কলকাতা, 13 মার্চ: নন্দীগ্রামে শহিদ দিবসে (Nandigram Dibos) সভা করতে পারবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শহিদ দিবসে সভা করার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট । তবে শুভেন্দুর সভা নিয়ে একাধিক শর্ত বেঁধে দিয়েছে আদালত (Cal HC Says Suvendu Adhikari can conduct meeting in Nandigram Dibos) ।
বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা সোমবার এক নির্দেশে জানান, মঙ্গলবার নন্দীগ্রামে শহিদ দিবসে শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে স্মরণসভার জন্য সকাল 8টা থেকে 10টা পর্যন্ত অনুমতি দেবে পুলিশ । তারমধ্যেই সভা শেষ করতে হবে । অন্য রাজনৈতিক দলকে 11টা থেকে 3টে পর্যন্ত সভা করার অনুমতি দিতে হবে পুলিশকে । শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রেখে সভা করা যাবে । একই সঙ্গে রাজ্যের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় জানিয়ে দিয়েছে, সাড়ে 10টার মধ্যে সোনাচূড়ার ওই জায়গা খালি করে দিতে হবে ।
14 মার্চ নন্দীগ্রাম গণহত্যার স্মরণে শ্রদ্ধা জানাতে বিরোধী দলনেতার সভা করার আবেদনের অনুমতি দেয়নি পুলিশ । প্রাথমিকভাবে পুলিশের কাছে ধাক্কা খাওয়ার পর ওই দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টি । বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বিষয়টি শোনার পর বিরোধী দলনেতার সভা করায় সম্মতি দেন ।
নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দুর সভার অনুমতি চেয়ে মামলা করেছিলেন বিজেপি কর্মী সুভাষ দাস অধিকারী । এদিন বিচারপতি মান্থার এজলাসে এই মামলায় মামলাকারীর হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী ময়ূখ মুখোপাধ্যায় । তিনি এজলাসে দাবি করেন, পুলিশ কোনও কারণ ছাড়াই সভা করার অনুমতি দিচ্ছে না ।
আরও পড়ুন: বিবেক অগ্নিহোত্রীর বেঙ্গল ফাইলস তৈরির উদ্যোগকে স্বাগত শুভেন্দুর
প্রসঙ্গত, 2008 সাল থেকেই 14 মার্চ দিনটি 'নন্দীগ্রাম দিবস' হিসেবে পালন করে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি । যার নেতৃত্বে থাকে তৃণমূল । 2007 সালের 14 মার্চ নন্দীগ্রামে পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছিল, তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই ওই সভা হয়ে আসছে । তৃণমূলে থাকাকালীন সভার মঞ্চে থাকতেন শুভেন্দুও । কারণ, নন্দীগ্রাম আন্দোলনের মুখ হিসাবেই রাজ্য-রাজনীতিতে বর্তমান শাসকদলের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নেতা ও মন্ত্রী হয়ে উঠেছিলেন অধিকারী বাড়ির মেজ ছেলে । কিন্তু গত বিধানসভা নির্বাচনের আগেই 'ফুল' বদলান তিনি । ফলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নন্দীগ্রামে হারানোর পর শুভেন্দুর নেতৃত্বে পদ্মশিবিরের নন্দীগ্রাম দিবস পালন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের ।