কলকাতা, 6 জানুয়ারি : গোরু পাচারকাণ্ড নিয়ে রাজ্য-রাজনীতিতে উত্তাপ বাড়ছে । এই ঘটনায় তৃণমূল নেতা, বিএসফ কর্তা এমনকী আইএস, আইপিএসদের যোগের বিষয়টিও উঠে এসেছে । যদিও তারা আগে থেকেই তৎপর ছিল । গতকাল একথা জানালেন বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গের আইজি অশ্বিনী কুমার ।
গোরু পাচারকাণ্ডের তদন্তভার এখন সিবিআই-এর হাতে । বছর তিনেক আগে তদন্তে সতীশ কুমার নামে এক বিএসএফ কর্তার নাম সামনে এসেছিল । এই বিষয়ে অশ্বিনী কুমার বলেন, "সতীশ কুমারের ঘটনাটি প্রায় তিন বছর আগের । এই বিষয়টি সামনে আসার পরই তাকে বদলি করে দেওয়া হয়েছিল এবং এরপর থেকে গোরু পাচার নিয়ে জ়িরো টলারেন্স নীতি নেয় বিএসএফ । তারপর থেকেই পরিস্থিতি অনেক বদলে গিয়েছে ।"
তবে গোরু পাচার কম হতেই বিএসএফের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সোনা এবং ফেনসিডিল পাচার। বাংলাদেশ থেকে শুল্ক ছাড়াই সোনা এ দেশে পাচারের চেষ্টা চালাচ্ছে পাচারকারীরা । অন্যদিকে, ভারতের দিক থেকে বাংলাদেশের দিকে যাচ্ছে ফেনসিডিল এবং ইয়াবা ট্যাবলেট । বিএসএফ আধিকারিকদের দাবি, বাংলাদেশের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের 940 কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে । এর মধ্যে 340 কিলোমিটার এলাকাজুড়ে রয়েছে নদী ও নালাপথ । বহু জায়গায় অরক্ষিত রয়েছে সীমান্ত । যেখানে কোনও কাঁটাতার নেই । ফলে সেই সব জায়গা থেকে খুব সহজেই দুই দেশের মধ্যে পাচার চালানো সম্ভব । যা বিএসএফের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ । তবে তারা এই বিষয়ে খোঁজ চালাচ্ছে । আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করছে তারা ।
আরও পড়ুন, গোরু পাচার কাণ্ডে তৃণমূলের প্রথম সারির অনেক নেতার নাম জড়াবে, দাবি BJP নেতার