ETV Bharat / state

জাতীয় সংগীতকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করা যায় না, হাইকোর্টে স্বস্তি বিজেপি বিধায়কদের - National Anthem Contempt Case

National Anthem Contempt Case: বিধানসভায় জাতীয় সংগীত অবমাননার মামলায় বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নেওয়ার সময়সীমা বাড়ল ৷ 17 জানুয়ারি পর্যন্ত কোনও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না ৷ এমনটাই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট ৷

Calcutta High Court
কলকাতা হাইকোর্ট
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Dec 7, 2023, 6:46 PM IST

কলকাতা, 7 ডিসেম্বর: বিধানসভায় জাতীয় সংগীতের অবমাননার মামলায় ফের স্বস্তি পেলেন বিজেপি বিধায়করা ৷ 17 জানুয়ারি পর্যন্ত মামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ করা যাবে না । এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত । পাশাপাশি 10 জানুয়ারির মধ্যে রাজ্যকে হলফনামা দিয়ে তাদের বক্তব্য জানানোর নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট । সেদিন মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ৷

বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে মামলাকারীর আইনজীবী প্রশ্ন করেন, তৃণমূল বিধায়করা 'গলি গলি মে সোর হ্যায় নরেন্দ্র মোদি চোর হ্যায়' স্লোগান দিতে দিতে হঠাৎ করে জাতীয় সংগীত গেয়ে ওঠেন, এভাবে দেশকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা যায়? এর পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি বলেন, "জাতীয় সংগীতকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করা যায় না। রাজ্যের অভিযোগ মিথ্যা নয় । কিন্তু এই দিয়ে কোনও এফআইআর করা যায় না।"

মামলাকারী হলফনামা দিয়ে এ দিন জানান, শাসকদল তৃণমূল আগে থেকেই একটা ধরনা কর্মসূচি করছিল । সেখানে বিজেপির লোক আসতেই তাদের দেখে হঠাৎ করে জাতীয় সংগীত গাওয়া হয় । এটাকে অস্ত্র হিসাবে ব্যাবহার করা হচ্ছে । রাজ্যের তরফে আইনজীবী কিশোর দত্ত এ দিন আদালতে বলেন, "যে কর্মসূচি চলছিল সেখানে ঘোষণা করা হয়েছিল এরপর জাতীয় সংগীত গাওয়া হবে । তার সত্ত্বেও বিজেপি বিধায়করা জাতীয় সংগীতের অবমাননা করেছে । ফলে এতে অভিযোগ দায়ের হতেই পারে ।"

বিচারপতি বলেন, "সেদিন ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল সেটা জানার জন্য এর তদন্ত করা জরুরি । আদালতে হলফনামা দিয়ে পুরো জিনিসটা রাজ্য জানাক ৷ তারপর মামলা শুনব ।" কিন্তু রাজ্যের আইনজীবী কিশোর দত্ত মামলা শোনার আর্জি জানাতে ফের শুনানি শুরু হয় । বিজেপির আইনজীবীর ফের পালটা প্রশ্ন করেন, এইভাবে কি জাতীয় সংগীত গাওয়া যায়? অবিলম্বে এফআইআর খারিজ করা উচিত ।"

জানা গিয়েছে, এ দিন রাজ্যের তরফে যে ভিডিও আদালতে দেখানো হয়, তাতে শুধুমাত্র শাসকদলের ধরনার অংশ রয়েছে । বিজেপির বিক্ষোভের কোনও ভিডিয়ো সেখানে নেই । পরে অবশ্য ফের একটি ভিডিয়ো দেখানো হয় ৷ যেখানে দু'টি দল আলাদা আলাদা বিক্ষোভ করছে বলে দেখা যায় । শেষে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, এই মামলায় কোনওভাবেই অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেওয়া যায় না । কিন্তু বিচারপতি সেনগুপ্ত পরিষ্কার জানান, আপাতত বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে কোনওরকম তদন্ত করতে পারবে না পুলিশ । 17 জানুয়ারি পর্যন্ত কোনও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না ।

আরও পড়ুন:

