কলকাতা, 29 মার্চ: খড়গপুর আইআইটির (Kharagpur IIT) ছাত্র ফাইজান আহমেদের রহস্যমৃত্যুতে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার। ময়নাতদন্ত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অজয় গুপ্ত ও তাঁর সহকারী সন্দীপ ভট্টাচার্য বুধবার আদালতে জানিয়েছেন আগের ময়নাতদন্তের ভিডিয়োগ্রাফিতে ওই ছাত্রের দেহ অস্পষ্ট। তাই দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করে আগামী 6 এপ্রিল রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি (Calcutta HC Ordered Another Autopsy Report) ।
এর আগে গত 20 ফেব্রুয়ারি ফাইজান আহমেদের মৃত্যুতে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের বিষয়ে বিশদ জানতে অবসরপ্রাপ্ত ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ডাক্তার একে গুপ্তকে দায়িত্ব দেন বিচারপতি। কারণ পুলিশি রিপোর্টে উল্লেখ ছিল, ফাইজান অবসাদে আত্মহত্যা করেছেন। রিপোর্ট নিয়ে সন্দেহ হওয়ায় বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা চিকিৎসক একে গুপ্তকে সমস্ত নথি খতিয়ে দেখে 'সেকেন্ড ওপিনিয়ন' দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। যদিও পুলিশ এবং আইআইটি কর্তৃপক্ষ জানায় ওই ছাত্র অবসাদে আত্মহত্যা করেছেন।
গত 14 অক্টোবর আইআইটি খড়গপুরের লালা লাজপত রায় হলের একটি ঘর থেকে ফাইজান আহমেদের দেহ উদ্ধার হয়। এরপরেই ঘটনার তদন্ত শুরু করে টাউন থানার পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য দেহ পাঠানো হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। খড়গপুর আইআইটির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি রিপোর্ট দিয়ে আদালতে জানায়, এই মৃত্যুতে প্রতিষ্ঠানের কোনও দায় নেই। আইআইটির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়েরের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে ফাইজানের পরিবারের লোকজন। যদিও এই ঘটনায় সাতজন ছাত্রের বিরুদ্ধে র্যাগিংয়ের অভিযোগ করা হয়েছে বলেও জানায় তাঁরা।
আরও পড়ুন: রাজ্য এনভিএফ নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ, হলফনামা তলব হাইকোর্টের
রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল আদালতে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষক, ছাত্র, পুলিশ এই চারেরই ভূমিকা আছে মৃত্যুর ঘটনায়। গতবছর
ফেব্রুয়ারিতে ব়্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটেছিল। তারপরে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। বাড়িতে ইন্টারনেটের সমস্যা থাকায় গরমের ছুটিতে বাড়ি না-গিয়ে হস্টেলে ছিল ছেলেটি। 70টি আবেদন করার পরেও কোনও চাকরির ডাক পায়নি সে, কিন্তু বন্ধুরা পেয়ে গিয়েছে। এই অবসাদে আত্মহত্যা করেছেন তিনি ৷