কলকাতা, 1 অগস্ট: সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের চিকিৎসা নিয়ে ইডির বক্তব্য জানতে চায় কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার মামলার শুনানি ৷ জামিন না-দিয়েই চিকিৎসা হলে অসুবিধা কোথায় জানাবে ইডি। বেসরকারি হাসপাতালে অপারেশন হলে অসুবিধা কোথায়, সেই প্রশ্নও জানতে চান বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ ৷ বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, তাঁরা কোনও বিশেষজ্ঞ নন ৷ এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের রিপোর্ট দরকার। তিনি আরও বলেন, "হাসপাতাল নিয়ে সবার নিজস্ব পছন্দ থাকবে। তবে কেন বেসরকারি হাসপাতাল যেতে চাইছেন তা বোঝা যাচ্ছে না ৷"
ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি বলেন, "বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা হলে 16 দিন প্যারোলে থাকবেন। তারপর কোনও অজুহাত দিয়ে এসএসকেমে চলে যাবেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সময়ে একই কথা শোনা গিয়েছিল। তিনি নাকি ভীষণ অসুস্থ ছিলেন। অজুহাত দিয়ে এসএসকেম হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন।" আজকের পর বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ৷ উল্লেখ্য, এর আগে সুজয়ের কণ্ঠস্বরের নুমনা সংগ্রহ করার ব্যাপারে আপত্তি তুলে আবেদন জানিয়েছিলেন তাঁর আইনজীবীরা।
আরও পড়ুন: কালীঘাটের কাকুর বিরুদ্ধে জমা পড়া চার্জশিটে নাম তৃণমূলের শীর্ষনেতার!
পাশাপাশি, এটা ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা বলেও অভিযোগ তুলেছিলেন তাঁর আইনজীবীরা। যদিও বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ শেষ পর্যন্ত তা খারিজ করে দেন। বিচারপতি জানিয়েছিলেন, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি এই মুহূর্তে যে পর্যায়ে রয়েছে তাতে ইডির নথি সংগ্রহের পথে আদালত বাধা হতে পারে না। ইডি সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের ভয়েস স্যাম্পেল নিতে পারে। তবে তা তদন্তের কাজে আদৌ লাগবে কি না, সে বিষয়টি আদালত পরে খতিয়ে দেখবে।
এর আগে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রর স্ত্রী'র মৃত্যুর কারণে দু'দফায় প্যারোলের অনুমতি পেয়েছিলেন তিনি। ইডি ফের নতুন করে তাঁকে প্যারোল দিতে চাইছে না-বলেই আদালতে আপত্তি তুলছে। গত 17 জুলাই প্যারোলের মেয়াদ শেষে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে ফেরার পর ওইদিনই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। ভর্তি করানো হয় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে। এখনও পর্যন্ত সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন সুজয়।
আরও পড়ুন: সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ফের মেজাজ হারালেন 'কালীঘাটের কাকু'