ETV Bharat / state

Calcutta High Court: তৃণমূল নেতাদের হুমকিতে শিক্ষককে ঢুকতে বাধা, স্কুল কর্তৃপক্ষকে তলব হাইকোর্টের

author img

By

Published : May 5, 2023, 9:03 PM IST

বীরভূমের তেতুঁলবেরিয়া জুনিয়র হাইস্কুলের শিক্ষককে তৃণমূলে নেতাদের হুমকি ৷ স্কুলে ঢুকতে বাধা দেওয়ার ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষকে ডেকে পাঠাল হাইকোর্ট ৷

ETV Bharat
কলকাতা হাইকোর্ট

কলকাতা, 5 মে: শিক্ষককে হুমকি দিচ্ছেন তৃণমূল নেতারা ৷ তাঁকে স্কুলে ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে ৷ জানানোর পরও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না । বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের নির্দেশ আগামী 10 মে মামলার পরবর্তী শুনানিতে স্কুল কর্তৃপক্ষকে হাজির থেকে জবাবদিহি করতে হবে । অন্যথায় আদালত বাধ্য হবে বীরভূমের এসপিকে নির্দেশ দিতে তাদের হাজির করানোর জন্য ।

বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য স্কুল কর্তৃপক্ষকে উপরোক্ত বিষয়ে কারণ দর্শানোর জন্যই আদালতে তলব করেন শুক্রবার । কিন্তু মামলার শুনানিতে স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে বা পরিচালন কমিটির তরফে কেউই আদালতে হাজির হননি । বীরভূম তেঁতুলবেরিয়া জুনিয়র হাইস্কুলে 2012 সালে ইতিহাসের শিক্ষক হিসেবে চাকরি পান সৌমেন্দ্রনাথ মিয়া । 2016 সালে টিচার ইনচার্জ হিসাবে নিয়োগ পান ওই স্কুলেই ।

তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পরিচালন কমিটির সঙ্গে 2016 থেকেই মতানৈক্য শুরু হয় সৌমেন্দ্রনাথের । স্থানীয় তৃণমূল নেতা রাজা রায় ঘোষ ওই স্কুলের পরিচালন কমিটির সভাপতি ছিলেন সেই সময় । অভিযোগ, স্কুলের পরিচালন কমিটির কয়েকজন সদস্য মিলে স্কুলের খেলার মাঠে অবৈধভাবে নির্মাণ শুরু করে । সৌমেন্দ্রনাথবাবু বেআইনি নির্মাণে বাধা দেওয়ার কারণে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয় ৷ এমনকি স্থানীয় থানায় রাজনৈতিক নেতাদের নির্দেশে তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকিও দেওয়া হয় । এরপর পুলিশ শাসানি দেয় স্কুলে ঢুকলে তাঁকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হবে ৷

দিনের পর দিন স্কুলে এই ধরনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতরকে বিষয়টি জানিয়েছিলেন সৌমেন্দ্রনাথবাবু । কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি ৷ শুধু তাই নয় স্থানীয় পুলিশ তাঁকে স্কুলে ঢুকতে সাহায্য করেনি ৷ উলটে পরবর্তী সময়ে চাপ সৃষ্টি করে অবিলম্বে তাঁকে পদত্যাগের দাবি তোলা হয় । শেষমেষ তিনি পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে দেন স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে । যদিও সেই পদত্যাগপত্রের ভিত্তিতে স্কুল কোনও সিদ্ধান্তের কথা জানায়নি ৷ তাই ফের তিনি পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করে নেন এবং শিক্ষা দফতরের কাছে আবেদন করেন তাঁকে যেন স্কুলে যোগদান করানো হয় । স্কুল শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে ডিআইকে এই বিষয়টি দেখতে বলা হয় ।

মামলাকারীর পক্ষের আইনজীবী আশিস কুমার চৌধুরী আদালতে জানান, স্কুল কর্তৃপক্ষ কিছু না জানিয়ে তাঁর বেতন বন্ধ করে দিতে পারে না । আজ পর্যন্ত তাঁকে শো-কজ, সাসপেনশন কোনও কিছুই স্কুলের পক্ষ থেকে করা হয়নি । একজন স্কুলশিক্ষক যাতে নির্ভয়ে শিক্ষকতা করতে পারেন তার কোনও ব্যবস্থা করেনি বলে অভিযোগ করেন তিনি । বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের নির্দেশ আগামী 10 মে মামলার পরবর্তী শুনানিতে স্কুল কর্তৃপক্ষ হাজির না থাকে আদালত বাধ্য হবে বীরভূমের এসপিকে নির্দেশ দিতে তাদের হাজির করানোর জন্য ।