  1. গ্রেফতারির মতো কোনও কঠোর পদক্ষেপে 'না', জাতীয় সংগীত অবমাননার মামলায় হাইকোর্টে স্বস্তি বিজেপি বিধায়কদের
  2. জাতীয় সংগীত অবমাননা মামলায় স্বস্তি বিজেপি বিধায়কদের, 'গ্রেফতার নয়', মৌখিক নির্দেশ আদালতের
  3. জাতীয় সংগীত অবমাননা মামলায় মমতাকে পাঠানো সমন খারিজ আদালতের

কলকাতা, 7 ডিসেম্বর: বিধানসভায় জাতীয় সংগীতের অবমাননার মামলায় ফের স্বস্তি পেলেন বিজেপি বিধায়করা ৷ 17 জানুয়ারি পর্যন্ত মামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ করা যাবে না । এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত । পাশাপাশি 10 জানুয়ারির মধ্যে রাজ্যকে হলফনামা দিয়ে তাদের বক্তব্য জানানোর নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট । সেদিন মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ৷

বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে মামলাকারীর আইনজীবী প্রশ্ন করেন, তৃণমূল বিধায়করা 'গলি গলি মে সোর হ্যায় নরেন্দ্র মোদি চোর হ্যায়' স্লোগান দিতে দিতে হঠাৎ করে জাতীয় সংগীত গেয়ে ওঠেন, এভাবে দেশকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা যায়? এর পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি বলেন, "জাতীয় সংগীতকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করা যায় না। রাজ্যের অভিযোগ মিথ্যা নয় । কিন্তু এই দিয়ে কোনও এফআইআর করা যায় না।"

মামলাকারী হলফনামা দিয়ে এ দিন জানান, শাসকদল তৃণমূল আগে থেকেই একটা ধরনা কর্মসূচি করছিল । সেখানে বিজেপির লোক আসতেই তাদের দেখে হঠাৎ করে জাতীয় সংগীত গাওয়া হয় । এটাকে অস্ত্র হিসাবে ব্যাবহার করা হচ্ছে । রাজ্যের তরফে আইনজীবী কিশোর দত্ত এ দিন আদালতে বলেন, "যে কর্মসূচি চলছিল সেখানে ঘোষণা করা হয়েছিল এরপর জাতীয় সংগীত গাওয়া হবে । তার সত্ত্বেও বিজেপি বিধায়করা জাতীয় সংগীতের অবমাননা করেছে । ফলে এতে অভিযোগ দায়ের হতেই পারে ।"

বিচারপতি বলেন, "সেদিন ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল সেটা জানার জন্য এর তদন্ত করা জরুরি । আদালতে হলফনামা দিয়ে পুরো জিনিসটা রাজ্য জানাক ৷ তারপর মামলা শুনব ।" কিন্তু রাজ্যের আইনজীবী কিশোর দত্ত মামলা শোনার আর্জি জানাতে ফের শুনানি শুরু হয় । বিজেপির আইনজীবীর ফের পালটা প্রশ্ন করেন, এইভাবে কি জাতীয় সংগীত গাওয়া যায়? অবিলম্বে এফআইআর খারিজ করা উচিত ।"

জানা গিয়েছে, এ দিন রাজ্যের তরফে যে ভিডিও আদালতে দেখানো হয়, তাতে শুধুমাত্র শাসকদলের ধরনার অংশ রয়েছে । বিজেপির বিক্ষোভের কোনও ভিডিয়ো সেখানে নেই । পরে অবশ্য ফের একটি ভিডিয়ো দেখানো হয় ৷ যেখানে দু'টি দল আলাদা আলাদা বিক্ষোভ করছে বলে দেখা যায় । শেষে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, এই মামলায় কোনওভাবেই অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেওয়া যায় না । কিন্তু বিচারপতি সেনগুপ্ত পরিষ্কার জানান, আপাতত বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে কোনওরকম তদন্ত করতে পারবে না পুলিশ । 17 জানুয়ারি পর্যন্ত কোনও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না ।

আরও পড়ুন:

  1. গ্রেফতারির মতো কোনও কঠোর পদক্ষেপে 'না', জাতীয় সংগীত অবমাননার মামলায় হাইকোর্টে স্বস্তি বিজেপি বিধায়কদের
  2. জাতীয় সংগীত অবমাননা মামলায় স্বস্তি বিজেপি বিধায়কদের, 'গ্রেফতার নয়', মৌখিক নির্দেশ আদালতের
  3. জাতীয় সংগীত অবমাননা মামলায় মমতাকে পাঠানো সমন খারিজ আদালতের
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.