কলকাতা, 29 মার্চ: বগটুইয়ে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত আনারুল হোসেনের জামিনের আবেদন খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট।বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্তার ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। ঘটনার সময় উপস্থিত না-থাকলেও, সেদিনের নারকীয় ঘটনা ঘটানোর জন্য গ্রামবাসীদের উসকানি দিয়েছিল আনারুল, এমনটাই সিবিআই জানিয়েছিল আদালতে। তাকেই মান্যতা দিয়েছে হাইকোর্ট (Calcutta HC Rejected Bail of Anarul Hossain)।
উল্লেখ্য, গত বছর 21 মার্চ সন্ধ্যায় গুলি করে খুন করা হয় বগটুই গ্রামের উপপ্রধান ভাদু শেখকে। তারপরই ওইদিন রাতেই বগটুই গ্রামের একের পর এক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। আগুনে পুড়ে প্রথমে ঘটনাস্থলে 8 জনের মৃত্যু হয়েছিল ৷ পরে হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় আরও দু'জনের মৃত্যু হয় ৷ তারপরই কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। সিবিআই তদন্তের পর 18 জনের নামে চার্জশিট দেয়। তাতে নাম ছিল আনারুল হোসেনের।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানিয়েছিলেন এই ঘটনায় যেন কাউকে না-রেওয়াত করা হয়। তারপরই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, "আনারুল আমাদের ব্লক প্রেসিডেন্ট। তাঁর কাছে অভিযোগ জানিয়েছিল ওরা। কিন্তু সময় মতো পুলিশ পাঠায়নি। তাই আনারুলকে গ্রেফতার করা হবে। কেন ও সময়মতো পুলিশ পাঠাল না? হয়তো তা হলে এই ঘটনা নাও ঘটতে পারত।"
আরও পড়ুন: খড়গপুর আইআইটির ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ বিচারপতি মান্থার
এদিন আদালতে সিবিআইয়ের তরফে আইনজীবী ধীরজ ত্রিবেদী ও অমাজিৎ দে বলেন, "আনারুল হোসেন অন্যতম অভিযুক্ত। ঘটনার সময় উপস্থিত না-থাকলেও গ্রামবাসীদের উস্কানি দিয়েছিলেন। বগটুইয়ে একাধিক বাড়িতে বোমাবাজি, আগুন লাগানোর বিষয়ে আনারুল সবটাই জানতেন। তারপরও কোনও পদক্ষেপ করেননি। এমনকী পুলিশকে সক্রিয় হতে দেননি।" উল্লেখ্য, সাধারণ রাজমিস্ত্রি আনারুলের ভাঙাচোরা বাড়ি রাজনীতিতে আসার পর প্রাসাদ হয়। তাঁর মাথায় অনুব্রত হাত থাকায় এই প্রতিপত্তি বৃদ্ধি বলে অভিযোগ। 2022 সালের 22 মার্চ বগটুই কাণ্ডের আনারুলের নাম শিরোনামে আসে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশে জেল বন্দি হতে হয় তাঁকে।