকবে না । আগামী সপ্তাহে ফের শুনানির জন্য রাখা হয়েছে মামলাটি ।