ETV Bharat / state

Calcutta HC on Ration Scam: শান্তিপুরে রেশন-দুর্নীতি নিয়ে রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের, জেলাশাসকের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতি

author img

By

Published : Jun 7, 2023, 7:02 PM IST

নদিয়ার শান্তিপুরে 2020 সালের রেশন-দুর্নীতির মামলায় জেলাশাসকের ভূমিকায় ক্ষোভপ্রকাশ করলেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ৷ অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরেও কেন কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি অভিযুক্ত রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে ? প্রশ্ন তুললেন প্রধান বিচারপতি ৷

Calcutta HC on Ration Scam ETV BHARAT
Calcutta HC on Ration Scam

কলকাতা, 7 জুন: শান্তিপুরে রেশন-দুর্নীতি নিয়ে জেলাশাসকের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ৷ দুর্নীতিগ্রস্ত রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নিয়েছেন জেলাশাসক ? সেই সংক্রান্ত যাবতীয় নথি আদালতে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ ৷ উল্লেখ্য, শান্তিপুরের গয়েশপুর আমড়াতলার রেশন দোকানের ডিলারের বিরুদ্ধে মৃত ব্যক্তিদের কার্ডে খাদ্য সামগ্রী তুলে খোলাবাজারে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছিল ৷ 2020 সালের সেই মামলায় এ দিন জেলাশাসকের ভূমিকায় ক্ষোভপ্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি ৷

এ দিন প্রধান বিচারপতি রেশন-দুর্নীতির এই অভিযোগকে ‘সামাজিক অপরাধ’ বলে উল্লেখ করেন ৷ তাঁর মন্তব্য, ‘‘এটা সামাজিক অপরাধ ৷ মৃত ব্যক্তিদের নামের কার্ডে রেশন তুলে কী করে বাজারে বিক্রি করা হয় ? সংখ্যাটা 73 বা 31টি কার্ড, যাই হোক না কেন ৷ জেলাশাসক গা-ছাড়া মনোভাব দেখাচ্ছেন ৷ দোষ পাওয়া গেল, আর বরখাস্ত করা হল ৷ সেটা কোনও শাস্তি নয় ৷ কেন আর কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি ?’’

নদিয়ার শান্তিপুরের গয়েশপুর আমড়াতলার রেশন ডিলার আমিরুল ইসলাম মণ্ডল ৷ অভিযোগ, তিনি 73 জন মৃত ব্যক্তির রেশনকার্ডের অপব্যবহার করছিলেন ৷ মূলত মৃত ব্যক্তিদের নামে চাল, ডাল, গম-সহ অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য তুলে খোলাবাজারে বেশি দামে বিক্রি করছিলেন ৷ এ নিয়ে স্থানীয়রা জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে অভিযোগ জানান ৷ কিন্তু, কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে প্রশাসনের বিরুদ্ধে ৷ এর পর স্থানীয় এক ব্যক্তি 2020 সালে কলকাতা হাইকোর্টে এ নিয়ে একটি মামলা রুজু করেন ৷

আরও পড়ুন: একশো দিনের কাজের টাকা বন্ধ কেন? 20 জুনের মধ্যে কেন্দ্রকে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ হাইকোর্টের

মামলার শুনানিতে বিচারপতি জেলাশাসককে হাজিরা দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন ৷ সেখানে বিষয়টির তদন্ত করে অভিযোগ প্রমাণিত হলে, প্রয়োজনে ফৌজদারি মামলা দায়ের করতে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট ৷ অভিযোগ সেই সময় রেশন ডিলার আমিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মৃতদের রেশনকার্ড ব্যবহার করে খাদ্য শস্য ও অন্যান্য সামগ্রী চুরির প্রমাণ পাওয়া যায় ৷ কিন্তু, রেশন ডিলারকে মাত্র 42 হাজার টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ৷

আরও পড়ুন: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে 10 বছর পর চাকরি পাচ্ছেন টেট প্রার্থী আমিনা পারভিন

