ETV Bharat / state

TMC-CPIM Attacks JU VC: 'বিজেপি-ঘনিষ্ঠ বলেই যোগ্যতা ছাড়া যাদবপুরের উপাচার্য পদ,' সরব তৃণমূল-সিপিএম

JU Interim VC Buddhabed Sau: একমাত্র বিজেপির ঘনিষ্ঠ হওয়ার কারণেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হয়েছেন বুদ্ধদেব সাউ ৷ তাঁর এই পদে বসার কোনও যোগ্যতা নেই বলে অভিযোগ করেছেন তৃণমূল ও বিজেপি ৷

TMC-CPIM Attacks JU VC ETV BHARAT
TMC-CPIM Attacks JU VC
author img

By

Published : Aug 20, 2023, 7:56 PM IST

যোগ্যতা ছাড়া যাদবপুরের উপাচার্য পদ পেয়েছেন বুদ্ধদেব সাউ, অভিযোগ সুজন চক্রবর্তীর

কলকাতা, 20 অগস্ট: এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগকে কেন্দ্র করে নয়া বিতর্ক তৈরি হল ৷ যাদবপুরের সায়েন্স ফ্যাকালটির অংক অধ্যাপক বুদ্ধদেব সাউকে বিজেপি ঘনিষ্ঠ বলে অভিযোগ তুলল তৃণমূল ও সিপিআইএম ৷ এমনকি তাঁর উপাচার্য হওয়ার কোনও যোগ্যতা নেই বলে অভিযোগ করেছে দুই শিবির ৷ অভিযোগ কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে 10 বছর অধ্যাপনার অভিজ্ঞতা নেই বুদ্ধদেব সাউয়ের ৷ তা সত্ত্বেও তাঁকে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য করেছেন রাজ্যপাল ৷ কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, রাজ্যপাল বিজেপির হয়ে কাজ করছেন বলেই বুদ্ধদেব সাউকে উপাচার্য করা হয়েছে ৷

রাজ্যের ক্রীড়া মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস যাদবপুরের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপালের কড়া ভাষায় সমালোচনা করেন ৷ তিনি বলেন, "রাজ্যপাল বিজেপির হয়ে কাজ করছেন ৷ বিজেপির হয়ে কাজ করাটাই তার একমাত্র কাজ ৷ এর বাইরে তিনি আর করছেন বা কী ?" সিপিআইএম-এর রাজ্য কমিটির নেতা তথা যাদবপুরের প্রাক্তনী সুজন চক্রবর্তী বলেন, "এতদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ছিল না ৷ মুখ্যমন্ত্রী না রাজ্যপালকে আচার্য হবেন, তাই নিয়ে নিজেদের মধ্যেই দ্বন্দ্ব করে গেছেন ৷ তার জন্য ছাত্র শিক্ষার সবকিছুই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল ৷ তার পরে মাঝরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব দিলেন কাউকে। যোগ্যতা থেকে শুরু করে, এদিক সেদিক সবকিছু নিয়ম না মেনেই এমন কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হল, যার কিনা 10 বছরের অধ্যাপনার অভিজ্ঞতা নেই ৷’’

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে ৷ সুজন অভিযোগ করেন, স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হয়েও বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার নবান্নের নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করছে ৷ আর বুদ্ধদেব সাউয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হওয়ার পিছনেও রাজনৈতিক কারণ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সুজন ৷ তিনি বলেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য করা হল, যে কিনা যোগ্যতার মাপকাঠিতে পিছিয়ে ৷ তাঁর কোন যোগ্যতা গুরুত্ব পেল ? তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অখিল ভারতীয় রাষ্ট্রীয় শিক্ষক মহাসংঘের প্রেসিডেন্ট ৷’’

আরও পড়ুন: উপাচার্য নিয়োগের পরই পদত্যাগ ডিন অফ সায়েন্সের

এই ইস্যুতে রাজনৈতিক পছন্দকে গুরুত্ব দেওয়ার অভিযোগে রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রী দু’জনেই বিঁধলেন সুজন ৷ তাঁর অভিযোগ, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূলের লোক খুঁজে বেড়াবেন ৷ আর রাজ্যপাল বিজেপির লোক খুঁজে বেড়াবেন ৷ এসব করে বিশ্ববিদ্যালয়কে রাজনীতির আখড়ায় পরিণত করবে তৃণমূল-বিজেপি ৷ আর তার দাম দিতে হবে ছাত্রদের এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠানকে ৷ এই করে করেই বিজেপি আর তৃণমূল রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে শেষ করে দিচ্ছে ৷’’ অন্যদিকে, অধ্যাপক সুবিনয় চক্রবর্তী সায়েন্স ফ্যাকালটির ডিন পদে ইস্তফা দিয়েছেন ৷ এই নিয়েও রাজ্যের শাসকদল এবং প্রধান বিরোধী দলকে নিশানা করেছেন সুজন ৷

