কলকাতা, 28 এপ্রিল: বাংলাদেশী মহিলার কোমর-সহ শরীরের একাধিক জায়গায় কাপড়ে ঢাকা সোনার বাট, বিস্কুট। খবর অবশ্য আগেই পেয়েছিল বিএসএফ। যাত্রী টার্মিনালের রাস্তা দিয়ে ভারতীয় সীমান্তে প্রবেশের মুখেই সন্দেহ ভাজন ওই মহিলাকে পাকড়াও করে বিএসএফ জওয়ানরা। তল্লাশি চালিয়ে তাঁর থেকে দুই কেজিরও বেশি সোনা পাওয়া গিয়েছে বলে খবর। বৃহস্পতিবার রাতে এই সোনা উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে বলে বিএসএফ সূত্রে খবর।
আটক সোনা পাচারকারীকে বাজেয়াপ্ত সোনার বিস্কুট-সহ পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পেট্রাপোলের কাসটম আধিকারিকদের হাতে তুলে দিয়েছে বিএসএফ। বিএসএফ সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের অধীনে আইসিপি পেট্রাপোল, 145 ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা 2 কিলো 145 গ্রাম ওজনের 27টি বিভিন্ন ধরণের সোনার বার-সহ একজন বাংলাদেশী মহিলা পাচারকারীকে গ্রেফতার করে। বিএসএফ সূত্রে খবর, আটক সোনার আনুমানিক মূল্য প্রায় এক কোটি 29 লক্ষ 32 হাজার টাকা। প্রকৃতপক্ষে, ভারতীয় আইসিপি পেট্রাপোলে নিযুক্ত বিএসএফ মহিলা জওয়ানরা বিএসএফ গোয়েন্দাদের কাছ থেকে তথ্য পায় যে, বাংলাদেশী এক মহিলা চোরাকারবারি সোনা নিয়ে যাত্রী টার্মিনালের রাস্তা দিয়ে ভারতীয় সীমান্তে প্রবেশ করতে চলেছে। এরপরেই, ওই সন্দেহভাজন মহিলা নির্দিষ্ট সময়ে যাত্রী টার্মিনালে পৌঁছলে মহিলা গার্ডরা তাকে আটকায় এবং তল্লাশি চালায়।
মহিলাকে তল্লাশির সময় জওয়ানরা তার কাছ থেকে 27টি সোনার বার উদ্ধার করে বলে খবর ৷ সে কাপড়ে লুকিয়ে রেখেছিল এবং তার কোমরেও বেঁধে রেখেছিল বলে খবর। এরপর, মহিলা জওয়ানরা ঘটনাস্থলেই তাকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফাঁড়িতে নিয়ে আসে। আটক মহিলা পাচারকারীর নাম মানিকা ধর (34) ৷ চট্টগ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে ৷ জিজ্ঞাসাবাদে ওই মহিলা জানায়, এই সোনার বিস্কুটগুলো তাকে বাংলাদেশের চট্টগ্রামের বাসিন্দা সুমন ধর দিয়েছে। ভারতে পৌঁছনোর পর তিনি বারাসতের এক অজানা ব্যক্তির কাছে এই সোনার বিস্কুটগুলি হস্তান্তর করতেন বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, এই প্রথম চোরাচালান করছেন এবং এই কাজের জন্য তাকে দু'হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল ৷ বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স সীমান্তে বসবাসকারী লোকদের কাছ আবেদন করে যে, যদি তাদের নজরে সোনা চোরাচালান সম্পর্কিত কোনও তথ্য পাওয়া যায়, তাহলে তারা বিএসএফের সীমা সাথী হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন। সঠিক তথ্য প্রদানকারী ব্যক্তিকে উপযুক্ত পুরস্কারের অর্থ প্রদান করা হবে বলেও জানায় বিএসএফ ৷