কলকাতা 5 ডিসেম্বর: পুরুলিয়া জেলার সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত সমস্ত স্কুলের পঠনপাঠন নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট ৷ ওই জেলার স্কুল পরিদর্শকের কাছে দু’সপ্তাহের মধ্যে পড়ুয়া ও শিক্ষক-শিক্ষিকার অনুপাত নিয়ে রিপোর্ট (Calcutta HC Asks for Student-Teacher Ratio) চেয়েছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু ৷ একটি শিক্ষক বদলি সংক্রান্ত মামলার শুনানির প্রেক্ষিতে পড়ুয়া অনুযায়ী শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যার হিসেব চেয়েছেন বিচারপতি ৷
এদিন পুরুলিয়ার ঝালদার শিক্ষক সোমনাথ মণ্ডলের বদলি সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বিস্ময় প্রকাশ করে মন্তব্য করেন, ‘‘খুব আশ্চর্যের বিষয় যে ঝালদা স্কুলে 1153 জন ছাত্র আছে ৷ সেখানে 21 জন শিক্ষকের মধ্যে 8 জনকে অন্যত্র বদলির অনুমতি দেওয়া হয়েছে ৷ এর পিছনে অন্য বিষয় আছে কিনা, খতিয়ে দেখা দরকার ৷ ওই স্কুলে এখন মাত্র 13 জন শিক্ষক রয়েছেন !’’
তারপরেই তিনি নির্দেশ দেন, ‘‘আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে পুরুলিয়া জেলার সমস্ত স্কুলের শিক্ষক ও ছাত্রের আনুপাতিক হার কত, সেই রিপোর্ট জমা করতে হবে হাইকোর্টে (Student-Teacher Ratio of All Schools in Purulia) ৷ জমা করবেন পুরুলিয়া জেলার বিদ্যালয় পরিদর্শক ৷’’ এদিন আদালতে শুনানির সময় পুরুলিয়া জেলার স্কুল পরিদর্শক গৌতমচন্দ্র মাল বলেন, ‘‘পুরুলিয়ার অবস্থা খুবই খারাপ ৷ সবাই স্থানান্তর চেয়ে বাইরে চলে যাচ্ছেন ৷ ফলে শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে ৷ শিক্ষকের অভাবে বহু স্কুল বন্ধের মুখে ৷ ঝালদা স্কুলে 1153 জন ছাত্রের জন্য 13 জন শিক্ষক যথেষ্ট নয় ৷’’
আরও পড়ুন: 'সিঙ্গল সাবজেক্ট টিচার'দের জন্য সুখবর, বদলি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত রাজ্যের শিক্ষা দফতরের
জেলা স্কুল পরিদর্শকের এই বক্তব্য শুনে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বিস্ময় প্রকাশ করেন ৷ সেই সঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘‘আমি দেখছি, ওনারা শিক্ষক নন ৷ ওদের চাকরি থেকে অবসর নেওয়া উচিত ৷’’ মামলার পরবর্তী শুনানি 2023 সালের 20 জানুয়ারি হবে ৷ তার আগে 2 সপ্তাহের মধ্যে পড়ুয়া অনুযায়ী শিক্ষক-শিক্ষিকার অনুপাত আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছে ৷