যোগ্যতা ছাড়া যাদবপুরের উপাচার্য পদ পেয়েছেন বুদ্ধদেব সাউ, অভিযোগ সুজন চক্রবর্তীর

কলকাতা, 20 অগস্ট: এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগকে কেন্দ্র করে নয়া বিতর্ক তৈরি হল ৷ যাদবপুরের সায়েন্স ফ্যাকালটির অংক অধ্যাপক বুদ্ধদেব সাউকে বিজেপি ঘনিষ্ঠ বলে অভিযোগ তুলল তৃণমূল ও সিপিআইএম ৷ এমনকি তাঁর উপাচার্য হওয়ার কোনও যোগ্যতা নেই বলে অভিযোগ করেছে দুই শিবির ৷ অভিযোগ কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে 10 বছর অধ্যাপনার অভিজ্ঞতা নেই বুদ্ধদেব সাউয়ের ৷ তা সত্ত্বেও তাঁকে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য করেছেন রাজ্যপাল ৷ কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, রাজ্যপাল বিজেপির হয়ে কাজ করছেন বলেই বুদ্ধদেব সাউকে উপাচার্য করা হয়েছে ৷

রাজ্যের ক্রীড়া মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস যাদবপুরের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপালের কড়া ভাষায় সমালোচনা করেন ৷ তিনি বলেন, "রাজ্যপাল বিজেপির হয়ে কাজ করছেন ৷ বিজেপির হয়ে কাজ করাটাই তার একমাত্র কাজ ৷ এর বাইরে তিনি আর করছেন বা কী ?" সিপিআইএম-এর রাজ্য কমিটির নেতা তথা যাদবপুরের প্রাক্তনী সুজন চক্রবর্তী বলেন, "এতদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ছিল না ৷ মুখ্যমন্ত্রী না রাজ্যপালকে আচার্য হবেন, তাই নিয়ে নিজেদের মধ্যেই দ্বন্দ্ব করে গেছেন ৷ তার জন্য ছাত্র শিক্ষার সবকিছুই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল ৷ তার পরে মাঝরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব দিলেন কাউকে। যোগ্যতা থেকে শুরু করে, এদিক সেদিক সবকিছু নিয়ম না মেনেই এমন কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হল, যার কিনা 10 বছরের অধ্যাপনার অভিজ্ঞতা নেই ৷’’

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে ৷ সুজন অভিযোগ করেন, স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হয়েও বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার নবান্নের নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করছে ৷ আর বুদ্ধদেব সাউয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হওয়ার পিছনেও রাজনৈতিক কারণ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সুজন ৷ তিনি বলেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য করা হল, যে কিনা যোগ্যতার মাপকাঠিতে পিছিয়ে ৷ তাঁর কোন যোগ্যতা গুরুত্ব পেল ? তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অখিল ভারতীয় রাষ্ট্রীয় শিক্ষক মহাসংঘের প্রেসিডেন্ট ৷’’

আরও পড়ুন: উপাচার্য নিয়োগের পরই পদত্যাগ ডিন অফ সায়েন্সের

এই ইস্যুতে রাজনৈতিক পছন্দকে গুরুত্ব দেওয়ার অভিযোগে রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রী দু’জনেই বিঁধলেন সুজন ৷ তাঁর অভিযোগ, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূলের লোক খুঁজে বেড়াবেন ৷ আর রাজ্যপাল বিজেপির লোক খুঁজে বেড়াবেন ৷ এসব করে বিশ্ববিদ্যালয়কে রাজনীতির আখড়ায় পরিণত করবে তৃণমূল-বিজেপি ৷ আর তার দাম দিতে হবে ছাত্রদের এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠানকে ৷ এই করে করেই বিজেপি আর তৃণমূল রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে শেষ করে দিচ্ছে ৷’’ অন্যদিকে, অধ্যাপক সুবিনয় চক্রবর্তী সায়েন্স ফ্যাকালটির ডিন পদে ইস্তফা দিয়েছেন ৷ এই নিয়েও রাজ্যের শাসকদল এবং প্রধান বিরোধী দলকে নিশানা করেছেন সুজন ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.