তারপর এদিন ফের মামলাটি প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে উঠেছে ৷ সেখানে আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও কেন জেলাশাসক মাত্র 42 হাজার টাকা জরিমানা করে বিষয়টিকে ছেড়ে দিলেন ? সেই প্রশ্ন তোলেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্য ৷ ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, আগামী শুক্রবার জেলাশাসককে ওই ডিলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ সংক্রান্ত যাবতীয় নথি আদালতে পেশ করতে হবে ৷ সেই সঙ্গে রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে তিনি কী পদক্ষেপ করেছিলেন ? তার বিস্তারিত তথ্য আদালতকে জানাতে বলা হয়েছে ৷

কলকাতা, 7 জুন: শান্তিপুরে রেশন-দুর্নীতি নিয়ে জেলাশাসকের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ৷ দুর্নীতিগ্রস্ত রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নিয়েছেন জেলাশাসক ? সেই সংক্রান্ত যাবতীয় নথি আদালতে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ ৷ উল্লেখ্য, শান্তিপুরের গয়েশপুর আমড়াতলার রেশন দোকানের ডিলারের বিরুদ্ধে মৃত ব্যক্তিদের কার্ডে খাদ্য সামগ্রী তুলে খোলাবাজারে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছিল ৷ 2020 সালের সেই মামলায় এ দিন জেলাশাসকের ভূমিকায় ক্ষোভপ্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি ৷

এ দিন প্রধান বিচারপতি রেশন-দুর্নীতির এই অভিযোগকে ‘সামাজিক অপরাধ’ বলে উল্লেখ করেন ৷ তাঁর মন্তব্য, ‘‘এটা সামাজিক অপরাধ ৷ মৃত ব্যক্তিদের নামের কার্ডে রেশন তুলে কী করে বাজারে বিক্রি করা হয় ? সংখ্যাটা 73 বা 31টি কার্ড, যাই হোক না কেন ৷ জেলাশাসক গা-ছাড়া মনোভাব দেখাচ্ছেন ৷ দোষ পাওয়া গেল, আর বরখাস্ত করা হল ৷ সেটা কোনও শাস্তি নয় ৷ কেন আর কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি ?’’

নদিয়ার শান্তিপুরের গয়েশপুর আমড়াতলার রেশন ডিলার আমিরুল ইসলাম মণ্ডল ৷ অভিযোগ, তিনি 73 জন মৃত ব্যক্তির রেশনকার্ডের অপব্যবহার করছিলেন ৷ মূলত মৃত ব্যক্তিদের নামে চাল, ডাল, গম-সহ অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য তুলে খোলাবাজারে বেশি দামে বিক্রি করছিলেন ৷ এ নিয়ে স্থানীয়রা জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে অভিযোগ জানান ৷ কিন্তু, কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে প্রশাসনের বিরুদ্ধে ৷ এর পর স্থানীয় এক ব্যক্তি 2020 সালে কলকাতা হাইকোর্টে এ নিয়ে একটি মামলা রুজু করেন ৷

আরও পড়ুন: একশো দিনের কাজের টাকা বন্ধ কেন? 20 জুনের মধ্যে কেন্দ্রকে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ হাইকোর্টের

মামলার শুনানিতে বিচারপতি জেলাশাসককে হাজিরা দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন ৷ সেখানে বিষয়টির তদন্ত করে অভিযোগ প্রমাণিত হলে, প্রয়োজনে ফৌজদারি মামলা দায়ের করতে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট ৷ অভিযোগ সেই সময় রেশন ডিলার আমিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মৃতদের রেশনকার্ড ব্যবহার করে খাদ্য শস্য ও অন্যান্য সামগ্রী চুরির প্রমাণ পাওয়া যায় ৷ কিন্তু, রেশন ডিলারকে মাত্র 42 হাজার টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ৷

আরও পড়ুন: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে 10 বছর পর চাকরি পাচ্ছেন টেট প্রার্থী আমিনা পারভিন

তারপর এদিন ফের মামলাটি প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে উঠেছে ৷ সেখানে আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও কেন জেলাশাসক মাত্র 42 হাজার টাকা জরিমানা করে বিষয়টিকে ছেড়ে দিলেন ? সেই প্রশ্ন তোলেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্য ৷ ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, আগামী শুক্রবার জেলাশাসককে ওই ডিলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ সংক্রান্ত যাবতীয় নথি আদালতে পেশ করতে হবে ৷ সেই সঙ্গে রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে তিনি কী পদক্ষেপ করেছিলেন ? তার বিস্তারিত তথ্য আদালতকে জানাতে বলা হয়েছে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.