আরও পড়ুন : বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের টিভিতে দেওয়া সাক্ষাৎকার নিয়ে হলফনামা চাইল সুপ্রিম কোর্ট

কলকাতা, 5 মে: শিক্ষককে হুমকি দিচ্ছেন তৃণমূল নেতারা ৷ তাঁকে স্কুলে ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে ৷ জানানোর পরও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না । বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের নির্দেশ আগামী 10 মে মামলার পরবর্তী শুনানিতে স্কুল কর্তৃপক্ষকে হাজির থেকে জবাবদিহি করতে হবে । অন্যথায় আদালত বাধ্য হবে বীরভূমের এসপিকে নির্দেশ দিতে তাদের হাজির করানোর জন্য ।

বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য স্কুল কর্তৃপক্ষকে উপরোক্ত বিষয়ে কারণ দর্শানোর জন্যই আদালতে তলব করেন শুক্রবার । কিন্তু মামলার শুনানিতে স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে বা পরিচালন কমিটির তরফে কেউই আদালতে হাজির হননি । বীরভূম তেঁতুলবেরিয়া জুনিয়র হাইস্কুলে 2012 সালে ইতিহাসের শিক্ষক হিসেবে চাকরি পান সৌমেন্দ্রনাথ মিয়া । 2016 সালে টিচার ইনচার্জ হিসাবে নিয়োগ পান ওই স্কুলেই ।

তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পরিচালন কমিটির সঙ্গে 2016 থেকেই মতানৈক্য শুরু হয় সৌমেন্দ্রনাথের । স্থানীয় তৃণমূল নেতা রাজা রায় ঘোষ ওই স্কুলের পরিচালন কমিটির সভাপতি ছিলেন সেই সময় । অভিযোগ, স্কুলের পরিচালন কমিটির কয়েকজন সদস্য মিলে স্কুলের খেলার মাঠে অবৈধভাবে নির্মাণ শুরু করে । সৌমেন্দ্রনাথবাবু বেআইনি নির্মাণে বাধা দেওয়ার কারণে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয় ৷ এমনকি স্থানীয় থানায় রাজনৈতিক নেতাদের নির্দেশে তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকিও দেওয়া হয় । এরপর পুলিশ শাসানি দেয় স্কুলে ঢুকলে তাঁকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হবে ৷

দিনের পর দিন স্কুলে এই ধরনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতরকে বিষয়টি জানিয়েছিলেন সৌমেন্দ্রনাথবাবু । কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি ৷ শুধু তাই নয় স্থানীয় পুলিশ তাঁকে স্কুলে ঢুকতে সাহায্য করেনি ৷ উলটে পরবর্তী সময়ে চাপ সৃষ্টি করে অবিলম্বে তাঁকে পদত্যাগের দাবি তোলা হয় । শেষমেষ তিনি পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে দেন স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে । যদিও সেই পদত্যাগপত্রের ভিত্তিতে স্কুল কোনও সিদ্ধান্তের কথা জানায়নি ৷ তাই ফের তিনি পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করে নেন এবং শিক্ষা দফতরের কাছে আবেদন করেন তাঁকে যেন স্কুলে যোগদান করানো হয় । স্কুল শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে ডিআইকে এই বিষয়টি দেখতে বলা হয় ।

মামলাকারীর পক্ষের আইনজীবী আশিস কুমার চৌধুরী আদালতে জানান, স্কুল কর্তৃপক্ষ কিছু না জানিয়ে তাঁর বেতন বন্ধ করে দিতে পারে না । আজ পর্যন্ত তাঁকে শো-কজ, সাসপেনশন কোনও কিছুই স্কুলের পক্ষ থেকে করা হয়নি । একজন স্কুলশিক্ষক যাতে নির্ভয়ে শিক্ষকতা করতে পারেন তার কোনও ব্যবস্থা করেনি বলে অভিযোগ করেন তিনি । বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের নির্দেশ আগামী 10 মে মামলার পরবর্তী শুনানিতে স্কুল কর্তৃপক্ষ হাজির না থাকে আদালত বাধ্য হবে বীরভূমের এসপিকে নির্দেশ দিতে তাদের হাজির করানোর জন্য ।

আরও পড়ুন : বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের টিভিতে দেওয়া সাক্ষাৎকার নিয়ে হলফনামা চাইল সুপ্রিম কোর্ট

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.