ETV Bharat / state

সরকারের দ্বারস্থ বাস সংগঠনগুলো, ইন্সুরেন্স জমার সময়সীমা বাড়ানোর আর্জি

জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে কম সংখ্যক যাত্রী নিয়ে আগের ভাড়ায় বাস চালানো অসম্ভব হয়ে পড়ছে। তাই ডিজেলের উপর নিয়ন্ত্রণ, সুদবিহীন মোরেটরিয়াম মেয়াদের দাবি বৃদ্ধি সহ একাধিক ইস্যুতে আনলক ফেজ শুরু হওয়ার পর থেকেই সরব হয়েছে মালিকপক্ষ। বাস মালিকদের বক্তব্য আনলক ফেজেও বাস ও মিনিবাস চালাতে গিয়ে তাঁদের চরম অর্থনৈতিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

bus
bus
author img

By

Published : Aug 18, 2020, 4:01 AM IST

কলকাতা , 18 অগাস্ট : বার্ষিক ইন্সুরেন্স জমা করার সময়সীমার মেয়াদ বৃদ্ধি করার আর্জি জানালো বাস মালিক সংগঠনগুলো । এই মর্মে তারা কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্য সরকার তথা ইনসিওরেন্স রেগুলেটরি এন্ড ডেভলপমেন্ট অথোরিটি অফ ইন্ডিয়া (IRDA)কে চিঠি পাঠিয়েছে ।

জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে কম সংখ্যক যাত্রী নিয়ে আগের ভাড়ায় বাস চালানো অসম্ভব হয়ে পড়ছে। তাই ডিজেলের উপর নিয়ন্ত্রণ, সুদবিহীন মোরেটরিয়াম মেয়াদের দাবি বৃদ্ধি সহ একাধিক ইস্যুতে আনলক ফেজ শুরু হওয়ার পর থেকেই সরব হয়েছে মালিকপক্ষ। বাস মালিকদের বক্তব্য আনলক ফেজেও বাস ও মিনিবাস চালাতে গিয়ে তাঁদের চরম অর্থনৈতিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন লকডাউন চলার পর ঘুরে দাঁড়াতে তাঁরা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বারেবারে চিঠি দিয়েছেন। তবে তাতে কোনও লাভ হয়নি। যদিও সম্প্রতি স্টেজ ক্যারেজের ক্ষেত্রে পথকর ও পারমিট নবিকরণের অর্থ মকুব করা হয়েছে। তবে তাতে যে বাস মালিকদের আর্থিক বোঝা কমবে তেমনটা নয় বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, "বাণিজ্যিক গাড়ির ক্ষেত্রে IRDA এর নিয়মাবলিতে বলা হয়েছে যে যদি কোনও গাড়ি পর পর দু'মাস না চলে বা গ্যারেজে থাকে তাহালে ইন্সুরেন্স সংস্থার কাছে সমস্ত নথি সহ আবেদন করলে প্রয়োজনীয় ছাড় পাওয়া যায়। তাই সেই নিয়ম অনুযায়ী আমরা IRDA সহ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক সহ আরও অন্যান্য দপ্তরের চিঠি পাঠিয়েছি । তাই প্রত্যেক বাস মালিক ইন্সুরেন্সের পলিসি নম্বর ও বাস নম্বর দিয়ে বিভিন্ন ইন্সুরেন্স সংস্থার বিভিন্ন শাখায় দরখাস্ত জমা দিচ্ছেন।"

তিনি আরও বলেন যে, "লকডাউনের দীর্ঘ সময় ধরে উপার্জন বন্ধ ছিল বাস মালিকদের। এখনও তেমনভাবে যাত্রী হচ্ছে না বললেই চলে। বেসরকারি বাস ও মিনিবাস মালিকরা চরম অর্থ সংকটের মধ্যে রয়েছে। এর সাথে দোসর হয়েছে বিভিন্ন খাতে খরচ।"

পাশাপাশি উত্তরবঙ্গ প্যাসেঞ্জার ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন কমিটি সাধারণ সম্পাদক প্রণব মানি বলেন , "IRDAএর নির্দেশিকায় এই নিয়ম থাকলেও সাধারণত ইন্সুরেন্স সংস্থাগুলি সাধারণ মানুষের কাছে বিষয়গুলি বিস্তারিতভাবে জানায়নি। তবে লকডাউনের সময় এই নিয়মগুলি আমরা জানতে পারি। তাই এর আগে এরকম পরিস্থিতি হওয়া সত্ত্বেও আমরা এই সুবিধাটা কোনও দিনই নিতে পারিনি। সম্প্রতি এক বাস মালিক এই মর্মে একটি দরখাস্ত নিয়ে শিলিগুড়ির ইন্সুরেন্স সংস্থায় যায় তবে তাঁরা সেই দরখাস্ত নিতে প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে সেটা জমা নেন।"

