কলকাতা, 4 অগস্ট: গ্রেফতারির পর পাঁচ মাস পেরিয়ে গিয়েছে ৷ এত দিন পর ইডি শতরূপা ভট্টাচার্যকে হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ৷ শুক্রবার এ নিয়ে প্রশ্ন করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ ৷ তিনি প্রশ্ন করেন, "গ্রেফতারির এত মাস পরে হঠাৎ কী এমন হল, যে হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি ?" শতরূপা ভট্টাচার্য শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী ৷ শুক্রবার তাঁর জামিনের মামলার শুনানি ছিল ৷ পরবর্তী শুনানি সোমবার, 7 অগস্ট ৷
এদি বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন, "কোন আদালতে আগে কী হয়েছে, সেটা নিয়ে ভাবছি না ৷ মূল দোষী তাঁর স্বামী মানিক ভট্টাচার্য ৷ শতরূপার প্রমাণ নষ্ট করা বা পালিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকতে পারে ৷ কিন্তু 7 জানুয়ারি থেকে সময় পেয়েছেন ৷ এতদিন কী করলেন ? হঠাৎ কী হল যে হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের দরকার পড়ল ?"
শতরূপার ভট্টাচার্যের তরফে আইনজীবী যিষ্ণু সাহা আদালতে বলেন, "2022 সালের 24 নভেম্বর একবার মাত্র সমন পাঠানো হয়েছিল ৷ পরে চলতি বছরের 22 ফেব্রুয়ারি শতরূপা ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করা হয় ৷ মৃত্যুঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট ছিল ৷ সেটি 2006 সালে খোলা হয়েছিল ৷ ওই অ্যাকাউন্টে মাত্র 93 হাজার টাকা ছিল ।" ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি বলেন, "নিম্ন আদালতে জামিন চাওয়া হয়নি ৷ শতরূপা ভট্টাচার্যের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে ৷ নিম্ন আদালতে জামিনের আবেদন না-করে কীভাবে হাইকোর্টে জামিন চাওয়া হচ্ছে ?"
আরও পড়ুন: জামিন চাইলেন না মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী-পুত্র
এদিকে নিম্ন আদালতে ইডির বক্তব্য ছিল, মানিক ভট্টাচার্য তাঁর পরিবার নিয়ে বিশ্বের একাধিক দেশ ঘুরেছেন ৷ সেই টাকা তিনি কোথা থেকে পেয়েছেন, তাঁর হিসেব দিতে পারেননি ৷ পাশাপাশি তাঁর ছেলের কোম্পানির মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাচার করেছেন ৷ এই সব ব্যাপারে মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী সব জানতেন ৷ তা সত্ত্বেও তিনি সেই তথ্য প্রকাশ করেননি ৷ তাই মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রীও দোষী ৷