কলকাতা, 31 জানুয়ারি: রাজ্যের স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এর নবম-দশম শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই'য়ের তদন্তের উপর তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট (Cal HC raised question on CBI investigation)। কেন্দ্রের এই তদন্তকারী সংস্থার কাজের ধরনে বিরক্ত বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু । মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে বিচারপতি বসু বলেন, "সিবিআই যা করেছে সেটা খুব অন্যায় । কেন তদন্তে এত দেরি করছে সিবিআই ? জানি না সিবিআই কেন এত ধীর গতিতে চলছে ।"
এদিন চারজন এসএসসি প্রার্থীর ওএমআর সিট আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু । সকালে এই সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট বন্ধ খামে হাইকোর্টে জমা দেয় সিবিআই । দেখা যায় এই রিপোর্টের সঙ্গে সিবিআই'য়ের আইনজীবীর বক্তব্যের কোনও মিল নেই । তারপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিচারপতি বসু ৷ তিনি বলেন," চার জনের ওএমআর শিট পরীক্ষার নির্দেশ ছিল । এদের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রাথমিক সারবত্তা আছে । দেশের একটি প্রধান তদন্তকারী সংস্থার থেকে এমন ভুল কাম্য নয় ।"
এখানেই না থেমে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এদিন আরও বলেন,"সিবিআই'য়ের ফাইল করা রিপোর্টে যা আছে তার চেয়ে তাদের আইনজীবীর ফাইলে আরও বেশি তথ্য আছে । এটা কীভাবে হয়? এটা কি আপনাদের বিশ্বাসযোগ্যতার সঙ্গে মিল খায়? আপনাদের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ হচ্ছে । সব পেপার তিনবার যাচাই করে পাঠানো উচিৎ । এত দেরি হচ্ছে কেন । সমাজ থেকে জঞ্জাল সরিয়ে উপযুক্তদের জায়গা করে দিন ।"
আরও পড়ুন: দুর্নীতি তদন্তে যুক্ত সিবিআই অফিসার সোমনাথ বিশ্বাসকে সরানোর নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
সিবিআই'কে নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করতে ও এসএসসি'র চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলার নির্দেশও এদিন হাইকোর্ট দিয়েছে (SSC Recruitment Scam) ৷ এদিন এসএসসি-এর ভূমিকা নিয়েও সরব হন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু । তিনি বলেন,"সব কি আদালতের দায়িত্ব? আপনাকে কেউ ঠকিয়ে চলে গেল । চুপ করে বসে থাকবেন? এত ভয় কেন? । যা হয়েছে মুছে এগিয়ে চলুন । নিজের ক্ষমতা কেন প্রয়োগ করছেন না? এসএসসি চেয়ারম্যানকে বলুন এদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করুন । এসএসসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলুন । যাঁদের ক্ষেত্রে নম্বর বাড়িয়ে চাকরি দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন, তাঁদের সবাইকে ডেকে পাঠান । তাঁদের বিষয়ে এসএসসি'কে ব্যবস্থা নিতে হবে । এসএসসি যত দ্রুত সম্ভব চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে পদক্ষেপ করুক ।" বৃহস্পতিবার ফের এই বিষয়ে হাইকোর্টে রিপোর্ট দেবে সিবিআই ।