কলকাতা, 20 ডিসেম্বর : দীর্ঘ দু'বছর পর ফের খুলেছে মাঝেরহাট সেতু ৷ ফলে সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের সুবিধা হয়েছে ঠিকই ৷ তবে, ওই পুরোনো রুটের বাস ও মিনিবাস মালিকদের লাভের চেয়ে লোকসানই হচ্ছে বেশি ৷
গত 4 ডিসেম্বর মধ্যরাত থেকে চালু হয়েছে নবনির্মিত মাঝরহাট ব্রিজ বা জয় হিন্দ সেতু। যদিও যানজট সামাল দিতে ট্রাফিক অ্যাডভাইজ়ারি অনুসারে পরিবর্তন করা হয়েছে রুট ম্যাপ । বাসগুলির ক্ষেত্রে গোড়া থেকেই আবার আগের রুটেই ফেরানো হয়েছে । প্রথমদিকে পুরনো রুটে ফিরলেও যাত্রী অভাবে দু'একদিন পর থেকেই মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে যাওয়ার পর যে রুটে বাসগুলি যাতায়াত করত সেই রুটে ফিরেছে বহু বাস । একই ছবি দেখা গেছে মিনিবাসের ক্ষেত্রেও ।
বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেটের সহ-সভাপতি সুরজিৎ সাহা বলেন , " মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ার পর নিত্য যাত্রীরা বিকল্প পথ খুঁজে নিয়েছেন । অফিসের ব্যস্ত সময় কোন রুটে কোন বাস মিলবে সেটা এখন তাঁদের একটা সম্মক ধারণা হয়ে গেছে । তাঁরাও আর এখন আবার নতুন করে সেই ঝক্কি পোহাতে চাইছেন না বলে পুরোনো রুটে ফিরছে না । তাই আমাদের বাসগুলি আবার পুরোনো রুটে ফিরে গেলেও যাত্রীরা ফেরেনি । তাই কার্যত যাত্রী হচ্ছে না বললেই চলে । এখন যেভাবে জ্বালানির দাম বেড়ে চলেছে বরং আমাদের লোকসানই হচ্ছে । যাত্রী অপ্রতুলতার জন্য আমরাও আবার তাই আগের রুটেই ফিরে যাচ্ছি । কিলোমিটার কমলেও যাত্রী যদি না হয়ে তাহলে বাস চালিয়ে পোশাব কিভাবে? "
আরও পড়ুন : শুভেন্দুর দলবদল ও দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের সংখ্যালঘু ভোট
পাশাপাশি মিনিবাস অপারেটরস কো-অর্ডিনেশন কমিটির যুগ্ম সম্পাদক স্বপন ঘোষ বলেন , " আমাদের কিলোমিটার কিছুটা কম হয়েছে ৷ তবে যাত্রী একেবারেই অপ্রতুল । একে যাত্রী নেই , অন্যদিকে একই রুটে অনেক বেশি বাস চলাচল করছে । অন্যদিকে, অনেক বেশি মানুষ এখন বাড়ি থেকে কাজ করছে । বহু মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন । একটা বড় অংশের মানুষ সংক্রমণের ভয়ে নিজেদের গাড়ি বা দু'চাকার গাড়িতে যাতায়াত করছেন । "