কলকাতা, 16 অক্টোবর: টালা ব্রিজের উপর দিয়ে বড় যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে ৷ খোলা হয়েছে বিকল্প রাস্তা ৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও কোনও সুরাহা মিলছে না ৷ বেশ কয়েকটি রাস্তায় প্রবল যানজট তৈরি হচ্ছে ৷ এই সমস্যা সমাধানে ভুক্তভোগী বাসচালক ও বাস মালিকরা আজ একটি প্রস্তাব জমা দিলেন পরিবহন দপ্তর ও স্থানীয় পুলিশ স্টেশনগুলিতে ৷ প্রস্তাবে বলা হয়েছে, টালা ব্রিজ সংলগ্ন বেশ কয়েকটি রাস্তায় ছোটো গাড়ি ও দু'চাকার গাড়ি চলাচল বন্ধ করা হোক ৷
এই প্রসঙ্গে উত্তর কলকাতা মিনিবাস ওয়ার্কার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ নারায়ণ বসু বলেন, "অটোগুলি এখন সিঁথির মোড় থেকে পাইকপাড়া পর্যন্ত যাতায়াত করছে । আমরা প্রস্তাব করেছি অটোগুলি যেন শুধু পাইকপাড়া থেকে টালা ব্রিজে ওঠার মুখ পর্যন্ত যাত্রী নিয়ে যায় । বাস ভাড়া বৃদ্ধি হয়নি ৷ অথচ অনেকটা ঘুর পথ দিয়ে যাতায়াত করার জন্য জ্বালানি খরচ অনেকটাই বেড়েছে । জ্বালানি খরচ তোলার জন্য বাসগুলির পর্যাপ্ত যাত্রীর প্রয়োজন ।"
প্রসঙ্গত, টালা সেতুর কাজের জন্য তার উপর দিয়ে বড় যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে । চলাচল করবে শুধু ছোটো গাড়ি বা যেসব গাড়ির ভার তিন টন বা তার কম । যদিও ব্রিজের উপরে ছোটো গাড়ি চলার অনুমতি রয়েছে, তবুও বাড়তি চাপ কম করার কথা মাথায় রেখেই একাধিক ছোটো গাড়ি খগেন চ্যাটার্জি রোড ও চিৎপুর লকগেট উড়ালপুলের উপর দিয়ে যাতায়াত করানো হচ্ছে । প্রদীপবাবু বলেন, "পাইকপাড়া থেকে শ্যামবাজারের দূরত্ব 2 কিলোমিটারের থেকে একটু বেশি । টালা ব্রিজে বন্ধ রয়েছে বড় যান চলাচল ৷ তাই সমস্ত বড় যান ওই রাস্তা দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ এরমধ্যে অনেক ছোটো গাড়িও একই রাস্তা দিয়ে চলাচল করছে ৷ জ্যামে আটকে পড়ছে গাড়িগুলো ৷ নাজেহাল সাধারণ মানুষ । অন্য সময় মাত্র 20 মিনিটে পার হওয়া যায় এই রাস্তা ৷ আর এখন বিশেষ করে সকালবেলায় অফিস টাইমে ওই দু'কিমি রাস্তা পার হতে এক ঘন্টারও বেশি সময় লেগে যাচ্ছে । এর সমাধান হিসেবে আমরা প্রস্তাব দিয়েছি যাতে কিছু ছোটো গাড়ি, অটো ও মোটর সাইকেল RG কর ব্রিজ দিয়ে যাতায়াত করানো হয় ৷ আর কিছু ছোটো গাড়িকে টালা ব্রিজ দিয়ে যাতায়াত করানো হয় ৷ "
বিভিন্ন রাস্তাগুলিতে যানজটের জেরে চাপ পড়ছে RG কর, বেলগাছিয়া রোড ও বেলগাছিয়া সেতুতেও । প্রভাব পড়েছে শ্যামবাজারের রাস্তাগুলিতেও । এছাড়াও গাড়ি চলাচলের গতি বেঁধে দেওয়া হয়েছে ৷ এর ফলে খুব ধীরে এগোচ্ছে গাড়িগুলো ৷ তাই সময় লেগে যাচ্ছে অনেকটাই । এই সমস্ত সমস্যা সমাধানের কথা ভেবেই আজ প্রস্তাব জমা দেওয়া হয় ৷