কলকাতা , 18 অগাস্ট : বার্ষিক ইন্সুরেন্স জমা করার সময়সীমার মেয়াদ বৃদ্ধি করার আর্জি জানালো বাস মালিক সংগঠনগুলো । এই মর্মে তারা কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্য সরকার তথা ইনসিওরেন্স রেগুলেটরি এন্ড ডেভলপমেন্ট অথোরিটি অফ ইন্ডিয়া (IRDA)কে চিঠি পাঠিয়েছে ।

জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে কম সংখ্যক যাত্রী নিয়ে আগের ভাড়ায় বাস চালানো অসম্ভব হয়ে পড়ছে। তাই ডিজেলের উপর নিয়ন্ত্রণ, সুদবিহীন মোরেটরিয়াম মেয়াদের দাবি বৃদ্ধি সহ একাধিক ইস্যুতে আনলক ফেজ শুরু হওয়ার পর থেকেই সরব হয়েছে মালিকপক্ষ। বাস মালিকদের বক্তব্য আনলক ফেজেও বাস ও মিনিবাস চালাতে গিয়ে তাঁদের চরম অর্থনৈতিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন লকডাউন চলার পর ঘুরে দাঁড়াতে তাঁরা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বারেবারে চিঠি দিয়েছেন। তবে তাতে কোনও লাভ হয়নি। যদিও সম্প্রতি স্টেজ ক্যারেজের ক্ষেত্রে পথকর ও পারমিট নবিকরণের অর্থ মকুব করা হয়েছে। তবে তাতে যে বাস মালিকদের আর্থিক বোঝা কমবে তেমনটা নয় বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, "বাণিজ্যিক গাড়ির ক্ষেত্রে IRDA এর নিয়মাবলিতে বলা হয়েছে যে যদি কোনও গাড়ি পর পর দু'মাস না চলে বা গ্যারেজে থাকে তাহালে ইন্সুরেন্স সংস্থার কাছে সমস্ত নথি সহ আবেদন করলে প্রয়োজনীয় ছাড় পাওয়া যায়। তাই সেই নিয়ম অনুযায়ী আমরা IRDA সহ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক সহ আরও অন্যান্য দপ্তরের চিঠি পাঠিয়েছি । তাই প্রত্যেক বাস মালিক ইন্সুরেন্সের পলিসি নম্বর ও বাস নম্বর দিয়ে বিভিন্ন ইন্সুরেন্স সংস্থার বিভিন্ন শাখায় দরখাস্ত জমা দিচ্ছেন।"

তিনি আরও বলেন যে, "লকডাউনের দীর্ঘ সময় ধরে উপার্জন বন্ধ ছিল বাস মালিকদের। এখনও তেমনভাবে যাত্রী হচ্ছে না বললেই চলে। বেসরকারি বাস ও মিনিবাস মালিকরা চরম অর্থ সংকটের মধ্যে রয়েছে। এর সাথে দোসর হয়েছে বিভিন্ন খাতে খরচ।"

পাশাপাশি উত্তরবঙ্গ প্যাসেঞ্জার ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন কমিটি সাধারণ সম্পাদক প্রণব মানি বলেন , "IRDAএর নির্দেশিকায় এই নিয়ম থাকলেও সাধারণত ইন্সুরেন্স সংস্থাগুলি সাধারণ মানুষের কাছে বিষয়গুলি বিস্তারিতভাবে জানায়নি। তবে লকডাউনের সময় এই নিয়মগুলি আমরা জানতে পারি। তাই এর আগে এরকম পরিস্থিতি হওয়া সত্ত্বেও আমরা এই সুবিধাটা কোনও দিনই নিতে পারিনি। সম্প্রতি এক বাস মালিক এই মর্মে একটি দরখাস্ত নিয়ে শিলিগুড়ির ইন্সুরেন্স সংস্থায় যায় তবে তাঁরা সেই দরখাস্ত নিতে প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে সেটা জমা নেন।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.